মার্চে ভাসবে দেশের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী লঞ্চ
দেশের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিলাসবহুল লঞ্চ কীর্তনখোলা-১০ উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ইতোমধ্যে লঞ্চটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। চলছে উদ্বোধনের জন্য শেষ মুহূর্তের রঙ ও সাজসজ্জার কাজ। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এটি উদ্বোধন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের আকৃষ্ট করতে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে প্লে-গ্রাউন্ড, ফুড কোড এড়িয়া, বিনোদন স্পেস, বড় পর্দার টিভি, অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ইন্টারকম যোগাযোগের ব্যবস্থা, উন্মুক্ত ওয়াইফাই সুবিধাসহ রয়েছে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা। আধুনিকতা ও প্রযুক্তি এবং আয়োজনের দিক থেকে কমতি নেই কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটিতে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: যুবক নিহতের ঘটনায় এসআই নাজমুল কারাগারে
--------------------------------------------------------
অভিজাত এই লঞ্চটিতে থাকছে ১৭টি ভিআইপি কেবিন। কেবিনগুলো বানানো হয়েছে বিলাসবহুল আবাসিক তিন তারকা হোটেলের আদলে। ব্যয়বহুল ও দৃষ্টিনন্দন আসবাবপত্রে সাজানো প্রতিটি কক্ষ। প্রতিটি কেবিনের সঙ্গে রয়েছে সুবিশাল বারান্দা। এখানে বসে নদী, পানি, আকাশ আর আশপাশের মনোরম প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। কক্ষের ভেতরে রয়েছে এলইডি টেলিভিশন। রিভার সাইটের কেবিনের ভেতর থেকেও সহজেই দেখা যায় বাইরের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলি। লঞ্চের করিডরগুলোতে রয়েছে নান্দনিক ডিজাইন।
এছাড়া ২ হাজার যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই লঞ্চটিতে রয়েছে ৭০টি ডাবল ও ১০২টি সিঙ্গেল কেবিন।
৪ তলা এই লঞ্চটির ডেকের যাত্রীদের জন্য যাত্রা আরামদায়ক করতে নিচ তলা ও দুই তলায় বেছানো রয়েছে মসৃন কার্পেট। আলোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক ডিজিটাইল লাইট। বিনোদনের জন্য তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের জন্য থাকছে বড় পর্দার টিভি এবং অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। খাবার জন্য কেন্টিন ও পর্যাপ্ত টয়লেট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে লঞ্চটিতে। এছাড়া ডেকের যাত্রীদের জন্য রয়েছে মোবাইল চার্জের ১২৪টি পয়েন্ট। যেখানে ২৪৮টি মোবাইলে এক সঙ্গে চার্জ দেয়া সম্ভব হবে।
এছাড়া কীর্তনখোলা-১০ এ রয়েছে রোগীদের জন্য আইসিইউ, সিসিইউসহ মেডিকেল সুবিধা। যাত্রীদের নামাজের জন্য রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত নামাজের স্থান। যেখানে এক সঙ্গে ৩০ জন নামাজ আদায় করতে পারবেন।
লঞ্চটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সালমা শিপিং করপোরেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. রিয়াজুল করিম জানান, এরইমধ্যে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যে ইঞ্জিন পরীক্ষার জন্য নদীতে ভাসানো হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বরিশাল-ঢাকা নদী পথে যাত্রী পরিবহন শুরু করতে পারবে।
আরও পড়ুন:
এমকে
মন্তব্য করুন