গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নলকূপের টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শুক্রবার আরটিভিতে নিউজ প্রচারের পর কালিয়াকৈর মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ বেগমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৭ মে) সকালে উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ তদন্ত কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানরা পালিয়ে যায়। এর পর সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়োগের সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্বপান ফিরোজা বেগম। এরপর থেকেই নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
এরমধ্যে মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজা বেগম অফিস সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে এতে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। সাবমারসিবল পাম্প দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এবং বিভিন্ন কাগজপত্র ও জন্ম নিবন্ধন করতে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর। টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখানো হত।
উপজেলার বাশঁতলী গ্রামের ভঙ্গু বেপারীর ছেলে রফিকুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করেন। বাড়িতে নলকূপ না থাকায় পাশের বাড়ি থেকে দীর্ঘদিন ধরে পানি এনে রান্নাবান্নাসহ বাড়ির কাজে ব্যবহার করে আসছে। পরে নলকূপের বিষয়টি তাদের ১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য (বর্তমানে প্যানেল চেয়ারম্যান) ফিরোজা বেগমকে জানালে তিনি তার কাছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা জমা দিতে বলেন।
অনেক কষ্টের অর্জিত টাকা তাহার কাছে জমা দেয়। তারপর থেকেই নলকূপের কথা বলতে গেলেই নলকূপ না দিয়ে আমি এখন প্যানেল চেয়ারম্যান হয়েছি এভাবেই ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে আসছেন ওই প্যানেল চেয়ারম্যান। নিরুপায় হয়ে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে এ কথা শুনে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগ রয়েছে এনওসি, জন্ম-নিবন্ধন, ট্রেড লাইন্সেস সহ বিভিন্ন খাতে গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। টাকা না দিলে একাধিক হয়রানির শিকার হতে হয় সেবা নিতে আসা জনসাধারণের।
আরটিভি/এএএ