কালবৈশাখী ঝড়ে মেহেরপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় সদর ও মুজিবনগর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘণ্টা ব্যাপী ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। সঙ্গে ছিল বজ্রবৃষ্টি।
ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছগাছালি ও ফসলের ক্ষেত। বড় বড় গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। ঝরে পড়েছে বেশিরভাগ বাগানের আম। আম সংগ্রহের সময়ে ঝরে পড়ায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন বাগান মালিকরা।
এদিকে ঝড়ে গাছ গাছালি ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটির উপরে। ফলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে মেহেরপুর সদর এবং মুজিবনগরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
ফসলের মাঠে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কলা গাছ ও বোরো ধানের। বেশিরভাগ ক্ষেতের ধান মাটির সঙ্গে নুয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে কলা গাছ। ঝড়ে বড় বড় গাছ বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শতবর্ষী কড়ই গাছের অনেক ডালপালা ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়াও গ্রামের সড়কগুলোর পাশে এবং ব্যক্তি মালিকানা গাছগাছালির ডাল ভেঙে পড়েছে।
আমঝুপি গ্রামের কৃষক আব্দুল হক জানান, তার তিন বিঘা জমির কলাগাছ সবই ভেঙে পড়েছে। এক মাস পর কলার কাধি বিক্রির উপযুক্ত হওয়ার আশায় ছিলেন তিনি।
এদিকে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে আম বাগান। ২০ মে থেকে জেলায় হিমসাগর আম সংগ্রহ শুরু হবে। তার আগেই গাছ থেকে ঝরে পড়েছে ব্যাপক পরিমাণ আম। এতে আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছে মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামসুল আলম।
আরটিভি/এএএ/এআর