ঢাকাশুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

পায়ে বল্লমের আঘাত, চিকিৎসা পেল বন্য হাতি

আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৮ মে ২০২৫ , ১০:০৭ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

পায়ে বল্লমের আঘাত পেয়ে অসুস্থ হওয়া বন্য হাতিটির দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসা করেছে বন বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ মে) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা কালাপানি পাহাড়ের বড়খোল এলাকার গহীন জঙ্গলে হাতিটির চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ১ মে হাতিটির পায়ের ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়েছিল। এরপর থেকে হাতিটির পায়ের ক্ষত প্রায় ৮০ শতাংশ সেরে উঠেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

জানা যায়, এ চিকিৎসাকাজে গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান, নালিতাবাড়ী প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন সাকিব হোসেন সাগর, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহীন কবির, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলীসহ অন্যরা অংশ নেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একটি বন্য হাতি পায়ে গভীর কয়েকটি ক্ষত নিয়ে বাকি তিন পায়ে কাটাবাড়ী পাহাড়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা বন বিভাগকে খবর দেন। খবর পেয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ শেরপুরের তত্ত্বাবধানে হাতির সুস্থতায় উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১ মে গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি দল ও স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসকেরা যৌথ প্রচেষ্টায় হাতিটিকে অচেতন করে চিকিৎসা করেন। চিকিৎসা শেষে হাতিটিকে জাগানো হয়। পরে এটি পাহাড়ের গহীনে ফিরে যায়। দ্বিতীয় দফায় খোঁজ নিয়ে হাতির অবস্থান নির্ণয় করে আবারও অচেতন করে চিকিৎসা করা হয়। পরে আবারও চেতনা ফিরিয়ে বনে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মেডিকেল টিমের প্রধান গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় তিন থেকে চার মাস আগে বল্লমজাতীয় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ওই হাতিকে আঘাত করা হয়েছিল। তিন থেকে চার ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ওই আঘাতের গভীরতা প্রায় ৬ ইঞ্চির মতো। আঘাতের কারণে হাতিটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার দেহের মেজর টিস্যু ড্যামেজ হয়ে যায়। 

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, প্রথম দফায় আমরা পাহাড়ে এসে ওই হাতির আঘাতপ্রাপ্ত স্থান ড্রেসিং করে তার দেহে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে চিকিৎসাসেবা দিয়ে বনে ছেড়ে দিয়েছিলাম। এতে হাতিটির ক্ষত প্রায় ৮০ ভাগ সেরে গেছে। আজ দ্বিতীয় দফায় আবারও হাতিটিকে চিকিৎসা দিয়ে বনে পাঠানো হয়েছে।

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |