ঢাকা

কোরবানির জন্য ২ লাখ ১৩ হাজারের অধিক পশু প্রস্তুত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ২১ মে ২০২৫ , ০৫:২৬ পিএম


কোরবানির জন্য ২ লাখ ১৩ হাজারের অধিক পশু প্রস্তুত
ছবি: আরটিভি

কোরবানি ঈদকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় কিশোরগঞ্জের খামারিরা। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ব্যস্ততাও বেড়েছে তাদের। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে গরুর পরিচর্যা। যত্নে কোন কমতি নেই। গরম থেকে বাঁচতে ফ্যানের নিচে রাখা ও মেশিনের মাধ্যমে পানি দিয়ে গোসল করিয়ে রাখা হচ্ছে পরিচ্ছন্ন। এসব খামারে ছোট বড় সব আকারের পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারে দেশী জাতের গরু ছাড়াও রয়েছে ফ্রিজিয়ান, শাহী ওয়াল, ব্রাহামা, ইন্ডিয়ান বোল্ডার মতো বড় জাতের গরু। এ ছাড়াও মহিষ, বলদ ও গোয়াল। প্রাকৃতিক ভাবে ঘাস, খড় কুটা, ভূসি খাইয়ে বড় করায় খামারে এসব গরুর চাহিদাও অনেক। বাজারে দেশীয় গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ক্ষতিকর হরমোন কিংবা ইনজেকশনের ব্যবহার ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে গবাদি পশু পালন করা হয়েছে। ভারতীয় গরুর ওপর নির্ভর না করে নিজেদের দেশীয় গরুতেই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছেন খামারিরা।

বিজ্ঞাপন

Pic-04

বুধবার (২১ মে) কয়েকজন খামারির সঙ্গে কথা বললে তারা এমনটি জানান। 

বিজ্ঞাপন

খামারি জুনায়েদ আশরাফ সানি বলেন, আমার খামারে কোরবানি উপযোগি ৬০টি গরু রয়েছে। সর্বনিম্ন ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দামের গরু আছে। কোরবানি উপলক্ষ্যে যে গরুগুলো লালন পালন করেছি সেগুলো ৮ থেকে ৯ মাস ধরে লালন পালন করা। যেগুলো মাংস উৎপাদনের জন্য লালন পালন করা হয় সেগুলো ৩ থেকে ৪ মাস। কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত গরু প্রতি প্রতিদিন আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হয়। প্রতিদিন দেশীয় খাবার ভূষি, কুড়া, কৈল, সমিল, ঘাস, খেড় সেগুলো খাওয়ানো হচ্ছে। দেশে গোখাদ্যের দাম বেশি। তাই দাম পুষিয়ে উঠা নিয়ে শঙ্কা। আশা করছি বাহির থেকে কোন গরু আনা হবে না। দেশীয় গরুর মাধ্যমে চাহিদা মেটানো সম্ভব। খামার থেকেই গরু গুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেপারী ও সাধারণ মানুষ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।

Pic-02

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯টি। এর মধ্যে চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৯১১টি। যা জেলার চাহিদা পূরণ করেও ৩২ হাজার ৪৫৮টি পশু দেশের চাহিদা পূরণ করবে। জেলায় ৭০ হাজার ৭১টি ষাড়, ৪ হাজার ৬টি বলদ, ১৮ হাজার ৫৫৯টি গাভী, ১ হাজার ২৮৮টি মহিষ, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৬টি ছাগল, ৫ হাজার ৫১৬টি ভেড়া ও অন্যান্য ৩৩টি কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, জেলায় মোট ৬৩টি গরুর হাট রয়েছে। এসব হাটে ক্রেতাদের নিরাপদ পশু ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৪০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদরে ৪টি, করিমগঞ্জ ৪টি, তাড়াইল ৩টি, হোসেনপুর ৩টি, পাকুন্দিয়া ২টি, কটিয়াদী ৬টি, কুলিয়ারচর ২টি, ভৈরব ৩টি, বাজিতপুর ৩টি, নিকলী ২টি, ইটনা ২টি, মিঠামইন ৪টি, অষ্টগ্রাম ২টি টিম কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |