বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণ, সহকারী পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মামলা

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ , ০৪:০০ পিএম


বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ধর্ষণ, সহকারী পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মামলা
অভিযুক্ত এএসপি নাজমুস সাকিব। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকে পরিচয়ের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। 

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী নাসিদুস জামান নিশান।

জানা যায়, অভিযুক্ত সহকারী পুলিশ সুপার বর্তমানে পুলিশের ভৈরব সার্কেলের দায়িত্বে রয়েছেন। ভুক্তভোগী নারী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ আদালতে ওই নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৯ জুন ফেসবুক গ্রুপ ‘পাত্র-পাত্রী দুজনেই হবে ঢাবিয়ান’-এ পাত্রী চেয়ে পোস্ট করেন বিবাদী নাজমুস সাকিব। সেই পোস্টের সূত্র ধরে ২০২৩ সালের জুন মাসে বাদীর সঙ্গে তার পরিচয়। পরে দুজনের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে বিবাদী তার আগের বিয়ে ও সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন ও বাদীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল রাতভর বাদী নিজে বিবাদীর বাসায় অবস্থান করলে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বাদী জানতে পারেন বিবাদী নাজমুস সাকিব আগেই অন্য নারীকে বিয়ে করে সংসার করছেন। ঘটনাটি জানার পর বাদী তাকে জিজ্ঞাসা করলে এখন তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছেন বিবাদী।

মামলার বিষয়ে বাদীর আইনজীবী নাসিদুস জামান নিশান বলেন, বাদী আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলার আবেদন করেন। পরে বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। শুনানি শেষে শাহবাগ থানার পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, ওই নারীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক। ফেসবুক গ্রুপ থেকে তাকে চিনতাম কিন্তু তার সঙ্গে কোনো দিন আমার দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। তাকে আমি চিনিও না। মামলায় উল্লেখ করেছেন- গত ৪ এপ্রিল ওই নারী আমার বাসায় অবস্থান করেছেন, আমি তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেছি; যা মিথ্যা বানোয়াট। এ দিন আমার বাসায় স্ত্রী ছিল এবং আমি আমার কর্মস্থলে গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাতে বাসায় ছিলাম না। ওই নারী ঢাকায় চাকরি ও বসবাস করেন। ঢাকায় আমার কোনো বাসা নেই। আমাকে হয়রানি করতেই এ মিথ্যা  মামলাটি দায়ের করেছেন। আমি আইনিভাবে লড়ব, ঘটনা তদন্ত করলেই প্রমাণ হবে তার অভিযোগটি অসত্য মিথ্যা।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমকে/এআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission