পাঁচদিন ধরে বেনাপোলে বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে কার পাসসহ কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানির প্রতিবাদে ২৫ জানুয়ারি থেকে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
ফলে দুই দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। যার বেশিরভাগেই বাংলাদেশের শত ভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামালসহ পচনশীল পণ্য রয়েছে।
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোডসহ বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রম এবং পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতের পেট্রাপোলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকায় বিষয়টি সুরাহার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
রোববার বিকেলে পেট্রাপোল টার্মিনালের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ভারতীয় ট্রাক মালিক, ট্রাক চালক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, পেট্রাপোল কাস্টমসের নতুন একজন কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট যোগদান করার পর থেকে নানা হয়রানি শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তিনি উপরমহলের অজুহাত দেখিয়ে একের পর এক হয়রানি করছেন আমাদের ওপর। সর্বশেষ বাংলাদেশে দ্রুত পণ্য রপ্তানি করার জন্য পূর্বে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কর্মচারীরা কাস্টমস অফিসারের মাধ্যমে মেনিফেস্ট তৈরি করার পর কার পাস (গেট পাস) ইস্যু করে পণ্য রপ্তানি করতো। হঠাৎ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এক নির্দেশনা জারি করে যে, তারা নিজেরাই কার পাস ইস্যু করে রপ্তানি পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করাবেন। এ ধরনের নির্দেশনায় পণ্য রপ্তানিতে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। রপ্তানি পণ্যের কোনো কাগজপত্র না পাওয়ায় গেলো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো কার পাস ইস্যু করতে পারেনি। যার কারণে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: সরাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২৫
--------------------------------------------------------
এ ব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, ভারতে কার পাস জটিলতাসহ অন্যান্য কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গেলো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একটানা পাঁচ দিন আমদানি রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়নি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সুজন জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের অনেক আমদানিকারকের পণ্য চালান পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে। সেইসঙ্গে রপ্তানির জন্য আসা শত শত ট্রাক সীমান্তে পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব পণ্য চালানের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পের অনেক কাঁচামাল রয়েছে। অনেকের শিপমেন্ট বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত।
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম জানান, পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াতও স্বাভাবিক আছে। আমদানি-রপ্তানি সচল হলে গোটা বন্দর এলাকায় পণ্যজটের পাশাপাশি যানজটও প্রকট আকার ধারণ করবে।
আরও পড়ুন:
- রাবিতে ছাত্র ধর্মঘটে ‘ছাত্রলীগে’র হামলার অভিযোগ
- শাবিপ্রবিতে ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৫
জেবি/পি
মন্তব্য করুন