চট্টগ্রামে ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ নামে একটি পোশাক কারখানা থেকে বান্দরবানের পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ২০ হাজার ৩০০ সেট ইউনিফর্ম জব্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার (২৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিংভো অ্যাপারেলসের প্রোডাকশন ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশ গোপনীয়তার আশ্রয় নিলেও রোববার রাতে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন খাগরিয়া আমিরখিল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সাহেদুল ইসলাম (২৫), চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন দৌলতপুর গ্রামের মো. আব্বাস উদ্দিনের ছেলে গোলাম আজম (৪১) এবং চট্টগ্রামের পটিয়া থানাধীন দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের কাজী বাড়ির মো. নুর বক্সের ছেলে নিয়াজ হায়দার (৩৯)।
জানা যায়, ৬ দিন আগে গত ১৭ মে রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন নয়ারহাট রিংভো অ্যাপারেলস নামের পোশাক কারখানা এবং সন্নিকটের মুজাফফরনগর আবাসিক এলাকায় ওই কারখানার গোডাউন থেকে এসব ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি এসব ঘটনায় জড়িত পোশাক কারখানার মালিকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন ১৮ মে এ ঘটনায় বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করা হয়। নগর গোয়েন্দা উত্তর-দক্ষিণ বিভাগের এসআই মো. ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে জব্দ ইউনিফর্মগুলো পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বলে উল্লেখ করা হয়। দুই কোটি টাকার চুক্তিতে ইউনিফর্মগুলো প্রস্তুতের ফরমাশ নেওয়া হয়। সাহেদুল ইসলাম কারখানার মালিক। অন্যদুজন পোশাকগুলো তৈরির ফরমাশ দিয়েছিলেন। মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন ছাড়াও রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের মংহলাসিন মারমা (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ কারখানার প্রোডাকশন ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এসব পোশাক তৈরির বিষয়ে আমরা জানি না। আমরা সাব-কন্ট্রাক্টের কাজ করে থাকি। আমরা কোনো বড় প্রতিষ্ঠান না। একটি ফ্লোরে ৫০ থেকে ৬০টি মেশিন নিয়ে কারখানাটি চালানো হয়। এসব পোশাক কাদের, তাও আমরা জানি না।
এ দিকে পুলিশ মামলা করলেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে রাজি হয়নি। একাধিকবার যোগাযোগ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান ও মামলার বাদী এসআই ইকবাল হোসেনসহ সিএমপির কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরটিভি/এমকে/এআর