বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে থেমে থেমে পুরো রাঙ্গামাটি জেলায় শুরু হয়েছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত। বৃষ্টি স্থায়িত্ব হওয়ায় রাঙ্গামাটি জেলাসহ ১০ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সতর্কতা জারি এবং নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটি সদর, কাউখালী, কাপ্তাই, নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, রাজস্থলী ও লংগদু এসব উপজেলায় পূর্বের অভিজ্ঞতা ও প্রাণহানির ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ নৌপথ সমূহে যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে নৌপথে চলাচলকারী সকল ধরনের নৌযানের চলাচল পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নিদের্শনা প্রদান করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙ্গামাটির ভেদভেদী, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির এবং বিএডিসিসহ ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসার অনুরোধ করেন। পরিদর্শনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ২০১৭ সালের ভয়াবহ পাহাড় ধসের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫ হাজার পরিবার ও ২০ হাজার মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। বৃষ্টি বেড়ে গেলে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
প্রতিটি এলাকায় অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তবে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও সেখানে যাচ্ছে না ঝুঁকিতে থাকা বসবাসকারীরা।
আরটিভি/এএএ/এস