ভোলায় নিম্নচাপের জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়ো বাতাসে ইলিশা লঞ্চঘাটের ৩টিসহ ৫টি পন্টুন বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই ঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানা যায়। তজুমদ্দিন উপজেলার নির্মাণাধীন স্লুইস গেইটের পাশ দিয়ে বেড়িবাঁধ ধসে পানি প্রবেশ করায় উপজেলা সদর পর্যন্ত মেঘনার পানি চলে এসেছে।
শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেরামত করা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে ওই কাজ শুরু করা হয়। এ ছাড়াও মনপুরার কলাতলি, চরফ্যাশনের ঢালচর, জেলা সদরের চটকীমারা, রাজাপুর ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড ৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ওই পানি নামতে শুরু করেছে।
তবে বাঁধের ধসে যাওয়া অংশ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেরামত করা যায়নি বলেও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা।
এ দিকে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দুর্গত মানুষ হিসেবে চিহ্নত হয়েছে ৬৪ হাজার ২৪৪ জন। ঘর বিধস্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৫টি। এর মধ্যে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ২৫৭টি। সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়েছে ১০৮টি ঘর। এ ছাড়া পানির তোড়ে শতাধিক নৌকা ভেঙে যাওয়ার পাশপাশি ভেসে গেছে। জেলা সদরের শিবপুর এলাকার বাঁধ রক্ষায় স্থাপিত জিও ব্যাগ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
তবে শিবপুরে বাঁধ ধসে পানি প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী।
এ দিকে বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার পানির চাপ ও জোয়ারের উচ্চতা কমে আসায় নতুন করে আঘাতের সম্ভাবনা নেই বলে জানান পাউবো কর্মকর্তারা। প্রথম দুদিন বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।
তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ কুমার দেবনাথ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতভর চেষ্টায় বাধের ভাঙন ও ধস রোধ করায় উপজেলা সদরের মানুষকে রক্ষা করা যায়। তারপরও পানি প্রবেশে বেশ কিছু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, আউশ ধানের ক্ষতি হয়নি। তবে দেড় হাজার হেক্টর জমির সবজি চাষ নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পেঁপে ও শাকসবজি রয়েছে।
আরটিভি/এমকে/এআর