পাবনার ঈশ্বরদীতে সুষ্মিতা সাহা (ছদ্মনাম) (১৫) নামে অপহরণ হওয়া স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইমন আলী শেখ বাদশা (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর শহরের ফতে মোহাম্মদপুর লোকো ট্রেনিং সেন্টার এলাকায় ওই যুবকের ভাড়া বাসা থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (৯ জুন) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মনিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত ইমন আলী শেখ বাদশা ঈশ্বরদী পৌর শহরের ফতে মোহাম্মদপুর মৃত অলি হোসেনের ছেলে। এ মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য দুই আসামিরা হলেন, একই গ্রামের মৃত ইসলামের ছেলে নাদিম কসাই (৫০) ও তার স্ত্রী বিউটি খাতুন(৪৫)।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সুষ্মিতা সাহা ঈশ্বরদী শহরের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। দীর্ঘ দিন ধরে ইমন আলী শেখ বাদশা নামে ওই যুবক সুষ্মিতা সাহাকে (ছদ্মনাম) স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। সুষ্মিতা সাহা প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে ভয়ভীতি ও হুমকি- ধামকি দিয়ে আসছিল ইমন আলী।
এজাহার সূত্রে পুলিশ আরও জানায়, গত ৫ জুন সকালে সুষ্মিতা সাহা বাড়ি থেকে ফতে মোহাম্মদপুর হিন্দুপাড়ায় প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে নাদিম কসাই ও তার স্ত্রী বিউটি খাতুনের সহায়তায় ইমন আলী শেখ বাদশা সুষ্মিতা সাহাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিএনজিতে তুলে নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ স ম আব্দুন নূর জানান, ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর পিতা থানায় এসে এজাহার দায়েরের পর একটি অপহরণ ও অপহরণ সহায়তার মামলা রুজু হয়। গোপন সংবাদ ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পরে ঈশ্বরদী পৌর শহরের ফতে মোহাম্মদপুর লোকো ট্রেনিং সেন্টার এলাকার একটি বাড়ি থেকে এ মামলার প্রধান আসামি ইমন আলী শেখ বাদশাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় ইমন আলী বাদশার ওই ভাড়া বাসা থেকে ভিকটিম সুষ্মিতা সাহাকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/এফএ/এআর