পটুয়াখালীর মহিপুরে আপন বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগে ছোট ভাইয়ের ৪টি গরু হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে ধূলাসার ইউনিয়নের চরগঙ্গামতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর শুনে নিঃস্ব কৃষকের বাড়িতে ছুটে আসছেন এলাকার মানুষ। এ ঘটনায় আপন বড় ভাই দুলাল শরিফের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বেলাল শরীফ।
মৃত গরু ৪টির বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। পরম যত্নে লালন পালন করা গরু হারিয়ে দিশেহারা কৃষক বেলাল শরীফ।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় দুটি গরু ও শুক্রবার সকালে পেটে বাচ্চাসহ ১টি মারা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো ঘাস খেয়ে ৪টি গরু গোয়ালে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়লে গরুর মালিক বেলাল শরীফ তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গরুর শরীরে বিষ পুশ করা হয়েছে বলে জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে দুটি গরু বেশি অসুস্থ হয়ে মারা যায়। শুক্রবার সকালে গাভীন গরুটি মারা গেছে। বাকি একটি গোয়ালে অসুস্থ অবস্থায় আছে।
ভুক্তভোগী গরুর মালিক বেলাল শরীফ আক্ষেপ করে বলেন, আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তিনি কিছুদিন আগে আমাকে নিঃস্ব করার হুমকি দিয়েছেন। তিনিই আমার গরুগুলোকে হত্যা করেছেন। আমি এর বিচার চাই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বড় ভাই দুলাল শরীফের সঙ্গে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল ছোট ভাই বেলাল শরীফের। কিছুদিন আগে দুলাল শরীফ নিজের গাছ কেটে বেলাল শরীফের নামে মামলা দিয়েছিলো। পরে তদন্তে সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দুলাল শরীফ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি অমানুষের মতো কাজ করতে পারি না।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কুলসুম আক্তার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি মর্মান্তিক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।
কলাপাড়া প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার মো. বসির উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনা শুনে সরেজমিনে গিয়ে গরুগুলোর চিকিৎসা করেছি। প্রাথমিক তদন্তে গরুগুলো বিষক্রিয়ায় মারা গেছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরটিভি/এমকে/এআর