সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামে চুরি করতে গিয়ে দায়ের কোপে সাইমন হাসান রনি (২৭) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। নিহত সাইমুন সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের গোদারগাঁও গ্রামের মৃত সমুজ আলীর ছেলে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৪ জুন) সকালে খবর পেয়ে মাইজবাড়ি গ্রামের পূর্বপাড়া থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইকবাল হোসেন (২৫) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ইকবাল হোসেন মাইজবাড়ি গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে মাইজবাড়ি পূর্বপাড়ার ইকবাল হোসেনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই বাড়ির বাসিন্দারা গভীর রাতে টিন কাটার শব্দ শুনে ঘরের দরজার কাছে গিয়ে দেখেন, এক ব্যক্তি দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। তখন ইকবাল হোসেন ঘরের ভেতর থেকে ওই লোকের হাতে ধারালে দা দিয়ে কোপ দেন। হাতে কোপ খেয়ে লোকটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর শনিবার সকালে মাইজবাড়ি পূর্বপাড়া এলাকা থেকে সাইমন হাসান রনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার হাতে দায়ের কোপের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়দের ধারণা, ইকবাল হোসেনের দায়ের কোপে অধিক রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে নিহত সাইমনের বোন হুসনা বেগমের দাবি, সাইমুন কোনো চুরি করতে যায়নি। তার ভাই চোর ছিল না। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করলে সব বের হয়ে আসবে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন, মাইজবাড়ি এলাকা থেকে সাইমন নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, চুরির সময় দা দিয়ে কোপের আঘাতের পর যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাইজবাড়ি গ্রামের ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আঘাতের কথা স্বীকার করেছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
আরটিভি/এমকে