নাশকতার আশঙ্কায় কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কায় কক্সবাজার ত্যাগ করছেন পর্যটকরা। এছাড়া স্থানীয়দের মাঝেও বিরাজ করছে আতঙ্ক ও সংশয়।
এই রায়কে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। আর যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে শক্ত অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এমন থমথমে পরিবেশে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সমুদ্রের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা। নাশকতার আশঙ্কায় অনেকটা বাধ্য হয়েই কক্সবাজার ত্যাগ করছেন তারা। এ কারণে অনেক হোটেল-মোটেলের বুকিংও বাতিল হয়ে গেছে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: খালেদার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে বাড়তি নিরাপত্তা
--------------------------------------------------------
অপরদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত নাশকতার চেষ্টা করতে পারে পারে। এ কারণে কেন্দ্র থেকে আমাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষদের যাতে কোনো ভোগান্তি না হয়, পর্যটকরা যাতে স্বাভাবিকভাবে ভ্রমণ শেষ করতে পারেন, সেজন্য সকল বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মো. আলী বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা একটি মিথ্যা মামলার রায় আগামীকাল। এ বিষয়ে দলের নির্বাহী কমিটি থেকে আমাদের জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রায়ে যদি নেত্রীর সাজা হয়, তাহলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সেটির প্রতিবাদ জানাবো।
এদিকে খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কেউ কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য শহরের নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে নিরাপত্তার স্বার্থে ট্যুরিস্ট জোন এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারির রায়কে ঘিরে সৈকত এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও হোটেল-মোটেল জোনগুলোতে টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, নিয়মিত নজরদারীর পাশাপাশি গোয়ন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন:
এসএইচএস/এসএস
মন্তব্য করুন