• ঢাকা বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

যে বাসে রূপা ধর্ষণ, সেটি পাচ্ছে তার পরিবার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৫৭

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত যে বাসে জাকিয়া সুলতানা রুপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, সেই বাসটি রূপার পরিবারকে দিয়ে দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ মামলায় চার জনের ফাঁসি, এক জনের সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এই আদেশ দিয়েছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫)। এছাড়া সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: রূপা ধর্ষণ ও হত্যায় ৪ আসামির ফাঁসি
--------------------------------------------------------

গেলো ৫ ফেব্রুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আইনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া রায়ের দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ছিল উভয়পক্ষের যুক্তিতর্কের সমর্থনে আইন দাখিলের দিন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক রায়ের দিন ধার্য করেন।
গত ৩ জানুয়ারি মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে মামলায় জব্দ তালিকা, সুরতহাল রিপোর্ট, চিকিৎসক, পাঁচ আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গ্রহণকারী চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৭ জনের ২৩ জানুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হয়।

গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপাকে চলন্ত বাসে পরিবহণ শ্রমিকরা ধর্ষণ করেন এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ রাতে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে রূপার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবিরভিত্তিতে বোনকে শনাক্ত করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আতাউর রহমান আজাদ ও এস আকবর খান দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ করায় সন্তোষ জানিয়েছেন। আজাদ বলেন, এত অল্প সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ ধরনের মামলার রায় ইতিপূর্বে লক্ষ্য করিনি। যারা ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতায় লিপ্ত তারা এই রায় থেকে শিক্ষা নেবে।

আরও পড়ুন:

এসএস

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঘর পেলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭ হতদরিদ্র পরিবার
নরপিশাচদের শহীদ পরিবারের সামনে দাঁড় করানো উচিত: সারজিস
২৫ শহীদ পরিবারকে ৮ লাখ টাকা করে অনুদান প্রদান
যেভাবে ‘প্যাডলার’ থেকে ‘মামায়’ রূপান্তর হলেন রিকশাচালকরা