• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

জাফর ইকবালকে হামলা: তদন্তের পর মামলা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ মার্চ ২০১৮, ১৬:২৪

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় আটক হামলাকারী ফয়জুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। রোববার দুপুরে জালালাবাদ থানায় এ মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলা নং-০৩।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি বিভাগের শিক্ষক রিফ্রেশ তালুকদার ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল হামলার শিকার হন। তার পেছনে থাকা ফয়জুল ইসলাম ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করেন। পরে শিক্ষার্থীরা ফয়জুল ইসলামকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: জাফর ইকবাল ‘ইসলামের শত্রু’, তাই হামলা চালায় ফয়জুর
--------------------------------------------------------

পুলিশ হামলাকারী যুবককে চিকিৎসার জন্য সিলেট জালালাবাদ সেনানিবাসস্থ সামরিক হাসপাতালে নেয়। পরে র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে শনিবার মধ্যরাতে সাংবাদিকদের জানান, সে তার পরিচয় ঠিকভাবে বলছে না। তার নাম সে একবার বলে শফিকুর রহমান, আরেকবার বলে ফয়জুর রহমান। জ্ঞান ফেরার পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে সে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। সে কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কিনা, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে ফয়জুল ইসলাম হামলার কারণ সম্পর্কে জানান, জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তার উপর হামলা করেছি।

শনিবার রাতেই আটক যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম ফয়জুর রহমান। সে একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করেছে। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়ার কাঁপনে। তার বাবা হাফিজ আতিকুর রহমান সিলেটের টুকেরবাজার মহিলা মাদরাসার শিক্ষক। তারা বর্তমানে সিলেটের কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

হামলাকারী ফয়জুর রহমানের শেখপাড়ার বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি চালিয়েছে। সেসময় বাসাটি বাইরে থেকে তালা লাগানো থাকায় তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেসময় ভেতরে ফয়জুরের মামা ফজলুর রহমান অবস্থান করছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাত সোয়া ১টার দিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি বাসাটি থেকে একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। এছাড়া এ ঘটনায় হামলাকারীর চাচা আব্দুল কাহার লুলইকে (৫৫) আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৯) সদস্যরা।

ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ড. জাফর ইকবালকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার রাতে বিমানবাহিনীর একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়। এখানে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।

রোববার সকালে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) কনসালটেন্ট সার্জন জেনারেল মুন্সী মুজিবুর রহমান বলেন, ড. জাফর ইকবাল সুস্থ আছেন। তিনি শঙ্কামুক্ত। এখন তিনি কথা বলতে পারছেন। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। মাথায় ৪টিসহ তার শরীরে ৬টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার সুস্থতা বিবেচনা করে দর্শনার্থীদের প্রবেশের বিধিনিষেধ রয়েছে।

আরও পড়ুন:

এমসি/পি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গুরুতর মামলা খারিজ
ইসরায়েলি নির্মম হামলায় গাজায় একদিনে ২৪ প্রাণহানি
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় জামিন পেলেন মান্নান