গাইবান্ধায় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার ৮
গাইবান্ধায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি, পলাশবাড়ী উপজেলার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়ন থেকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
আব্দুল করিম সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত নজিব উদ্দিনের ছেলে।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মো. শাহরিয়ার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, নাশকতার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করার গোপন বৈঠক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে রাষ্ট্র বিরোধী বেশ কিছু লিফলেট জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গোপন বৈঠক করার সময় উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ও বরিশাল ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারিসহ সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-পলাশবাড়ী উপজেলার কিশামত কেওয়াবাড়ী গ্রামের মৃত নজর হকের ছেলে ও হরিনাথপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুল ওহাব(৫০), পশ্চিম গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত এরফান আলীর ছেলে ও বরিশাল ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারি রুহুল আমিন (৩৩), জামালপুর গ্রামের সাহেদ আলীর ছেলে রুবেল ইসলাম (৩০), তালুক জামিরা গ্রামের মৃত আকরাম আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ (৫২), জামালপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (৩০), কেত্তার পাড়ার আব্দুল সাত্তারের ছেলে আব্দুল হালিম রানা (৩০), চন্ডিপুর মফসেল আলমের ছেলে ফিরোজ কবির (২৫)।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নাশকতার পরিকল্পনা করছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোপন বৈঠক থেকে ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর এবং সেক্রেটারিসহ সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :
- শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় এলে সেনবাগ মডেল উপজেলা হবে: মোরশেদ আলম
- নৌকাই দেশের উন্নয়নের প্রতীক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এসএস
মন্তব্য করুন