গৃহবধূকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালো স্বামী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ভোরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জরিনা বেগম নামের ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জরিনা বেগম উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের দুলাল বেপারীপাড়া গ্রামের ওলি উদ্দিন বেপারীর স্ত্রী এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার ডাঙ্গি গ্রামের ইয়াকুব আলী শেখের মেয়ে।
এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে নিহতের পরিবার। মামলার প্রধান আসামি ওলি উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূর স্বজনরা জানান, গেল এপ্রিল মাসে সৌদি আরব থেকে ওলি দেশে ফেরার কিছুদিনের মধ্যে স্থানীয় এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এরপর থেকে ওলি ও জরিনার সংসারে কলহ শুরু হয়। এ পরিস্থিতিতে ওলি জরিনাকে প্রায়ই মারধর করত এবং হত্যার হুমকি দিত।
জরিনার ভাই জয়নাল শেখ জানান, মঙ্গলবার রাতে তার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ওলি। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে রাত আড়াইটার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার মরদেহ ফেলে রেখে সে পালিয়ে যায়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফী জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর গৃহবধূর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন :
- ঈশ্বরদীতে উন্নয়ন মেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ আহত ৬
- নারায়ণগঞ্জে বাসচাপায় স্কুলছাত্রী আহত, সড়ক অবরোধ
জেবি
মন্তব্য করুন