সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া চাইলেন আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে
আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজোয়ার বলেছেন, আমার বাবা অজানাবশত কোনও দোষ করে থাকলে মাফ করে দেবেন। আপনাদের কাছে শেষ কথা, আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব মাদারবাড়ীতে আইয়ুব বাচ্চুর নানার বাড়িতে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বাবা হয়তো আপনাদের জন্য সর্বোচ্চটা দিতে পারেননি। বাবা সংগীতের মাধ্যমে মানুষকে ভালবাসতেন। কিন্তু তিনি আপনাদের অফুরন্ত ভালোবাসা দিয়েছেন। তিনি অনেক করেছেন।
এর আগে শনিবার সকাল ১১টার দিকে ইউএস বাংলার ফ্লাইটে তার মরদেহটি চট্টগ্রামে নেয়া হয়। মরদেহের সঙ্গে তার স্ত্রী, দুই সন্তান আহনাফ তাজওয়ার ও মেয়ে ফাইরুজ সাফরাসহ ২১ জন ছিলেন। শুক্রবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজওয়ার কানাডা থেকে আর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা রাত দেড়টায় অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেন। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালের হিমাগার থেকে বিমানবন্দরে নেয়া হয়।
এদিকে প্রিয় শিল্পীকে একনজর দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে দক্ষিণ পূর্ব মাদারবাড়ীতে হাজির হন হাজারো ভক্ত। পূর্ব মাদারবাড়ীর বালুর মাঠে এ জন্য করা হয়েছে প্যান্ডেল। বিকেলে তার কফিন সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। জানাজা শেষে তাকে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আইয়ুব বাচ্চুর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরণা ইউনিয়নের হলেও তিনি ছোটকাল থেকে বড় হয়েছেন চট্টগ্রাম শহরে। নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার ও এনায়েত বাজারে তাদের বাড়ি থাকলেও তিনি থাকতেন নগরীর মাদারবাড়ীর নানার বাড়িতে।
গতকাল শুক্রবার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হয় কিংবদন্তি ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ। জাতীয় ঈদগাহে জানাজা ছাড়াও আরও দুটি জানাজা হয় ঢাকায়।
বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৮টায় হৃদরোগের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। সকাল সোয়া ৯টায় তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৯টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন :
এমসি/এসএস
মন্তব্য করুন