ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয় শিশুটিকে
গত ২০ অক্টোবর গভীর রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চকমিরপুরে থেকে আগুনে পোড়া শিশু হত্যার মোটিভ ও আসামিকে ধরতে সক্ষম হয় দৌলতপুর থানা পুলিশ।
নিহত আঁখি নামের ১২ বছর বয়সী ওই শিশুকে ধর্ষণের পর গলাটিপে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার দেহটি পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। আর এই লোমহর্ষক ঘটনার নায়ক আঁখির আপন খালু শাহাদাত হোসেন (৩৩)।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের ডিআইও-১ মুহম্মদ আশরাফুল আলম এই হত্যাকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুনীল কুমার কর্মকারের নেতুত্বে এসআই মোঃ আব্দুল হাই আসামি শাহাদাত হোসেনকে ঢাকার ধামরাই থানার বারবারিয়া স্কেল এলাকা থেকে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে তাকে (বুধবার) গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত ২১ অক্টোবর এই ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
বুধবার ঘটনার কথা স্বীকার করে আসামি শাহাদাত হোসেন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। শাহাদাত দৌলতপুর উপজেলার বড় শ্যামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
১৮ অক্টোবর আঁখিকে তার নানার বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলীয়ায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে সেখানে না পৌঁছে দিয়ে, কৌশলে তাকে দৌলতপুরের চকমিরপুর এলাকায় নিয়ে যায়। দুই দিন ওই এলাকায় তার বাড়িতে অবস্থানের পর ২০ অক্টোবর গভীর রাতে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে আঁখিকে গলা টিপে হত্যার পর পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
জেএইচ
মন্তব্য করুন