মোবাইল ফোনের দাম পরিশোধ না করায় স্ত্রীকে গণধর্ষণ
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সাভারে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গেল শুক্রবার রাতে সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের টিকলারটেক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে গেল শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঘটনার দিন রাতেই নির্যাতিতা নারীর স্বামী সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এরপর শনিবার রাতে কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলামীন (২২) ও রায়হানকে (২৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন অ্যান্ড কমিউিনিটি পুলিশিং) মো. জাকারিয়া হোসেন আরটিভি অনলাইনকে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী পরিবার নিয়ে রাজধানীর মিরপুরে বাস করেন। সেখানে থেকেই সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের টিকলারটেক এলাকার একটি সেলুনে কাজ করতেন। কিছুদিন আগে রায়হান নামের এক যুবকের কাছ থেকে টাকা বাকি রেখে মোবাইল ফোন কেনেন তিনি। এই বাকি টাকা নিয়ে রায়হানের সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার রাতে কাউন্দিয়ায় দাওয়াত খেয়ে মিরপুরের বাসায় ফেরার পথে রায়হান ও আলামীনের সঙ্গে দেখা হয় নির্যাতিতা ওই নারী ও তার স্বামীর। এসময় তাদের পথরোধ করে মোবাইল ফোনের টাকা চায় রায়হান ও আলামীন। টাকা না পেয়ে ওই দম্পতিকে জোরপূর্বক টিকলার টেকের পাশে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বামীকে ওড়না দিয়ে হাত মুখ বেঁধে তার সামনেই স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে রায়হান, আলামীন ও তাদের সহযোগীরা।
এই ঘটনায় রাতেই নির্যাতিতার স্বামী সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর শনিবার রাতে কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলামীন ও রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গতকাল রোববার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
জেবি
মন্তব্য করুন