মেঘনায় ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ২০
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় মাটিবোঝাই ইঞ্জিচালিত নৌকাডুবির (ট্রলার) ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন।
বুধবার ভোরে উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিপুরা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন-পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মুণ্ডুমালা গ্রামের গোলাই প্রামাণিকের ছেলে সোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ হোসেন ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নূর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, ছায়দার আলীর ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাব হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন, লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দাসমরিচ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রামাণিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চণ্ডিপুর গ্রামের আমির খান ও আব্দুল লতিফের ছেলে হাচেন আলী এবং উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রহমত আলী।
তাদের ১৮ জনের মধ্যে ১৭ জনের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এবং একজনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, বুধবার ভোররাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ট্রলারে মাটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলী এলাকায় যাচ্ছিলেন ২৫-৩০ শ্রমিক। ট্রলারটি কালিয়াপুর নামক স্থানে পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্যাংকার তাদের ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে অন্যরা সাঁতারে প্রাণে বাঁচলেও এখনও ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলটি চাঁদপুরের মতলব উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিয়াপুর এলাকার মেঘনা নদীতে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
- ৪৬ দেশ ভ্রমণ শেষে লালমনিরহাট ঘুরে গেলেন এলিজা
- সুর্বণচরে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ওসি প্রত্যাহার
জেবি/ এমকে
মন্তব্য করুন