কৃত্রিম পায়ের অভাবে শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মুখে শান্তর
ট্রেন দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে এক জোড়া কৃত্রিম পায়ের অভাবে শিক্ষা জীবন অনিশ্চিয়তার মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী শফিকুল আলম খান শান্ত'র। তার দু’টি কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য সমাজের বৃত্তবান মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন শান্তর অসহায় বাব-মা।
২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার পথে সিরাজগঞ্জ সদানন্দপুর রেলস্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হন শফিকুল আলম খান শান্ত। এতে তার দুটি পা হারিয়ে ফেলেন।
শফিকুল আলম খান শান্ত অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শাহাজাহান আলীর ছোট ছেলে। শান্ত ছোট বেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ পান।
চিত্রাঙ্কন, উপস্থিত বিতর্ক বিষয়েও জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করে করেন শান্ত। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত গণিত বিভাগের ছাত্র শান্তের দিন কাটে এখন অশান্তির মধ্যে।
ট্রেন পথ চলার অবলম্বনটুকু ছিনিয়ে নিলেও স্বপ্নতো আর কেড়ে নিতে পারেনি। সেই স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরেই প্রতিটি মুহূর্ত কাটে শান্তর। কলিজা ছেড়া ধন, আদরের সন্তানের জন্য জাতির বিবেকের কাছে দু’হাত পেতে ধরলেন বাবা-মা।
শান্তর মা কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি আমার ছেলের ভবিষ্যৎ কামনা ২টি পা, তিনি যেন তাঁর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। তাঁর চিকিৎসা বাবদ আমার যা যা কিছু সম্পদ ছিল, টাকা-পয়সা, জমিজমা ছিল সব শেষ করেছি।
২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার এক জোড়া কৃত্রিম পায়ের জন্য ঝলমলে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন কী এভাবেই হবে? এ প্রশ্ন এখন শান্তর আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের।
এসএস
মন্তব্য করুন