আত্মসমর্পণ করলেন ৬ শতাধিক চরমপন্থী
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ জেলার ছয় শতাধিক চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনউদ্দিন স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশের এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
সন্ত্রাসী জীবনে জড়িয়ে পরিবার, স্ত্রী-সন্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা পালিয়ে বেড়িয়েছেন এতদিন। অনিশ্চিত জীবনে ছিল না এতটুকু শান্তি। তাই এবার স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চরমপন্থীরা।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ভুল বুঝে যারা উগ্রবাদ চরমপন্থী সংগঠনে যোগ দিয়েছিল, তারা নিজেদের ভুল উপলব্ধি করতে পেরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করছেন। জলদস্যু, মাদককারবারি ও চরমপন্থিরা সবাই একে একে আত্মসমর্পণ করছে। আমাদের পুলিশ গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে ১০ বছর আগের বাহিনীর তুলনা করা চলবে না। কারণ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ। তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে পার পাওয়া যাবে না। যে সকল চরমপন্থী সদস্যরা আত্মসমর্পণ করলেন তারা যেন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। আত্মসমর্পণকারীদের আইনি সহায়তার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ব্যবস্থা করবে সরকার।
গেল রোববার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সব ধরণের সহায়তা করা হবে। এরই অংশ হিসেবে রাজবাড়ী, খুলনা, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, বাগেরহাট, যশোর, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ ও টাঙ্গাইল জেলার অন্তত ২২ টি গ্রুপের ৬ শতাধিক চরমপন্থী আত্মসমর্পণ করলো।
আত্মসমর্পণকারীদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, বিস্ফোরক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তারা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। আত্মসমর্পণ করলেও তাদের নিয়মিত মামলা চলবে বলে জানা যায়।
এসএস
মন্তব্য করুন