বসত ঘরে মিলল সাড়ে চার হাত লম্বা গোখরা
রাজবাড়ী জেলা শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ট্রাক চালক মো. ওম্বার এর বসত ঘরে সাড়ে চার হাত লম্বা বিষধর গোখরা ধরা পড়েছে।
গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত ১২টার দিকে সদরের দাদশী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গোপিনাথদিয়া গ্রামের হঠাৎপাড়া এলাকা থেকে সাপটি ধরে জেলার খ্যাতনামা সাপুড়ে লিটন সরদার।
সাপুড়ে লিটন জানান, সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তাদের বসত ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা খয়েরী রংয়ের গোখরা সাপটি ধরি। সাপটি সাড়ে চার হাত লম্বা এবং সম্পূর্ণ বিষধর। বর্ষার এই মৌসুমে সাপের আনাগোনা বেড়ে যায়। তাই সবাইকে বলবো বাড়ি ঘর সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
আরও পড়ুন
জিএ/ এমকে
মন্তব্য করুন
‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় শিশুর শরীর ঝলসে দিলেন নারী
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক বৃদ্ধকে দেখে ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলায় পপি আক্তার (১০) নামে এক শিশুর শরীর গরম পানিতে ঝলসে দিয়েছেন ছায়ের খাতুন (৫৫) নামে এক নারী। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ওয়াজের বাড়িতে ঘটে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন।
আহত পপি আক্তার বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। সে স্থানীয় মৃত বিজলি আকতারের মেয়ে। ছোটবেলায় প্রথমে তার বাবা ও পরে মায়ের মৃত্যু হলে সে নানার বাড়িতে থাকত।
স্থানীয়রা জানান, কিশোরীটি অসহায় হওয়ায় প্রভাবশালীরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও শিশুর মামা মো. দিদার বলেন, বাবা-মা হারা কিশোরী পপি আক্তার বাড়ির উঠানে খেলছিল। এ সময় তার নানা সম্পর্কিত এয়ার মোহাম্মদ (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে দুষ্টুমি করে ‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু উঁহু’ বলে হাসাহাসি করে। কিছুক্ষণ পর এয়ার মোহাম্মদের ছোট ভাইয়ের বউ ছায়েরা খাতুন (৫৫) এসে ওই কিশোরীর শরীরে গরম পানি ঢেলে দিলে তার শরীর ঝলসে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাই। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমি ঘটনা শোনার পর কিশোরীর অভিভাবককে থানায় আসতে বলছি, তবে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। শুনেছি কিশোরীটি অসহায়, তার বাবা-মা কেউ নেই। অভিভাবকরা এলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
আরটিভি/এমকে-টি
গান গেয়ে উল্লাস করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
গান গেয়ে উল্লাস করে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, এক দল যুবক ‘মধু হই হই আঁরে বিষ খাওয়াইলা’ গানটি গেয়ে রীতিমতো উল্লাস করতে করতে খুঁটির সঙ্গে এক যুবককে বেঁধে পেটাচ্ছে। পরে ওই যুবকের মরদেহ রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসলেও গত ১৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রামে নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন দুই নম্বর গেট আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের নিচে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর দিন ১৪ আগস্ট ঘটনাস্থলের কয়েক কিলোমিটার দূরে প্রবর্তক মোড় থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধারের পর তা শনাক্ত করা হয়। নিহত যুবক নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি এলাকায় থাকতেন তিনি। চাকরি করতেন স্টেশন রোডে অবস্থিত ফলমন্ডির একটি দোকানে। হত্যার ভিডিওটি দেখে স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, এটি তার স্বামীকে মারারই দৃশ্য। এদিন রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে শাহাদাতের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।
এ ঘটনায় তার চাচা মোহাম্মদ হারুন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৩ আগস্ট দুপুর দুইটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যান শাহাদাত। সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার স্ত্রীর শারমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় শাহাদাতের। তখন কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় ফিরে আসবেন বলে স্ত্রীকে জানান। কিন্তু মধ্যরাত পর্যন্ত বাসায় ফেরেননি। এতে তার স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তখন তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে নিহতের চাচা হারুন জানতে পারেন প্রবর্তক মোড়ের অদূরে বদনা শাহ মিয়া (রহ.) মাজারের বিপরীতে সড়কের পাশে তার ভাতিজা শাহাদাত হোসেনের লাশ পড়ে আছে। ওই রাতেই পুলিশের সাহায্যে তিনি লাশটি উদ্ধার করেন। পরে লাশটি মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান রোববার রাতে বলেন, ‘খুঁটির সঙ্গে বেঁধে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর শাহাদাতের স্ত্রী সেটি দেখে নিশ্চিত করেন যে, মারধরের শিকার ব্যক্তিটিই তার স্বামী।’
তিনি বলেন, ‘যারা শাহাদাতকে হত্যার সাথে জড়িত তাদের খুব দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনা খুবই কষ্টকর। আমরা খুব দ্রুত আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করব, ইনশাআল্লাহ। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’
আরটিভি/এসএপি
তিস্তায় ভেসে আসা তরুণীর পরিচয় মিলেছে
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে পাওয়া মেহেদি রাঙানো দুই হাত বাঁধা নিহত তরুণীর পরিচয় মিলেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তার পরিবার তরুণীর পরিচয় নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আদিতমারী থানা পুলিশ।
এর আগে রোববার তিস্তা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। সোমবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে ওই তরুণীর ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, ওই তরুণীর নাম জোছনা আখতার (১৯)। তিনি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রামের জহর আলীর মেয়ে। নিখোঁজের ১৯ দিন আগে ডিমলার চাপানি গ্রামের জাহিদ হাসানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। জোছনা তার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গত বুধবার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। গত শুক্রবার বিকেলের পর থেকে কোনও খোঁজ মিলছিল না।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, ওই তরুণীর জামাকাপড়, নাকফুল ও গলায় রুপার মালা দেখে তার আত্মীয়স্বজন উদ্ধার হওয়া মরদেহটি জোছনার বলে শনাক্ত করেছেন। তবে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছি আমরা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরটিভি/এএএ
আড়াই মাস পর আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, বেরিয়ে এলো যে তথ্য
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালেয়ের ছাত্র আবু সাঈদের শরীরে শটগানের গুলির চিহ্ন মিলেছে। এ ছাড়া তার মাথায়ও বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আবু সাঈদের মৃত্যুর আড়াই মাস পর পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে, গত ১৬ জুলাই রাত ১২টায় আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার মুত্যুকে হোমিসাইডাল বা হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবু সাঈদের কানের ওপরের দিকে মাথার খুলিতে দৈর্ঘ্যে ৩ ইঞ্চি ও প্রস্থে দেড় ইঞ্চি আয়তনের গর্ত ছিল, যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং রক্ত জমাট বাঁধা ছিল। এ ছাড়া বুক, পেট ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট ছোট রাবার বুলেটের গর্ত ছিল। সেখান থেকেও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথার আঘাত, শরীরের রক্তক্ষরণের কারণে আবু সাঈদ শকে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশের তাক করা অস্ত্রের বিপরীতে বুক পেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন আবু সাঈদ। এ সময় পুলিশ সদস্যরা হঠাৎ তার দিকে রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। তখন সাঈদের হাতে একটি লাঠি ছিল, যা দিয়ে তিনি গুলি ঠেকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের গুলির সামনে তার বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকার ওই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় দেশব্যাপী তুমুল আলোড়ন শুরু হয় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলন আরও গতি পায়।
যে কারণে সীমান্তে বিএসএফ জওয়ান আটক
দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত থেকে উপল কুমার দাস নামে এক বিএসএফ জওয়ানকে আটক করেছে বিজিবি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে দিনাজপুর বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এক বিএসএফ সদস্য গরু-ছাগল তাড়ানোর জন্য জিরো লাইন ক্রস করে বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়েন। এ সময় তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি বিএসএফের কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। বিজিবি ও বিএসএফ কর্মকর্তাদের আলোচনার পর তাকে ফেরত দেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে/এসএ
বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাতকে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ঘোষণা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বাতিল করে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত এ রায় দেন।
বাদীপক্ষের অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন আসাদ জানান, চসিকের নির্বাচন বাতিল চেয়ে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের দায়ের করা মামলায় তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিবাদী করা হয়েছিল চসিকের সাবেক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান, নির্বাচন কমিশনারের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আবুল মনজুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, মুহাম্মাদ ওয়াহেদ মুরাদ, মো. জান্নাতুল ইসলামকে। তাদের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে চসিক কর্মকর্তারা রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচনের নামে ওইদিন শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। যে কারণে নির্বাচনে ভোটের হিসাব চেয়ে এখনও পাওয়া যায়নি। কোনও কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেওয়া হয়নি। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয়, ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচন সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়লাভ করেন। ওই নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।
আরটিভি/এসএপি-টি
স্বামীকে ৯ টুকরো করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলেন স্ত্রী
পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে ৯ টুকরো করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের ফরদাবাদ ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রাম থেকে অরুণ মিয়া নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, প্রায় ৩৫ বছর আগে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফরদাবাদ গ্রামের তারু মিয়ার মেয়ে মোমেনা বেগমকে বিয়ে করেন অরুণ মিয়া। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। অরুণ-মোমেনার দুই ছেলে ও এক কন্যা আছে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হন অরুণ। তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল সোমবার বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অরুণ মিয়ার পাশের বাড়ির সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। টর্চ লাইট দিয়ে ট্যাংকের ভেতরে দেখে পলিথিন মোড়ানো কয়েকটি বস্তু দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম, তার ছেলে রাসেল এবং মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম। তিনি জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কলহের একপর্যায়ে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে অরুণ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে লাশ নিজেই নয় টুকরো করে পলিথিনে পেচিয়ে ইট মুড়িয়ে পাশের বাড়ির মনিরের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
আরটিভি/এসএপি-টি