চুয়াডাঙ্গায় ক্লিনিকে সিলগালা, জরিমানা ৫০ হাজার
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ প্রয়োজনীয় অনুমোদন না নিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তার, নার্স না থাকার অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ২০০৯ আইনের ৫৩ ধারায় ওই ক্লিনিকের মালিক ডা. তরিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমানের নেতৃত্বে আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়।
এই ক্লিনিকে অপারেশন করে গেল ১২ সেপ্টেম্বর আমেনা খাতুন নামে এক নারী সন্তান প্রসবের পর মারা যান। ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসা হয়েছে মর্মে প্রশাসনে অভিযোগ করেন ওই নারীর আত্মীয়-স্বজন। অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধ ক্লিনিক আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতাল ও এর মালিক ডা. তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এর আগে বেশ কয়েকবার অপচিকিৎসার অভিযোগ আছে বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কে আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালে কোনও বৈধ কাগজপত্র ও অনুমোদন নেই। অথচ ওই ক্লিনিকে দেদারছে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছিল। এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর এ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান জানান, বৈধ কাগজপত্র ও অনুমোদন না থাকার অভিযোগে ক্লিনিকটি সিলগালা একইসঙ্গে ডাক্তার-নার্সের অনুপস্থিতি এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ রক্ষা না করার অভিযোগে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারা অনুযায়ী অবৈধ এ ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালে বৈধতা না থাকার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে। এছাড়া গেল ১২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার অভিযোগে এক প্রসূতি অস্ত্রোপচারের পর মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়।
জেবি
মন্তব্য করুন