আজ লালনের আখড়ায় বসছে ৩ দিনের সাধুর মেলা (ভিডিও)
আজ পহেলা কার্তিক। উপমহাদেশের প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক সাধক, বাউল সম্রাট ফকির লালনের ১২৯ তম তিরোধান দিবস।
‘বাড়ির পাশে আরশিনগর, সেথা এক পড়শি বসত করে’ এই স্লোগানে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় তার আখড়াবাড়ীতে আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের লালন স্মরণোৎসব। রাতে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি। ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশ থেকে লালনের ভক্তরা এসে জড়ো হয়েছেন। উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
কালী নদীর তীরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়ায় গুরু সিরাজ সাঁইয়ের সঙ্গে ঘুরে জ্ঞান অর্জন করে ফকির লালন বাউল সম্রাটে পরিণত হন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক আধ্যাত্মিক এই সাধকের মৃত্যুর পর প্রথমে ছেউড়িয়ার আখড়া কমিটি ও পরে লালন একাডেমির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান চলে আসছে। এবারও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তিনদিনের আয়োজন করেছে লালন একাডেমি।
লালন অনুসারী হৃদয় শাহ ফকির বলেন, শুধু লালন ফকিরকে স্মরণ করতে নয়-মনের মানুষের সন্ধান করা, খাঁটি করে গড়ে তুলতে নিজেকে বার বার লালন ভক্তরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এবারও দেশ বিদেশ থেকে লালন অনুসারী, লালন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা আখড়াবাড়িতে এসেছেন। খণ্ড খণ্ডভাবে আস্তানায় অবস্থান নিয়েছেন তারা। সেখান থেকেই তারা লালনের অহিংস মানবতার ধর্ম প্রচার করছেন।
এদিকে, কালী নদীর তীরে বসেছে বাউল মেলা। আজ রাত সাড়ে আটটায় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লালন উৎসবের সূচনা হবে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি আসলাম হোসেন বলেন, অনুষ্ঠান সুষ্ঠু করতে ও দেশি- বিদেশি সকল ভক্তদের যাতে কোনও ধরনের অসুবিধা না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি টিভি, ওয়াচ টাওয়ার, চেকপোস্টসহ পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী এই লালন উৎসব শেষ হবে আগামী শুক্রবার রাতে। ভক্তরা মনে করেন লালনের মানবমুক্তির বাণী সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারলেই এই অনুষ্ঠানের সার্থকতা। তারা মনে করেন বিশ্ব শান্তির জন্য একদিন সবাই এভাবেই লালনের দ্বারস্থ হবে।
জেবি
মন্তব্য করুন