ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয় গাছে
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক মাদরাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গাড়ফা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মাদরাসাছাত্রীর নাম হালিমা খাতুন (১২)। সে ওই গ্রামের হাসেন আলীর মেয়ে এবং গাড়ফা দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতের বাবা হাসেন আলী জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে হালিমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একই এলকার লাদেন। সন্ধ্যার পরেও হালিমা বাড়িতে না আসায় খুঁজাখুঁজি শুরু করি। রাত বারোটার দিকে একজন পথচারী খবর দেয় গাড়ফা ত্রিমোহনী এলাকায় গাছের ডালে হালিমার মরদেহ ঝুলে আছে। পরে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হালিমার লাশ গাছের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় দেখতে পাই।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে একই গ্রামের বুলুর ছেলে ছোট্ট (১৮) জড়িত আছে বলে আমার সন্দেহ হয়।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: ধর্ষণের শিকার তরুণীর লাথি খেয়ে পালালো ৩ ধর্ষক
---------------------------------------------------------------
খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যায়।
মেয়ের ছোট মা শাহনাজ বেগম বলেন, আমার মেয়ে খুব ভালো ছিল। তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। সকালে মেয়ের বাবা থানায় এসে দুইজনের নামে একটি অভিযোগ করেছেন। সোমবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।
জেবি
মন্তব্য করুন