প্রেমিক পরিচয়ে ডেকে নিয়ে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধানক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেছে সাইম (২৫) নামের এক সন্তানের জনক। গেল শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার পশ্চিম রাজনগর গ্রামে প্রেমিকের পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটায় সাইম।
নির্যাতিতার পাারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর (১২) সঙ্গে একই মাদরাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী (বর্তমানে ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত) মাজেদুলের (২০) গেল তিন মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ঘটনার রাতে অপরিচিত নম্বর থেকে মাজেদুলের পরিচয় দিয়ে বাড়ির পেছনে দেখা করতে বলা হয় ওই ছাত্রীকে। পরে ওই ছাত্রী দেখা করতে বাড়ির পেছনের একটি ধানক্ষেতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর প্রেমিক মাজেদুলের পরিবর্তে এলাকার মজিবরের ছেলে বিবাহিত সাইমকে দেখতে পায় ওই ছাত্রী। এ সময় সাইম কিশোরীর মুখ চেপে ধরে ধারালো ছোরা বের করে হত্যার হুমকি দেয় এবং ধানক্ষেতের পাশে ফেলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর কিশোরী বাড়িতে এসে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করে ও ঘটনা খুলে বলে।
--------------------------------------------
আরো পড়ুন: চানাচুরের লোভ দেখিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
--------------------------------------------
ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই ছেলের (সাইমের) বাবাসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশে বসে। সালিশে অভিযুক্ত সাইমকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আপসের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কিশোরী ও তার পরিবার তা না মেনে সুবিচারের আশায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বকুলের শরণাপন্ন হন। পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল আরটিভি অনলাইনকে জানান, এ বিষয়ে সাতজনের নাম ও তিন থেকে চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করা হয়েছে।
গেল সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি শহিদুল ও খোরশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন