মারধরে আহত মা বিচারককে বললেন আমার ছেলেকে ছেড়ে দিন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের জামপুর গ্রামে বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় ইমাম হোসাইন (৩০) নামে মসজিদের এক ইমামকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে আড়াইহাজার উপজেলার ছোট ফাউশা গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাজির করা হয়।
এ ঘটনায় আহত ওই মায়ের সুপারিশেই মুচলেকা দিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের আদালত থেকে ছাড়া পায়।
আটক ইমাম হোসাইন সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।
তিনি আড়াইহাজার উপজেলার ফাউসা কুটি বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম।
সোনারগাঁয়ের তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আহসান উল্লাহ জানান, বৃদ্ধা ফাতেমা বেগম শনিবার রাতে নিজের ছেলে ইমাম হোসাইনের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ইমাম হোসাইনকে আটক করা হয়।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: লাশ দেখতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন মা ও মেয়ে
---------------------------------------------------------------
অভিযোগের বরাত দিয়ে আহসান উল্লাহ আরও জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আদালত থেকে একটি সমন শনিবার দুপুরে ইমাম হোসাইনের কাছে পৌঁছায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ওই ইমাম।
পরে স্থানীয়রা ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর রাতে নিজে বাদী হয়ে ছেলে ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফাতেমা বেগম। আটক ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়। পরে বিচারিক প্রক্রিয়ার সময় আহত মা তার ছেলে আর এমন করবে না বলে সুপারিশ করলে মুচলেকায় দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার জানান, অভিযুক্ত ইমামকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু বিচারিক প্রক্রিয়ার সময় আহত মা তার ছেলে আর এমন করবে না বলে সুপারিশ করে। পরে তার মায়ের কথা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে এমন করবে না মুচলেকায় সে ছাড়া পায়।
জেবি
মন্তব্য করুন