স্কুলে সচিব আসবেন তাই ক্লাস বন্ধ করে চলছে কসরত
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাইমহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বাদ দিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত শেখানো হচ্ছে। কারণ বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন। এতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিদ্যালয়টির আশপাশের স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন ওই বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসবেন। সেজন্য ওই গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রবি মিত্রর বাড়ির উত্তর পাশে একটি খোলা জায়গায় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের শারীরিক কসরত করানো হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে এই শারীরিক কসরত করানো হচ্ছে। অবশ্য দুপুরে এক ঘণ্টা খাওয়ার বিরতি দেয়া হয়।
এই শারীরিক কসরত ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তত্ত্বাবধান করছেন। এদিকে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। তার আগে দিনভর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করাতে অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এই শারীরিক কসরতের পোশাকের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি চার শ’ করে টাকা নেয়া হচ্ছে বলে নাম পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের একক সিদ্ধান্তে এই শারীরিক কসরত করানো হচ্ছে বলে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মণ্ডলীও জানিয়েছেন।
সচিব মহোদয়কে বিদ্যালয়ের যে কক্ষে খাওয়ানো হবে সে কক্ষটি সাজ-সজ্জার জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে বলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম বলেন, শারীরিক কসরত শিক্ষাও প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীদের সারা বছর শারীরিক কসরত করানো হয়।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, ক্লাস বন্ধ রেখে শারীরিক কসরত শেখানোর বিষয়ে তার কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেয়া হয়নি।
এজে
মন্তব্য করুন