জঙ্গিবাদ সঠিক পথ নয়, বললেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাগরের মা
রাজধানীর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাত আসামির একজন হাদিসুর রহমান সাগর। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের কয়রাপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডা. হারুনূর রশিদ ও মা আছিয়া বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে মেঝ।
সাগর ২০০৫ সালে কয়রাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে। তারপর তিনি বানিয়াপাড়া মাদ্রাসা থেকে ২০০৭ সালে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন কিন্তু পরীক্ষায় ফেল করে। এরপর তিনি বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হন এবং পরে জানা যায় তিনি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
সাগরের বাবা পল্লী চিকিৎসক ডা. হারুনুর রশিদ বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন। এখন তিনি ঠিকমতো চোখে দেখতে ও চলাফেরা করতে পারেন না। আর কারও সঙ্গে তেমন কথাও বলেন না। সাগরের বড় ভাই ঢাকায় গার্মেন্টসে এবং ছোট ভাই জাহাজ কোম্পানিতে চাকরি করেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সাগরের মা বাড়িতেই ছোট একটি মুদি দোকান দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালান।
এদিকে সাগর গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই তার বড় মেয়ে হাদিয়া ও ছোট মেয়ে আতিয়া কয়রাপাড়া গ্রামে দাদার বাড়িতে থাকে। তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছে।
সাগরের মা আছিয়া বেগম জানান, গ্রামের মানুষের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমার ছেলের কথা। আমরা গরিব মানুষ বাবা কী বলব, কখন যে ছেলেটা এগুলোর সাথে জড়িয়ে গেছে বলতে পারব না, আমার ছেলে যদি এ কাজ করে থাকে অবশ্যই এ কাজটি সঠিক নয়, রাস্তাও সঠিক নয় এবং এভাবে সমাধানও হয় না, অপরাধী হলে অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত।
আমদই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু ও কয়রাপাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদুজ্জামান বেবী বলেন, ছেলেটা অনেকদিন ধরে এলাকা ছাড়া ছিল পরে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার কথা জানতে পারি। আজ তার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে এটাও মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি।
এজে/সি
মন্তব্য করুন