লৌহজংয়ে ভয়ঙ্কর বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা থেকে ভয়ঙ্কর বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মালির অংক গ্রাম থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
পরে সাপটিকে ঢাকার আগারগাঁও এর বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন বিভাগের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক আরটিভি অনলাইনকে জানান, রাসেল ভাইপার সাপের উৎপত্তি মূলত ভারতে। বাংলাদেশে এ সাপটি বেশি পাওয়া গেছে রাজশাহী জেলায়। এছাড়াও নোয়াখালী, চাঁদপুর এবার মুন্সীগঞ্জসহ দেশে প্রায় ১৮টি জেলায় এর সন্ধান পাওয়া গেছে। এ সকল জেলা থেকে বেশকিছু রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত বিষধর সাপটির দৈর্ঘ্য চার ফুট। মুন্সীগঞ্জ থেকে এটিই প্রথম উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে সাপটি বন্যার পানিতে পদ্মা নদী দিয়ে ভেসে এসেছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা তিনজনের একটি টিম চলে যাই ঘটনাস্থল লৌহজংয়ের মালিরঅংক গ্রামে। এটি রাসেল ভাইপার সাপ বলে নিশ্চিত হই। পরে সেখান থেকে সাপটি উদ্ধার করে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নিয়ে আসি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, স্থানীয় দোকানদার উজ্জ্বল সাপটিকে দেখতে পান। পরে উজ্জ্বল ও রাসেল নামের দুইজন সাপটি তাদের কাছে আটকে রাখে। এখানে আরও একটি সাপ ছিল। তবে সেটি পালিয়ে যায়। তাদের কাজ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজ পেয়েছি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগে পদ্মার চর থেকে রাসেল ভাইপারকে অজগর ভেবে এক ব্যক্তি বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। পরে রাসেল ভাইপারের কামড়ে তিনি মারা যান। এ সাপ কয়েকটি স্থানে বংশ বিস্তারও করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লৌহজং বন বিভাগের কর্মকর্তা আমান উল্লাহ আরটিভি অনলাইনকে জানান, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) মালিরঅংক গ্রামের দোকানদার উজ্জ্বল এর দোকানের পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবার কাছ থেকে রাসেল ভাইপার সাপটির সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর স্থানীয় একজন সাপটিকে হেফাজতে রাখে। পরে আমরাদের একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার সাপটিকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যায়।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন