ডাস্টবিন থেকে মরা মুরগি তুলে সাপ্লাই করতো তারা
নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারগুলোর ব্যবসায়ীদের ফেলে দেওয়া মরা মুরগি ডাস্টবিন থেকে সংগ্রহ করতো তারা। পরবর্তীতে শহরের খাবার হোটেলগুলোতে এই মুরগিগুলো সাপ্লাই করতো তারা। এভাবেই ঘৃণ্য একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিলো। সেই চক্রের সঙ্গে জড়িত অনু দাস ও তার সহযোগী জব্বার প্রতিদিনের মতো ডাস্টবিন থেকে তুলে আনা মরা মুরগি সংগ্রহ করে নগরীর প্রেসিডেন্ট রোডে অবস্থিত খাবার হোটেলগুলোতে সাপ্লাই করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে অনু দাস। এ সময় অনুদাসকে গ্রেপ্তার করে এক বছরের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অনুর সহযোগী জব্বার।
গ্রেপ্তার হওয়া অনু দাস ভ্রাম্যমাণ আদালতে দোষ স্বীকার করে জানান, প্রতিদিন ডাস্টবিন থেকে মৃত মুরগি সংগ্রহ করে তাদের চক্রটি বিভিন্ন খাবার হোটেলে সরবরাহ করে। বেশ কিছুদিন যাবত সে নগরীর খাবার হোটেলগুলোতে মৃত মুরগি সরবরাহ করে আসছিল। প্রতিটি দোকান থেকে এর জন্য তারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পেত।
নগরীর কোন কোন হোটেলে তারা মৃত মুরগি সরবরাহ করে জানাতে চাইলে অনু দাস বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট রোডের কয়েকটা দোকান আর হকার মার্কেটের হোটেলগুলায় এই মুরগি বিক্রি করতাম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আমরা একজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই মুরগি হোটেলে রাখার অপরাধে মক্কা-মদিনা স্টোরকে ২০ হাজার ও মক্কা-মদিনা হোটেলকে ৫০ হাজারসহ মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেবি
মন্তব্য করুন