পরিবারের দাবি হত্যা, পুলিশ বললো আত্মহত্যা
বরগুনার আমতলী থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা হত্যা মামলার সন্দেহভাজন এক আসামি মারা গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রশি কেটে তার মরদেহ নামানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম শানু হাওলাদার। তিনি উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের হযরত আলী হাওলাদারের ছেলে।
পুলিশের দাবি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষের সিলিং ফ্যানে রশিতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে রশি কেটে তার মরদেহ নামানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রী ও ডিউটি অফিসার এসআই আরিফকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন (পিপিএম) তাদেরকে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, গেল বছরের তিন নভেম্বর আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত কোনও আসামি না থাকলেও গেল সোমবার রাতে সন্দেহভাজন হিসেবে শানু হাওলাদারকে আটক করে পুলিশ। রাতে ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রীর কক্ষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়। আবুল বাশার দাবি করেছেন, রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। থানার সেন্ট্রি ২৬ মার্চ সকালে শানুকে বাথরুমে নিয়ে যায়।
পুলিশের দাবি, বাথরুম থেকে ফিরে এসে শানু দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, শানুর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শানুর ছেলে সাকিব হাওলাদার জানিয়েছেন, পুলিশ তাদের কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। তারা ১০ হাজার টাকা পুলিশকে দিয়েছেন। শানুর স্ত্রী ঝর্ণা বেগম জানিয়েছেন, টাকা দিতে না পারায় পুলিশ তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন-পিপিএম জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) তোফায়েল আহম্মেদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জেবি
মন্তব্য করুন