খুব দ্রুতই খাদ্যমন্ত্রীর খাদ্য পৌঁছবে নওগাঁয়
করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নওগাঁবাসীর জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ, চিকিৎসা উপকরণসহ নানা ধরনের সহায়তা প্রদানের কথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। দু’য়েক দিনের মধ্যেই সেগুলো জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করার কথা জানান তিনি।
নিজ নির্বাচনী এলাকা নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, সাপাহার, পোরশা) আসনে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর সময় মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রীর উদ্যোগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
মোবাইল ফোনে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলার জন্য প্রায় দেড় লাখ মাস্ক, ৩০০ সেট পিপিই ও দুই লাখ লিফলেট প্রস্তুত করা হয়েছে। চিকিৎসা সামগ্রীগুলো চিকিৎসক, পুলিশ, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে সরবরাহ করা হবে।
মন্ত্রীর নিজস্ব তহবিল থেকে তার নির্বাচনী এলাকার তিন উপজেলার জন্য প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণের আওতায় আনা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। দ্রুতগতিতে চলছে ত্রাণসামগ্রী প্যাকেট করার কাজ। ত্রাণের প্যাকেটে থাকবে চাল, ডাল, সাবান, চিনি, তেল, লবণ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। যা একটি পরিবারের সাত থেকে ১০ দিনের চাহিদা মিটবে। দুই এক দিনের মধ্যেই এসব বিতরণ করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারিভাবে প্রতিটি উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় ত্রাণ বিতরণ চলছে। এসব কাজে যাতে কোনও অনিয়ম না হয় সেদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরকে কড়া দৃষ্টি রাখার তাগিদ দেন তিনি।
এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। গুজবে কান দিবেন না। সরকারিভাবে প্রচারিত নিয়মকানুন মেনে কিছুদিন ঘরে অবস্থান করুন। জনসমাগমে মিলিত হবেন না। সাবান পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। নিত্যপণ্যের বাজার দর স্বাভাবিক আছে। এরপরও যদি কেউ অসৎ উদ্দেশে বেশি দর আদায়ের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পণ্য কিনতে দোকানে গিয়ে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য সকলকে পরামর্শ দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
জেবি
মন্তব্য করুন