প্রেমঘটিত সালিশের টাকা চেয়ারম্যানের পকেটে!
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে ভেকু চালক ও এক কিশোরীর প্রেমঘটিত সালিশের ২৫ হাজার টাকা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতব্বররা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে! এ নিয়ে এলাকায় বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আজাহার মিয়ার পুকুর খনন করতে যায় একই উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের জাহিদ হাসান(৩৫)। নিয়মিত পুকুর খননের একপর্যায়ে পাশের বাড়ির এক কিশোরীর সঙ্গে ভেকুচালক জাহিদ হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে এলে গেল ১৩ মে রাতে ওই কিশোরী ও জাহিদ হাসানকে প্রেমলীলায় মত্ত থাকাবস্থায় স্থানীয় যুবকরা তাদের আটক করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য চান মিয়া প্রেমিক জুটিকে তার হেফাজতে নিয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে সালিশের আয়োজন করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য চান মিয়ার বাড়িতে অনুষ্ঠিত ওই সালিশে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় মাতব্বর আজগর আলী, মঞ্জুরুর হক কালু, আজাহার মিয়া ও ইউপি সদস্য চান মিয়া।
সালিশে ভেকু চালক জাহিদ হাসান ও ওই কিশোরী তাদের প্রেমলীলার কথা স্বীকার করে। পরে উপস্থিত মাতব্বররা জাহিদকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানার ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ওই কিশোরীর নানা আব্দুল কাদেরের হাতে ৪৫ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়। বাকি ২৫ হাজার টাকা বিবিধ খরচ দেখানো হয়।
শোলাকুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, কিশোরীর পরিবার অত্যন্ত নিরীহ। তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সালিশে জাহিদ হাসানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার ৪৫ হাজার টাকা কিশোরীর পরিবারকে দেয়া হয়েছে। বাকি ২৫ হাজার টাকা প্রশাসন সহ বিবিধ খরচ হিসেবে ব্যয় করা হয়েছে।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিক কামাল জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। সালিশের বিষয়টিও তিনি অবগত নন। তবে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেবি
মন্তব্য করুন