যুবলীগ কর্মী নিহতের ঘটনায় বাউফলের রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত
পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের বিবাদমান এমপি আ.স.ম ফিরোজ এবং পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী তাপস দাস নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে বাউফলের রাজনীতির মাঠ।
এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দফায় দফায় মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের এমপি আ.স.ম ফিরোজের সমর্থকরা। তারা তাপস হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এমপি গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা।
অপরদিকে তাপস হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গ্রুপের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করায় তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় তারাও এখন বসে নেই। তারা আরও সংঘবদ্ধ হচ্ছে এবং যে কোন পাল্টা হামলার জন্য সর্বশক্তি গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ঘটার জন্য বাউফল আওয়ামী লীগের এমপি আ.স.ম ফিরোজ গ্রুপ এবং মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গ্রুপ একে অপরকে দায়ী করেছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের দফায় দফায় সহিংসতায় বাউফলের সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে বাউফলের রাজনৈতিক মাঠ। যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের ওই বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা কররেছন বাউফলের সচেতন মানুষ। এ ঘটার জন্য বাউফল আওয়ামী লীগের এমপি আ.স.ম ফিরোজ গ্রুপ এবং মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গ্রুপ একে অপরকে দায়ী করেছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাপস হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্যদেরও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত রোববার (২৪ মে) দুপুর একটার দিকে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলের নির্দেশে পৌরসভার কর্মী-সমর্থকরা শহরের ডাকবাংলোর সামনে তোরণ নির্মাণ শুরু করে।
খবর শুনে স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ গ্রুপের নেতা ইব্রাহিম ফারুক তার দলবল নিয়ে তোরণ নির্মাণে বাধা দেয়। এতে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় চলে দুই গ্রুপের এ সংঘর্ষ। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে এমপি গ্রুপ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাসসহ উভয় গ্রুপের চারজনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর পরবর্তীতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাপসকে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং রাত আটটার দিকে তাপস মারা যায়।
আর এ ঘটনাকে ঘিরে বাউফলের শান্ত রাজনৈতিক মাঠ আবার অশান্ত হয়ে ওঠেছে। এ ঘটার জন্য বাউফল আওয়ামী লীগের এমপি আ.স.ম ফিরোজ গ্রুপ এবং মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গ্রুপ একে অপরকে দায়ী করেছেন।
জেবি
মন্তব্য করুন