বিরামপুরে স্পিরিট পানে ১০ জনের মৃত্যু, আরও এক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের বিরামপুরে ঈদের রাতে বন্ধুদের নিয়ে বিষাক্ত রেক্টিফাইট স্পিরিট খেয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ ১০জনের মৃত্যু ঘটনায় রফিকুল ইসলাম (৫০) নামে আরেক আসামিকে আটক করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ।
ঘটনার দিন ওই মামলার প্রধান আসামি গ্রাম্য ডা.আব্দুল মান্নানকে আটক করা হয়।
এর আগে গেল ২৯ মে পৌরশহরের নতুন বাজার এলাকায় উপজেলা প্রসাশন,পুলিশ ও জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করে সরকার হোমিও হল নামের একটি দোকান থেকে ১৯ টি কার্টুনে ৪১০৪ বোতল রেক্টিফাইট স্পিরিটের বোতল উদ্ধার করেছে। তবে ওই ঘটনায় ওই দোকানের সত্ত্বাধিকারী আসাদকে (৫০) আটক করা সম্ভব হয়নি ।
গেল শুক্রবার রাত ১১টায় উপজেলা পূর্বজগন্নাথপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। আটক রফিকুল পূর্বজগন্নাথপুর এলাকার (বকুলতলা) মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪টি মাদকের মামলা রয়েছে আটক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জমান মনির জানান, ঈদের রাতে বন্ধুদের নিয়ে বিষাক্ত রেক্টিফাইট স্পিরিট খেয়ে উপজেলার মাহমুদপুর ও হঠাৎপাড়া স্বামী স্ত্রীসহ ওই এলাকার দুইগ্রামের ১০ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ওই দিন গ্রাম্য ডা. আব্দুল মান্নান নামের এক হোমিও চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে ডা.আব্দুল মান্নান, রফিকুলসহ বেশ কয়েক জনের নামে মামলা হয়।
উল্লেখ্য, গেল ২৭ মে বিরামপুর পৌরশহরের মাহমুদপুর এলাকায় বিষাক্ত রেক্টিফাইট স্পিরিট পানে স্বামী-স্ত্রীসহ ১০ জন মারা যান। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পৌরশহরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদপুর এলাকার আনোয়ারুল ইসলামে ছেলে আব্দুল মতিন (২৭), তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৩) একই এলাকার সুলতান মাহমুদের ছেলে মহসিন আলী (৩৮)।
হঠাৎপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা (৩৫)। শহরের ইসলাম পাড়া এলাকায় তাপস কুমারের ছেলে অমৃত রায় (২৫)। মাহমুদপুর এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সোহেল রানা (৩০) এবং আবুল হোসেনের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৪২) এবং আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল আলিম (৪০)। এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন, জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর সাত্তার (৩৭), শহিদুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (২১), গোলাম মোস্তফার ছেলে জার্জেস শাহ (৩৮) আব্দুল খালেকের ছেলে শাহিন (৩২)। তারা সাবাই পৌরশহরের মামুদপুর এলাকার বাসিন্দা।
জেবি
মন্তব্য করুন