মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েও বসবাস! (ভিডিও)
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে হাজারো পরিবার। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির অভাবে প্রতি বছর গড়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বসতি। গেল কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও বসতি স্থাপনকারীরা সরে যেতে রাজি নয়।
এবছর খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে এখনো বড় ধরণের দুর্ঘটনার খবর নেই। তবে ছোট খাটো পাহাড় ধসের ঘটনা লেগেই আছে। খাগড়াছড়ির জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন কয়েকশ পরিবার।
থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড় চুড়া কিংবা ঢালুতে বসবাসকারীদের মধ্যে আতংক বেড়েছে। পাহাড়ি খাস জমিতে বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারই নয়, প্রভাবশালীরাও পাহাড় কেটে বা পাহাড়ের পাদদেশে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করে চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বৃষ্টি হলে দেখা যায় না। এর জন্য বসে থেকে পাহারা দিতে হয়। কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলে আমাদের ঘর নিচের দিকে চলে যাবে। এ ঘর-বাড়ি যদি ভেঙে পরে যায়, আমরা তো গরিব মানুষ। আমরা তো মারা যাব।
পাহাড় কাটা নিয়ে আইন থাকলেও খাগড়াছড়িতে আইনের তেমন প্রয়োগ দেখা যায়নি। সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি প্রশাসনকে প্রয়োজনে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি সবার।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, ভারী বর্ষণ হলে এখানে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। প্রশাসনের উচিৎ যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই পাহাড় কাটছে তাদের সচেতন করা। আর যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে আইনের প্রয়োগ করা।
ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রয়োজনে সেখানকার বসবাসকারীদের জোরপূর্বক সরিয়ে নেবে জেলা প্রশাসন। তবে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস পাহাড় ধস প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনও বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সচেতন করতে পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পাহাড় ধসে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।
এসএ/এসএস
মন্তব্য করুন