• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
নলছিটিতে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ঝালকাঠিতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে মাইকিং
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।  রোববার (২৬ মে) সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। রাতে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে। নদী পাড়ের সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রচারণা করছে জেলা তথ্য অফিস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। জেলার অভ্যান্তরীণ ও ঢাকাসহ সকল রুটের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সকাল ১০টা থেকে ঝালকাঠিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী পাড়ের মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুত নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৩৯টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দল, নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য ৪শ’ টন চাল মজুত রয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রোববার দুপুরে জরুরি সভা করেছে। সভায় জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম সভাপতিত্ব করেন। এ সময় পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির, সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠিতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি
‘জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে’
ঝালকাঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বেদম পিটুনি
ঝালকাঠিতে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে তিন বছরের এক শিশুকে ধষর্ণের অভিযোগ উঠেছে সাজ্জাদ হোসেন (১৭) নামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। রোববার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে শহরের ব্র্যাকমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  পুলিশ ঘটনার চার ঘণ্টার মাথায় অভিযুক্ত কিশোর সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া সাজ্জাদ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা এলাকার শাহাদাত হোসেনের ছেলে।  ধর্ষণের শিকার শিশুর মা জানান, স্বামীর সঙ্গে তার বিরোধ থাকার কারণে মেয়েকে নিয়ে ঝালকাঠি শহরের ব্র্যাক মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। সাজ্জাদ তার মেজো ভাইয়ের শ্যালক হয়। মাঝে মধ্যে সে ব্র্যাক মোড়ের বাসায় আসা যাওয়া করতো। গতরাতে তিনি নামাজ পড়ছিলেন, এ সুযোগে মেয়েকে একা পেয়ে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে সাজ্জাদ। মেয়ের খালা বিষয়টি টের পেলে মোবাইল ফোন রেখে পালিয়ে যায় সাজ্জাদ। পরে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনা জানার পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদ নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেয়েটি সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে, তাকে সেখানেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। 
সাংবাদিকতা করা হলো না তুষার হালদারের : পরিবারে চলছে মাতম
সাংবাদিকতা করা হলো না তুষার হালদারের। রাজধানীর বেইলি রোডে সাততলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সদ্য স্নাতক শেষ করা ঝালকাঠির সন্তান তুষার হালদারের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তুষার হালদার ‘স্টার টেক’ নামের একটি আইটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। আগে তিনি ‘দ্য রিপোর্ট’ অনলাইনে ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করতেন। শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে ছেলের মরদেহ নিয়ে ঝালকাঠি আসেন তার বাবা দীনেশ হালদার। তুষার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়া গ্রামে।  তুষারের স্বজনরা জানান, বন্ধুদের সঙ্গে কনভোকেশন নিয়ে নানান পরিকল্পনা ছিলো তার। বাবা-মাকেও কনভোকেশনে নেওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছিলেন তুষার। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তুষার হালদার গ্রামের বাড়িতে চলছে মাতম।   শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন জানান, তুষার ছিল তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান এবং খুবই মেধাবী। সাংবাদিকতা পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেছে সে। লেখাপড়ার জন্য সে ঢাকায় থাকতো। তার এ অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঝালকাঠিতে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
ঝালকাঠি শহরের কালিবাড়ী সড়কের একটি বাসা থেকে ২২০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হওয়া কমল চন্দ্র শীল (৪২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ওয়ালিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।  রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ১৬ আগস্ট রাত ৯টায় ঝালকাঠি শহরের কালিবাড়ি সড়কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার একটি টিম। এ সময় অভিযানে কমল চন্দ্র শীলের বাসা থেকে ২২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরের দিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আ্উনে মামলা দায়ের করে।  একই বিভাগের উপ-পরিচালক ইসতিয়াক হোসেন ২০২২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে রায় ঘোষণা করেন।  সরকারের পক্ষে পিপি আব্দুল মন্নান রসুল ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মানিক আচার্য্য মামলা পরিচালনা করেন।  রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে জানিয়েছেন আসামির আইনজীবী।
সরকারকে বিব্রত করতেই চালের মূল্যবৃদ্ধি : ভোক্তার ডিজি
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতেই অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। যারা চালের দাম বাড়াচ্ছে রমজানের আগেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ঝালকাঠির বিভিন্ন বাজারে খোলা তেল বিক্রয়বিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, রমজানে সবগুলো পণ্যেরই চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এ সুযোগে মজুতদারিরা সুবিধা ভোগ করে। ভোক্তা অধিকার মজুতদারিদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ভোক্তা অধিকার গোডাউনগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। কোথাও যদি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়, এ ধরনের তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোক্তা অধিকার ইতোমধ্যেই পাইকারি বাজারে মনিটরিং করছে। রমজানের শুরুতেই অনেকে এক মাসের পণ্য কিনেন, তাতে বাজারে পণ্যের ওপর চাপ পড়ে। এতে সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটা গ্রহণ করে দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তাদের কাছে পরামর্শ হচ্ছে, একসঙ্গে পণ্য না কিনে ধাপে ধাপে কিনলে বাজারটা অস্থির হবে না।  খোলা তেল মার্কেট থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, খোলা তেল পরিহার করতে হবে, বোতলজাত তেলের মধ্যে ভিটামিন এ পাওয়া যাচ্ছে, তাই বোতলজাত করা তেল কিনতে হবে। খোলা তেল কোথা থেকে আসছে, কোন কোম্পানির তা শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই কাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো, তা-ও বোঝা যাচ্ছে না। খোলা তেল আমরা মার্কেট থেকে উঠিয়ে নেবো। কারণ, এতে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি আছে।  বাজার মনিটরিং শেষে চেম্বার অব কমার্স কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়য় করেন ভোক্তা অধিকারের মহাপারচালক। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার, বিভাগীয় উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও ঝালকাঠি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা।