কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম সেলিম তালুকদার (৩২)। বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেলিমের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মল্লিকপুর টিঅ্যান্ডটি এলাকায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি নলছিটিতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সেলিমের মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহ নেওয়া হয় বাড্ডা লিংক রোডের বাসায়। সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাত আড়াইটার দিকে তার মরদেহ বাড়ি পৌঁছালে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় তার আত্মীয় স্বজন ও সহপাঠীরা কান্না ভেঙে পড়েন।
নিহত সেলিম তালুকদার রমজান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পৌরসভার টিএনটি এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে। তিনি বিজিএমই ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ২ বছর আগে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করে নারায়ণগঞ্জের মেট্রো নিটিং অ্যান্ড ডায়িং মিলস লিমিটেডের সহকারী মার্চেন্ডাইজার পদে চাকরি করতেন।
সেলিমের বাবা সুলতান তালুকদার বলেন, ঘটনার দিন সেলিম বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন তিনি। এ সময় মাথায়, বুকে ও পিঠে তার গুলি লাগে। ফুসফুসেও লাগে গুলি। চার হাসপাতাল ঘুরে শেষে ধানমন্ডির পপুলারে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।