• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
বিএনপি জাতীয় সরকার করলে জোট হবে, অন্যথায় পৃথকভাবে নির্বাচন: নুর
কুয়াকাটা বিএনপি নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ২ 
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় পৌর বিএনপির নেতা ও আবাসিক হোটেল রনির মালিকের বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা এ সময়ে বাড়ির মালিককে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতদের মারধরে দুজন আহত হয়েছেন।  সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির মানিক মিয়ার ৪নং ওয়ার্ডে অবস্থিত বাসায় ৭-৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত সোমবার রাত আনুমানিক দুটার দিকে ঘরে ঢুকে বাড়ির মালিক মানিক মিয়াকে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে এ ডাকাতি করে। মানিক মিয়ার দাবি, ডাকাতরা পিস্তল ঠেকিয়ে ঘরের আলমিরার চাবি নিয়ে খুলে নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণলংকার, ৪টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে। আলমিরার চাবি না দিতে চাইলে তাকে এবং তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে আহত করা হয়। তবে ডাকাতরা মুখোশ পরে থাকায় তাদেরকে চিনতে পরেনি কেউ। মানিক মিয়া ও তার স্ত্রীর দাবি করেন, ঘটনার পরপরই মহিপুর থানা পুলিশকে ফোন দেওয়া হলেও থানা পুলিশ ফোন রিসিভ করেনি। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলেও ততক্ষণে ডাকাতরা সটকে পড়ে। পরে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আমরা রাতে কোনো ফোন পাইনি। সকালে ঘটনা শুনে কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমল কৃষ্ণ মন্ডল মহোদয় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজসহ ৩৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার হলো বৃদ্ধার মরদেহ
গুলিতে নিহত ইমরান মাকে বলেছিলেন, ‘দেশ স্বাধীন হবেই’
‘ওরা আমার ছেলেকে ছয়বার গুলি করেছে’
গুলিবিদ্ধ হয়েও মাকে মিথ্যে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন বাকি বিল্লাহ
‘আমার সামনেই পুলিশ-বিজিবির গুলিতে কয়েকটি তাজা প্রাণ ঝরে যায় চোখের পলকে। তখন আমিও গুলিবিদ্ধ। বাম হাত নাড়াতে পারছি না, এর মধ্যে আরেকজন গুলি খেয়ে আমার সামনেই লুটিয়ে পড়ে। ডান হাত দিয়ে কোনো রকম তাকে আগলে সামনে অগ্রসর হতেই আমার বাম পায়ের রানে পেছন দিক থেকে আরেকটি গুলি এসে লাগতেই মাটিতে পড়ে যাই। তখন আশপাশ থেকে কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যায়। আমি ততক্ষণে অচেতন হয়ে পড়ি।’  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে এমনই লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিলেন রাজধানীর প্রাইম ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্র মো. বাকি বিল্লাহ (২৪)।  তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের বড় ছেলে। গত ১৮ জুলাই দেশব্যাপী যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পুরো চাঙা হয়ে ওঠে তখন বাকি বিল্লাহ ঢাকার রামপুরায় অবস্থান করছিলেন। সহপাঠীদের সঙ্গে তিনিও নেমে পড়েন সেই আন্দোলনে।  ছাত্র-প্রশাসন মুখোমুখি, থমথমে অবস্থা। স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল রাজধানীর অলিগলি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ-বিজিবি এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। তবুও ছাত্ররা পিছু না হটে সামনের দিকে এগিয়ে চলে।  তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে, ঘড়ির কাঁটায় ৭টা ছুঁই ছুঁই। স্লোগানে স্লোগানে এগিয়ে যেতেই বাকি বিল্লাহর বাম হাতে একটি গুলি এসে লাগে। হাত ছিদ্র হয়ে ওপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। তবুও মরণপণ এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এমন সময় তার সামনে আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। তাকে ডান হাত দিয়ে কাঁধে তুলে সামনে অগ্রসর হওয়ার সময় আরেকটি গুলি লাগে তার পায়ে। বাকি বিল্লাহ বলেন, নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি মৃত্যু আমাকে খুবই মর্মাহত করেছে, খুব কাঁদিয়েছে। আমার সামনেই একটি পথশিশুকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ছেলেটা আমাদের মিছিলের সঙ্গেই ছিলো। ওর বাহুতে একটি গুলি লেগে ওর বাম হাতটা প্রায় ৪-৫ ফুট দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে, ছেলেটা ওখানেই মারা যায়। চোখ বুজলেই আমি স্পষ্ট দেখতে পাই। এখনও গা শিউরে ওঠে, কান্না আসে।  তিনি আরও বলেন, আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে রাজধানীর নাগরিক হাসপাতালে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে পরিচিত এক আইনজীবী অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে তার বাসায় রেখে সেবাযত্ন করেন। পরে মা গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাড়ি নিয়ে আসেন।  এরই মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, বাকি বিল্লাহ তার মাকে আসল ঘটনা আড়াল করে অ্যাজমা সমস্যার কথা বলছে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মা হার্টের রোগী। আমি চাইনি মা-বাবা টেনশন করুক, কিংবা আমার এমন অবস্থার কথা শুনে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ুক। তাই বিষয়টা গোপন রেখেছিলাম।  বাকি বিল্লাহ বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম দেশে যেন এভাবে আর কারও ওপর গুলি ছোঁড়া না হয়। অধিকার আদায়ের জন্য যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়। আমি মনে করি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তা হবে বৈষম্যহীন। 
বস্তাভর্তি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রকৌশলীকে আটকালেন শিক্ষার্থীরা
পুলিশবিহীন সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বস্তাভর্তি নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ এক প্রকৌশলীকে আটক করেছেন তারা।  বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীরা ওই প্রকৌশলীকে আটক করে। আটক প্রকৌশলীর নাম হারুনর রশীদ। তিনি পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে আছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। পরিবারসহ দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছে আটক হন তিনি। পরে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে সেখানে থাকা শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালনকালে একটি কালো প্রাইভেট কার দ্রুত ওভারটেক করে যাবার সময় শিক্ষার্থীরা আটকে দেয়। চালকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে গাড়িটি তল্লাশি করে বস্তাভর্তি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পাই। পরে তাকে আটকে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেনা কর্মকর্তা মেজর রাশেদ জানান, আটক ব্যক্তি পটুয়াখালী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছে। ভারতে যাবার উদ্দেশ্যে তিনি পটুয়াখালী থেকে আসছিলেন। শিক্ষার্থীরা তাকে আটকে আমাদের খবর দেয়। আমরা তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করি। তার কাছে নগদ ২০ লাখ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। আটক হারুন অর রশিদ বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে যে টাকা এগুলো তার স্ত্রীর জমি বিক্রি করা ১২ লাখ এবং অসুস্থ শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর অর্জিত টাকা।  তিনি বলেন, ‘আমি ৫ বছর ধরে পটুয়াখালীতে কর্মরত। ওই এলাকার একটি পক্ষ আমাকে বেনামে চিঠি দিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন যে আপনি পাঁচ বছর এই জেলায় আছেন। দ্রুত বদলি হয়ে এখান থেকে চলে যান। না হলে আপনার পরিবারসহ আপনাকে বিপদে ফেলা হবে।’  
খড়ের স্তূপ সরাতেই মিলল আগ্নেয়াস্ত্র
পটুয়াখালীর বাউফলে গোয়াল ঘরের খড়ের স্তূপের ভেতর থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব নওমালা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) সাদ্দাম হোসাইন। স্থানীয়রা জানান, গোয়ালঘরটির মালিক ইউসুফ মুন্সি তার গরুকে খাওয়ানোর জন্য খড়ের স্তূপ থেকে খড়কুটো আনতে গেলে অস্ত্রটি দেখতে পান। পরে তিনি পুলিশকে খবর দিলে সহকারী পুলিশ সুপার সাদ্দাম হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করে।  প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, এটি ক্যালিবার পয়েন্ট টু টু বোর ইয়ার রাইফেল। এ বিষয়ে পটুয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) সাদ্দাম হোসাইন বলেন, একটি গোয়াল ঘরের খড়ের স্তূপ থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে।
মুখ থুবড়ে পড়েছে কুয়াকাটার পর্যটনশিল্প
কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে ঘিরে মুখ থুবড়ে পড়েছে কুয়াকাটার পর্যটনশিল্প। গত ১৭ জুলাই থেকে পর্যটক আসা বন্ধ থাকার ফলে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।   শনিবার (২৭ জুলাই) অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার।  তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। যা পর্যটন শিল্পের জন্য বড় ক্ষতি বয়ে আনবে। দুইশোর বেশি আবাসিক হোটেলসহ ১৬ পেশার ৫ হাজার শ্রমিক বেকার দিন কাটাচ্ছেন। কোটি টাকার ক্ষতি গুনছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর গত ১০ দিনে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোতে থাকা এক হাজার পাঁচশত শ্রমিক বেকার সময় কাটাচ্ছেন। একদিকে হোটেলে পর্যটক শূন্য অন্যদিকে স্টাফদের বেতন বাতা দেওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। এরকম আর কতদিন মালিকরা বেতন দেবেন সেটা একটা বড় চিন্তার বিষয়। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ বলেন, হঠাৎ দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে কুয়াকাটায় আটকা পড়েন পর্যটকরা। জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মঙ্গলবার তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কুয়াকাটা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। আশা করছি, শিগগিরই সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
পায়রা বন্দর থেকে জুলাই মাসে রাজস্ব আয় অর্ধশত কোটি টাকা
পায়রা বন্দর থেকে ৩০ দিনে অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পায়রা সমুদ্র বন্দরে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী। বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরের ইনার এ্যাঙ্করে নিরাপদে কয়লা খালাস করছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ছিনতাই হওয়া সেই জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এই কয়লা দিয়েই সচল রয়েছে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিকল্প ব্যবস্থাপনায় বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে প্রশাসন। বন্দরের প্রথম জেটি, ছয় লেনের সড়ক, সেতুসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজও চলছে স্বাভাবিক গতিতে। সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা আর দেশজুড়ে কারফিউয়ের কারণে দেশের আমদানি রপ্তানি যখন তলানিতে, ঠিক সে সময় তিনটি জাহাজ এই বন্দর ব্যবহার করে পণ্য খালাস করেছে। আর চলতি বছরের জুলাই মাসে বন্দরে ভিড়েছে আটটি বিদেশি জাহাজ।   এ বিষয়ে পায়রা সমুদ্র বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, পায়রা বন্দরের পণ্য লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে বন্দরে সি স্পিরিট এবং এমভি আব্দুল্লাহ নামে দুটি মাদার ব্যাসেল পায়রা বন্দরে আগমন করে। এ ছাড়া ১৯ জুলাই এমভি ব্রাইট নামে একটি জাহাজ কয়লা খালাস করে বন্দর ত্যাগ করেছে। জুলাই মাসে এ পর্যন্ত বন্দরে মোট আটটি মাদার ভ্যাসেল পায়রা বন্দরে আগমন করে যা থেকে সরকারের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এ দিকে রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল-মামুন চৌধুরী বলেন, সরকারের জারি করা কারফিউয়ের মধ্যেও বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় বন্দরের ৩১ জন নিরাপত্তাকর্মী, ৪৮ জন আনসার সদস্য এবং নৌবাহিনীর ৪২ জন সদস্য কাজ করছেন। বন্দর সচল রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আর এ কারণে এখন পর্যন্ত পায়রা সমুদ্র বন্দরকে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি বলেও জানান বন্দর চেয়ারম্যান।
স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, কুয়াকাটা থেকে চলছে ঢাকাগামী গণপরিবহন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে ফের ঢাকাগামী গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে কুয়াকাটা, কলাপাড়া ও পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ রুটের বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলছে। কারফিউ শিথিল করায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জীবনযাত্রা। বুধবার সকাল থেকে খুলেছে দোকানপাট। সকাল থেকেই বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। তবে সব স্থানে স্বাভাবিক গতিতে ফেরেনি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। উপজেলার শহরগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল। কথা হয় কলাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের শ্যামলী বাস কাউন্টারের ইনচার্জ মহাসীন পারভেজের সঙ্গে। তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে ঢাকাগামী সাকুরা, নাবিলা, এনা, সৌদিয়া, যমুনা লাইন, সেবেন স্টার, সেবেন ডিলাক্স শ্যাশলীসহ বেশ কিছু বাস এখান থেকে ছেড়ে গেছে। আজ রাতেও অনেক পরিবহন ছেড়েছে। যদিও যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম রয়েছে। এ ব্ষিয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, কলাপাড়ায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।