• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
logo
নদীতে জেলের জালে উঠে এলো ঘড়িয়াল
সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজসহ ৩৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে প্রধান আসামি করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মেয়রসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পটুয়াখালী বাউফলে বিএনপির নেতাকর্মীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বাদী হয়ে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ জুন ২০২২ সালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাউফল সদর ইউনিয়নের গোসিংগা মিয়া বাড়ি-সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভা চলাকালে উল্লেখিত নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জনকে ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত নিয়ে হামলা করে ২০-২৫ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এবং সভাস্থলে ভাঙচুর করে। নগদটাকাসহ মালামাল লুট করে। প্রসঙ্গত, এ মামলার প্রধান আসামি সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজকে গত ২৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশ ভাটারা থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় বনানী থেকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে আ স ম ফিরোজের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
খড়ের স্তূপ সরাতেই মিলল আগ্নেয়াস্ত্র
ঝাড়ু মিছিল নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও, পালালেন কর্মকর্তারা
বাউফলে ঘরচাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু
বাড়ির গেটে‌ ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’ লেখা প্লাকার্ড
হাসপাতালে মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেলেন স্বামী
পটুয়াখালীর বাউফলের মোসা. তাকিয়া বেগম (১৯) নামের এক নববধূর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে গেলেন স্বামী ও তার আত্মীয়-স্বজনরা। স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।  মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে জেলার বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোসা. তাকিয়া বেগমের চাচাতো ভাই মো. সোহরাব হোসেন বলেন, প্রায় এক বছর আগে বাউফলের বিলবিলাস এলাকার ফজলু গাজীর ছেলে মিরাজ গাজীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে সূর্যমণি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের হোসেন হাওলাদারের মেয়ের তাকিয়ার বিয়ে হয়ে। বিয়ের ৫ মাস পর থেকে চাচতো বোন বলতো, স্বামী যখন ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে তখন যৌতুকের জন্য মাদক সেবন করে নির্মম নির্যাতন করতো। আগে যদি জানতাম ছেলে মাদকাসক্ত তাহলে বোনকে বিয়ে দিতাম না। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কিছু বলিনি। ভাবতাম স্বামী-স্ত্রীর বিষয় তেমন কোনো ঘটনা ঘটবে না। ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মিরাজ গাজী নির্মম নির্যাতন করে তাকিয়ার শরীরের মাংস থেতলে ফেলে। এ সময় তার হাত ভেঙে যায়। সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে, আত্মহত্যার চেষ্টার নাটক সাজায় স্বামী মিরাজ গাজী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকিয়াকে মৃত ঘোষণা করলে স্বামীসহ তার অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনরা মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আমরা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি, যাতে আর কোনো বাবা তার মেয়ে না হারায় আর কোনো ভাই যাতে তার বোনকে না হারায়।  এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই হত্যা না আত্মহত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 
শাহীনকে না পেলে আত্মহত্যা করবেন তরুণী
পটুয়াখালীর বাউফলে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী (১৭)। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে উপজেলার কালাইয়া ৩নং ওয়ার্ডের ছুমির উদ্দিন হাওলাদার বাড়িতে অনশনে বসেন তিনি। ভুক্তভোগী মেয়েটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শাহীনের স্ত্রী হতে চাই। আর সেটা না হলে আত্মহত্যা করতে চাই। আমি বাড়িতে আসার পরই পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে শাহীন। এ কারণে শাহীনের বক্তব্য জানতে পারিনি।’ স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর ধরে ছুমির উদ্দিন হাওলাদার বাড়ির জসীম হাওলাদারের ছেলে শাহীনের সঙ্গে পাশের গ্রামের মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শাহীন তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ২ মাস আগে সামাজিক লজ্জার ভয় দেখিয়ে এবং দ্রুত বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাউফল পৌর শহরে নিয়ে বাচ্চা নষ্ট করেন শাহীন। এরপর থেকে দূরত্ব বজায় রাখায় মেয়েটির সন্দেহ তৈরি হয়। একপর্যায়ে শাহীন জানায়, এই মুহূর্তে তার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব নয়। এ কথা জানার পরই বৃহস্পতিবার মেয়েটি শাহীনের বাড়িতে অনশনে বসেন। শাহীনের মা শাহনাজ বেগম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার বাড়িতে এসেছে মেয়েটি। ঘটনার কিছুই আমার জানা নেই। ছেলে (শাহীন) বাড়িতে এলে তার মুখে সব জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ‘এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঈদের দিন তরুণ-তরুণীর মারধর, মিম ফিরলেন শ্বশুরবাড়ি
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলের ওই তরুণ-তরুণী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অভিমান থেকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এবার পুলিশ ও চেয়ারম্যানের সমঝোতায় শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেছেন মিম। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাউফল উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাউফল থানা থেকে ফোন পেয়ে আমি গিয়ে দেখি কামরুল ও মিমকে থানায় এনেছে পুলিশ। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে  সমঝোতার জন্য আমার জিম্মায় দিয়ে দেন। আমি তাদের অবিভাবকদের নিয়ে ইউপিতে বসি। দুই পক্ষ মিলেমিশে থাকতে চায়, তাই মিমকে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই।  এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি এবং তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি ফয়সালার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ওই তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় থাকতেন। কামরুল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগের দিন কামরুল ও মিম ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন কামরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বললে মিম রাজি হয়নি। সে বলে, আমি কেন তোমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে, দরকার হলে তোমার মা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।  ৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না কেউ।
জানা গেল ভাইরাল তরুণ-তরুণীর মারধরের কারণ
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অবশেষে জানা গেছে তাদের মারধরের কারণ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া শৌলা সড়কের। সম্পর্কে ওই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী। ৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করেতে এগিয়ে আসছে না কেউ। জানা গেছে, নির্যাতিত তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ঈদের দিন কামরুল শ্বশুরবাড়ি আসেন। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি এমনই ভাইরাল হয়েছে যে থানায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নির্যাতিত তরুণীর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবুও পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
পটুয়াখালীতে ঝড়ের তাণ্ডবে ২ জনের মৃত্যু
পটুয়াখালীর বাউফলে ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় রাতুল (১৪) নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রাতুলকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।  রাতুলকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে সে মারা গেছে। সুফিয়া বেগমের ঘরের ওপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান। নিহত রাতুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে। আর সুফিয়া বেগম দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৫ মিনিট এ ঝড় স্থায়ী হয়। এতে বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়েছে।  এ সময় গোসিংগা গ্রামের আফসেরের গ্রেজ এলাকায় ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে মা সাবিহা (৩০), তার মেয়ে ইভা (১২) ও দুই বছর বয়সী আরেক শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। ঝড়ে বাউফল পৌর শহরের থানার সামনে সালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার একটি ভবনের টিনের চালা উড়ে রাস্তায় পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া পশু হাসপাতাল রোডে গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়ায় সেখানেও চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় খুঁটি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। শিলাবৃষ্টিতে তরমুজসহ রবি ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তবে তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে। দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান।  এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বড় ভাইয়ের পিস্তলের গুলিতে ছোট ভাই খুন
পটুয়াখালীর বাউফলে বড় ভাই মো. সজিব হোসেনের (২১) অবৈধ পিস্তলের গুলিতে প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বির হোসেন (১৬) মারা গেছেন।  সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে মো. সজিব হোসেনকে আটক করে পুলিশ। সাব্বির হোসেন উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের সূর্যমনি গ্রামের বাবুল সরদারের ছেলে।  আর আটককৃত মো. সজিব হোসেন বাউফল নবারুণ সার্ভে ইনস্টিটিউটের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র। স্থানীয়রা জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় সজিব হোসেন একটি পুরোনো পিস্তল নিয়ে নড়াচড়া করতে গিয়ে ট্রিগারে চাপ লেগে গুলি বের হয়। সেই গুলি তার প্রতিবন্ধী ছোট ভাই সাব্বিরের কপালের বাম পাশে চোখের ওপরে গিয়ে লাগে। এরপর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান জানান, সাব্বিরকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়। তখন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সাব্বিরের পরিবার জানায়, রোববার বিকেলের দিকে সাব্বিরকে নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসাপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে রাত ১টার দিকে সাব্বির মারা যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম। তিনি জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাব্বিরের বড় ভাই সজিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।