• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
logo
যে আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন নুরুল হক
কুয়াকাটায় জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসেছে ২ মহিষ
কুয়াকাটায় জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসেছে দুটি মহিষ। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন এলাকা থেকে মহিষ দুটি উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলে বাদল মিয়া। এখন মহিষ দুটি তিনি লালন-পালন করছেন। তবে প্রকৃত মালিক পেলে মহিষ দুটি ফেরত দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। জেলে বাদল মিয়া বলেন, সৈকতের জিও ব্যাগের ওপরে বসে আমি উত্তাল সমুদ্রের রূপ দেখছিলাম। এমন সময় দেখতে পান সমুদ্রের ভেতর থেকে কালো আকৃতির দুটি বস্তু পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ভেসে যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সমুদ্রে নেমে দেখতে পাই দুটি মহিষ ভেসে যাচ্ছে। এরপর আমি আশপাশের লোকজন ডেকে মহিষ দুটি উদ্ধার করি। উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে মহিষ দুটি অনেকটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। আমি সেবা-যত্ন নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়েছে। পশু চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। এখন আমি লালন পালন করবো। প্রকৃত মালিক পেলে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে হস্তান্তর করবো। তিনি আরও বলেন, মহিষ দুটি দুই বছর বয়সী হবে। তবে একটি তুলনামূলক একটু বড়। মহিষের ডান শিংয়ে সাদা রং মাখা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন আক্তার বলেন, শুক্রবার সকালে জোয়ারের সময় সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছিল। ঢেউ দেখার জন্য আমরা সাগর পাড়ে দাঁড়িয়েছিলাম। এ সময় মহিষ দুটি দেখে বাদল মিয়া আশপাশের লোকজন নিয়ে উদ্ধার করেছে। এখন তিনি সেবা যত্ন ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। কুয়াকাটা পৌরসভা সাবেক মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, বাদল মিয়া মহিষ দুটি পেয়ে আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাকে লালন-পালন করতে বলেছি। প্রকৃত মালিক খুঁজে পেলে ফেরত দেওয়া হবে। কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আমি এখন পুলিশ পাঠিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। আরটিভি/এমকে
ডাবল সেঞ্চুরিতে গরিবের পাঙাশ, মেজাজ হারাচ্ছেন ক্রেতারা
কুয়াকাটা বিএনপি নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ২ 
মুখ থুবড়ে পড়েছে কুয়াকাটার পর্যটনশিল্প
কোটা আন্দোলন প্রতিহত করতে কুয়াকাটা ছাত্রলীগ কর্মীর ছবি ভাইরাল
প্রশ্নফাঁস: পিএসসির উপপরিচালক আবু জাফর সম্পর্কে যা জানা গেল
বর্তমানে ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে গত ১২ বছরে পিএসসির অধীনে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা। এ অভিযোগে গ্রেপ্তার ও পিএসসি থেকে সাময়িক বরখাস্ত সংস্থাটির উপপরিচালক আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে গলাচিপা উপজেলায় জাফরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া গেছে বেশ কিছু তথ্য। এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গলাচিপার কলাগাছিয়া গ্রামে বাড়ি হলেও আবু জাফর খুব একটা যেতেন না সেখানে। আর গেলেও থাকতেন পাশের কল্যাণকলস গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে। ছোটবেলায় এলাকা ছেড়ে খুলনায় বোন-ভগ্নিপতির কাছে থাকতেন আবু জাফর। তিনি গ্রামের বাড়িতে খুবই কম আসার কারণে গ্রামের অনেকেই তাকে চেনেন না। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া জাফর গ্রামে আসতেন না।  জাফরের ছোটভাই জালাল মিয়ার খোঁজে বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, ভাইয়ের দুর্নীতির খবরে বিব্রত হয়ে লোকজনকে এড়িয়ে চলছেন।  আবু জাফরের আত্মীয় আউয়াল মিয়া বলেন, ছোটবেলায় এলাকা ছেড়ে খুলনায় বোন-ভগ্নিপতির কাছে থাকতেন জাফর। এলাকার লোকজন তাকে তেমন চেনেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ভাই জালাল মিয়া সামান্য লেখাপড়া করে এলাকায় টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ভাইদের তেমন খোঁজখবর নিতেন না আবু জাফর। স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, জাফরের বৃদ্ধ মা কোথায় থাকেন তা-ও জানেন না এলাকার লোকজন। এলাকায় এলে তার সঙ্গে দেখা হতো। ভদ্র গোছের লোক। তার দুর্নীতির খবরে আমরা হতবাক। তবে এলাকায় তিনি কিছুই করেননি। আমাদের ধারণা অবৈধ আয় দিয়ে কিছু করলে ঢাকায় করতে পারেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, আবু জাফরের পৈত্রিক ভিটাবাড়ি কিছুই নেই। কয়েক বছর আগে লোহালিয়া নদীতে তাদের বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। পরে বাড়ির জমির কাছেই ৬০ শতাংশ জমি কিনে পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেন জাফর। তবে একতলা ছাদ দেওয়ার পর আর আগায়নি নির্মাণকাজ। অসম্পূর্ণ পড়ে আছে বাড়িটি। আবু জাফর বছরে দুয়েকবার গ্রামে এলেও থাকতেন পাশের কল্যাণকলস গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে। এদিকে আবু জাফরের খোঁজে কল্যাণকলস গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে কেউ নেই। পুরোনো ছোট টিনের ঘর, সামনে একটি নলকূপ।
কুয়াকাটায় ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ৮ ফুট লম্বা একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে। ডলফিনটির মাথার অংশে চামড়া ওঠানো। মঙ্গলবার বিকেলে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন পয়েন্ট থেকে ডলফিনটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৬ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডলফিনরক্ষা কমিটির সদস্য জুয়েল রানা। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম ডলফিনটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আমার বিগত দিনের অভিজ্ঞতা বলছে, কাছাকাছি এসে এটির মৃত্যু হয়েছে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা আগে।’ জানা যায়, এ নিয়ে চলতি বছরে জীবিত একটি ও মৃত ১০টি ডলফিন ভেসে এসেছে কুয়াকাটা সৈকতে। এর আগে গতবছর ১৫টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল এ সৈকতে। এ বিষয়ে গবেষকরা বলছেন, সমুদ্র তার আগের পরিবেশ হারাচ্ছে, তাই এভাবে মৃত ডলফিন ভেসে আসছে।  এ দিকে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ‘বনবিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডলফিন মৃত্যুর সঠিক কারণগুলো যেন বের করেন, সেই আবেদন জানাচ্ছি।’ বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ডলফিন রক্ষা কমিটির মাধ্যমে জানার পর পরই দুর্গন্ধ যেন না ছড়ায় সেজন্য আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মৃতদেহটি মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
গলাচিপায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২টি কলেজে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপজেলার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের বয়সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন।  এ মেশিনগুলো থেকে ডিজিটাল আরএফ আইডি কার্ড পাঞ্চ করে বাজারমূল্যের অর্ধেক দামে প্রতিবার একটি প্যাড সংগ্রহ করতে পারবে ছাত্রীরা। এ ছাড়াও পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের অর্থ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্কুল-কলেজে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানা যায়।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।