• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
কুয়াকাটায় ১৪ নভেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে রাসমেলা
যে আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন নুরুল হক
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর নিজ এলাকা পটুয়াখালী-৩ আসন (গলাচিপা ও দশমিনা) থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি। ভিপি নুরু বলেন, অনেকে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন ভিপি নুর ঢাকা থেকে নির্বাচন করবেন। সে (ভিপি নুর নিজে) সারা বাংলাদেশ থেকেই নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু মা-মাটিকে তো ভুলে যাওয়া যায় না। এই চরের কাদামাটি, নদীর পানি গায়ে মেখে বড় হয়েছি। এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাই কী করে? আপনারা যদি সমর্থন করেন, তাহলে পটুয়াখালী-৩ থেকেই নির্বাচন করবো। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের পতন হলেও কেউ কেউ খেয়াঘাট-ফেরিঘাট-লঞ্চঘাট ও বাস স্ট্যান্ড দখলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি শুরু করেছে। এই দখলবাজ-চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজ মাফিয়াদের প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে যেভাবে হটিয়েছি তেমনিভাবে এদেরকেও হটাতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।  তিনি আরও বলেন, ‘জুলুম-অবিচার করবেন না। জুলুমকারী, অত্যাচারকারীদেরকে আল্লাহ্‌ ছাড় দেয়, ছেড়ে দেয় না। সব থেকে বড় উদাহরণ শেখ হাসিনা। অত্যাচার, নির্যাতন, দাম্ভিকতার কারণে হাসিনার নিষ্ঠুর পতন হয়েছে। পালাবার সময় জুতা, কাপড় চোপড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রটুকুও নিতে পারেননি, এক কাপড়ে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেছেন। সকল রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে ভিপি নূর বলেন, শেখ হাসিনার মতো কাজ করিয়েন না। যাতে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যেতে না হয়। গলাচিপা-দশমিনায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, চরমোনাই বলে কিছু নেই। আমরা সকলে মিলেমিশে থাকবো। বিপদে পড়লে একে অপরের পাশে দাঁড়াবো। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ভিপি নুর বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে দলীয়করণ করেছিল, বিশেষ কোনো দলের প্রতি তেমনি পিরিত দেখাতে যাবেন না। কোনো দলের সঙ্গে বৈষম্য আচরণ করবেন না। এ প্রথাগত রাজনীতি ভাঙতে ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন। সকলকে ইতিবাচক কার্যক্রমের মানসিকতার হতে হবে। গলাচিপা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সহসভাপতি আবু হানিফ হৃদয়, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম, আনিসুর রহমান মুন্না, প্রচার সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ইউছুফ কাজী, ঢাকা মহানগর (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, চট্টগ্রাম মহানগর যুব অধিকার পরিষদের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর যুব অধিকার পরিষদের নেতা মো. শামীম গাজী।  অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের জেলা আহ্বায়ক সৈয়দ নজরুল ইসলাম লিটু, সদস্য সচিব মো. শাহ আলম সিকদারসহ দলের স্থানীয় নেতারা। এ ছাড়াও বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন, গলাচিপার চর বিশ্বাস এলাকার মো. ইদ্রিস হাওলাদার ও মো. হাতেম মাস্টার, গলাচিপা পৌর শহরের মো. রেজাউল হাওলাদার, গোলখালীর ডা. অনুতোষ দাস। জনসভা শেষে জুলাই-আগস্ট বিপ্লব তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত গলাচিপা উপজেলার পাঁচ শহীদ পরিবারকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আরটিভি/এএএ/এসএ
কুয়াকাটায় জোয়ারের স্রোতে ভেসে এসেছে ২ মহিষ
ডাবল সেঞ্চুরিতে গরিবের পাঙাশ, মেজাজ হারাচ্ছেন ক্রেতারা
কুয়াকাটা বিএনপি নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আহত ২ 
মুখ থুবড়ে পড়েছে কুয়াকাটার পর্যটনশিল্প
কোটা আন্দোলন প্রতিহত করতে কুয়াকাটা ছাত্রলীগ কর্মীর ছবি ভাইরাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আন্দোলনরত ছাত্রীদেরকে লাঠি হাতে আক্রমণ করছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী। এমন একটি ছবি ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে ওই ছাত্রলীগ নেতার নিজ এলাকা পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়। জানা যায়, ওই ছাত্রলীগ নেতা কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তার নাম মো. রুবেল খান। তিনি কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নুরু খানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন কুয়াকাটা পৌরসভার ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা সংঘর্ষের পরেই এমন ছবি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তার ছবি ভাইরালের পরপরই নিজ এলাকার সাধারণ মানুষ ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীরাও তার এই কাজের নিন্দা জানিয়েছেন। কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মজিবুর রহমান বলেন, রুবেল কুয়াকাটা ছাত্রলীগ কর্মী তবে পৌর ছাত্রলীগের সদস্য নন। আমরা আন্দোলনকে আন্দোলন দিয়ে মোকাবেলা করবো কিন্তু তার এরকম কাজ ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেয় না। আমি তার এই কাজের নিন্দা জানাই। এ বিষয়ে কথা বলতে ওই ছাত্রলীগকর্মী রুবেলকে ফোন করলে রিসিভ করেননি তিনি।
প্রশ্নফাঁস: পিএসসির উপপরিচালক আবু জাফর সম্পর্কে যা জানা গেল
বর্তমানে ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’তে পরিণত হয়েছে গত ১২ বছরে পিএসসির অধীনে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনা। এ অভিযোগে গ্রেপ্তার ও পিএসসি থেকে সাময়িক বরখাস্ত সংস্থাটির উপপরিচালক আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে গলাচিপা উপজেলায় জাফরের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া গেছে বেশ কিছু তথ্য। এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গলাচিপার কলাগাছিয়া গ্রামে বাড়ি হলেও আবু জাফর খুব একটা যেতেন না সেখানে। আর গেলেও থাকতেন পাশের কল্যাণকলস গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে। ছোটবেলায় এলাকা ছেড়ে খুলনায় বোন-ভগ্নিপতির কাছে থাকতেন আবু জাফর। তিনি গ্রামের বাড়িতে খুবই কম আসার কারণে গ্রামের অনেকেই তাকে চেনেন না। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া জাফর গ্রামে আসতেন না।  জাফরের ছোটভাই জালাল মিয়ার খোঁজে বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা বলছেন, ভাইয়ের দুর্নীতির খবরে বিব্রত হয়ে লোকজনকে এড়িয়ে চলছেন।  আবু জাফরের আত্মীয় আউয়াল মিয়া বলেন, ছোটবেলায় এলাকা ছেড়ে খুলনায় বোন-ভগ্নিপতির কাছে থাকতেন জাফর। এলাকার লোকজন তাকে তেমন চেনেন না। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট ভাই জালাল মিয়া সামান্য লেখাপড়া করে এলাকায় টিউশনি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ভাইদের তেমন খোঁজখবর নিতেন না আবু জাফর। স্থানীয় ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, জাফরের বৃদ্ধ মা কোথায় থাকেন তা-ও জানেন না এলাকার লোকজন। এলাকায় এলে তার সঙ্গে দেখা হতো। ভদ্র গোছের লোক। তার দুর্নীতির খবরে আমরা হতবাক। তবে এলাকায় তিনি কিছুই করেননি। আমাদের ধারণা অবৈধ আয় দিয়ে কিছু করলে ঢাকায় করতে পারেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, আবু জাফরের পৈত্রিক ভিটাবাড়ি কিছুই নেই। কয়েক বছর আগে লোহালিয়া নদীতে তাদের বাড়ি বিলীন হয়ে যায়। পরে বাড়ির জমির কাছেই ৬০ শতাংশ জমি কিনে পাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেন জাফর। তবে একতলা ছাদ দেওয়ার পর আর আগায়নি নির্মাণকাজ। অসম্পূর্ণ পড়ে আছে বাড়িটি। আবু জাফর বছরে দুয়েকবার গ্রামে এলেও থাকতেন পাশের কল্যাণকলস গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে। এদিকে আবু জাফরের খোঁজে কল্যাণকলস গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িতে কেউ নেই। পুরোনো ছোট টিনের ঘর, সামনে একটি নলকূপ।
কুয়াকাটায় ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ৮ ফুট লম্বা একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে। ডলফিনটির মাথার অংশে চামড়া ওঠানো। মঙ্গলবার বিকেলে কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন পয়েন্ট থেকে ডলফিনটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৬ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডলফিনরক্ষা কমিটির সদস্য জুয়েল রানা। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম ডলফিনটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আমার বিগত দিনের অভিজ্ঞতা বলছে, কাছাকাছি এসে এটির মৃত্যু হয়েছে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা আগে।’ জানা যায়, এ নিয়ে চলতি বছরে জীবিত একটি ও মৃত ১০টি ডলফিন ভেসে এসেছে কুয়াকাটা সৈকতে। এর আগে গতবছর ১৫টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল এ সৈকতে। এ বিষয়ে গবেষকরা বলছেন, সমুদ্র তার আগের পরিবেশ হারাচ্ছে, তাই এভাবে মৃত ডলফিন ভেসে আসছে।  এ দিকে কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ‘বনবিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডলফিন মৃত্যুর সঠিক কারণগুলো যেন বের করেন, সেই আবেদন জানাচ্ছি।’ বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ডলফিন রক্ষা কমিটির মাধ্যমে জানার পর পরই দুর্গন্ধ যেন না ছড়ায় সেজন্য আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মৃতদেহটি মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
গলাচিপায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২টি কলেজে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপজেলার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের বয়সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন।  এ মেশিনগুলো থেকে ডিজিটাল আরএফ আইডি কার্ড পাঞ্চ করে বাজারমূল্যের অর্ধেক দামে প্রতিবার একটি প্যাড সংগ্রহ করতে পারবে ছাত্রীরা। এ ছাড়াও পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের অর্থ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্কুল-কলেজে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানা যায়।  অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।