• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে মেতেছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা
কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আফরোজা আক্তার রিতু (১৯) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের সহায়তায় হোটেলের দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশ। মহিপুর থানা পুলিশ এবং হোটেল সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে আফরোজা আক্তার রিতুসহ চারজনের একটি দল কুয়াকাটায় বেড়াতে আসে। সন্ধ্যায় তারা কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্রের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হোটেল নিউ সি বীচ হোটেলের ৫০১ নম্বর কক্ষটি (সুইট রুম) ভাড়া নেন। গতকাল রাত পর্যন্ত তারা স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছিল। এরপর আজকে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। এ সময় হোটেলটির যে কক্ষে ওই তরুণী অবস্থান করছিলেন, সেটির দরজার সামনে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাননি পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে তারা ওই কক্ষের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেন। পুলিশ জানায়, যশোর জেলার চোকদাপ পাড়া থানার বেজপাড়া গ্রামে আফরোজা আক্তার রিতুর বাড়ি। হোটেলের রেকর্ড বইয়ে তার স্বামীর নাম লেখা ছিল ইছা মীর। তবে দুর্ঘটনার সময় তার অপর সঙ্গীরা অন্য রুমে ছিল বলে দাবি তাদের। এ বিষয় হোটেল নিউ সি-বীচ ইন এর ম্যানেজার রুমান মৃধা বলেন, শুক্রবার হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী ডায়েরি করে তাদের কাছে রুম ভাড়া দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে তাদের কোন আচার-আচরণও খারাপ দেখিনি। আজ হঠাৎ চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি রুমের দরজা বন্ধ এবং দরজার সামনে বসে বাকি তিনজন বসে আছেন। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে থাকা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।  তিনি আরও বলেন, এ সময় আফরোজা আক্তার রিতুর সঙ্গে থাকা বাকিরা পালানোর চেষ্টা করলে হোটেল কর্মচারীরা তাদেরকে আটকে রাখে।  এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় ওই তরুণী যে কক্ষে ছিলেন, সেটির দরজা ভেতর থেকে আটকানো ছিল। এ সময় তারা বারবার ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পাননি। এরপর তারা হোটেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এখন ময়নাতদন্ত করতে মরদেহটি মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
সমুদ্র উত্তাল: সতর্ক অবস্থানে উপকূলের জেলেরা
ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন আ.লীগের ৯ নেতাকর্মী 
গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার হলো বৃদ্ধার মরদেহ
গুলিবিদ্ধ হয়েও মাকে মিথ্যে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন বাকি বিল্লাহ
স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি, কুয়াকাটা থেকে চলছে ঢাকাগামী গণপরিবহন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে ফের ঢাকাগামী গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে কুয়াকাটা, কলাপাড়া ও পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ রুটের বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলছে। কারফিউ শিথিল করায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জীবনযাত্রা। বুধবার সকাল থেকে খুলেছে দোকানপাট। সকাল থেকেই বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা বাড়তে শুরু করে। তবে সব স্থানে স্বাভাবিক গতিতে ফেরেনি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। উপজেলার শহরগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল। কথা হয় কলাপাড়া বাসস্ট্যান্ডের শ্যামলী বাস কাউন্টারের ইনচার্জ মহাসীন পারভেজের সঙ্গে। তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে ঢাকাগামী সাকুরা, নাবিলা, এনা, সৌদিয়া, যমুনা লাইন, সেবেন স্টার, সেবেন ডিলাক্স শ্যাশলীসহ বেশ কিছু বাস এখান থেকে ছেড়ে গেছে। আজ রাতেও অনেক পরিবহন ছেড়েছে। যদিও যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম রয়েছে। এ ব্ষিয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, কলাপাড়ায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
কলাপাড়ায় রাইস মিলে আগুন, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একটি রাইস মিলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় ৩০ মিনিটের  মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) কলাপাড়া সাপ্তাহিক হাট বাজারের শেষ মুহূর্তে রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের আন্ধারমানিক নদের তীরের মৌডুবি ট্রলার ঘাট এলাকার সিরাজুল হক মুন্সির ‘তানভির রাইসমিলে’ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চাল, হলুদ-মরিচের গুঁড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট, কলাপাড়া থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ অগ্নিকাণ্ডে ১০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। 
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কলাপাড়ায় ফের ধরা পড়ল রাসেলস ভাইপার
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের নলাপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়ান প্রবাসী মো. আবদুল বারেকের বাড়ির জালে আটকা পড়েছে রাসেলস ভাইপার‍ সাপ। এটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুটের মতো।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির লোকজন সাপটিকে জালে আটক অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় সাপটিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমায় ওই এলাকার উৎসুক জনতা। তবে সাপটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যরা। বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘বাড়ি থেকে রাস্তায় ওঠার পথে রাতের যে কোনো সময় আটকা পড়ে সাপটি। সকালে আমরা দেখতে পাই। পরে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে অনেক লোক এক নজর দেখতে ভিড় জমান।  সাপটি এখনও জীবিত আছে। আমরা এটাকে আঘাত করিনি। অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যদের সংবাদ দেওয়া হয়েছে। তারা এসে সাপটি নিয়ে যাবে।’ সাপ দেখতে আসা চাপলি গ্রামের রাসেল বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো রাসেলস ভাইপার সাপ দেখলাম। এর আগে ইউটিউব এবং ফেসবুকে এই সাপের ছবি দেখেছি। এটি একটি বিষাক্ত সাপ।’ অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্য বায়জিদ মুন্সী বলেন, ‘আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল যাচ্ছে। সাপটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বন বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।’ বায়জিদ মুন্সী আরও বলেন, ‘সবাইকে সাপ দেখে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের খবর দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। সর্পদংশনের শিকার হলে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো৷ এ ছাড়া সাপ ধরার রেস্কিউ টিমের সদস্যদের খবর দিলেও হবে। সাপ আমাদের জীববৈচিত্র্যের জন্য অনেক উপকারী বন্ধু। যা খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
কলাপাড়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পুকুরে ডুবে জুনায়েদ (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের পক্ষিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  শিশু জুনায়েদ পক্ষিয়াপাড়া গ্রামের শিমুল হাওলাদারের ছেলে। পারিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে শিশু জুনায়েদ খেলতে গিয়ে সবার অগোচরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুনায়েদকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে।
কৃষকের জালে রাসেলস ভাইপার, কলাপাড়ায় আতঙ্ক
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের বৌলতলী গ্রামের এক কৃষকের জালে ধরা পড়েছে একটি কিলিংমেশিন খ্যাত ভয়ংকর বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ। এটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট।  সোমবার (২৪ জুন) সকালে বৌলতলী গ্রামের কৃষক নুর হাওলাদার বাড়ির পুকুরের ওপর পাতা জালে সাপটি আটকে যায়। পরে ওই কৃষক সাপটি লাঠি দিয়ে আঘাত করে আহত অবস্থায় প্লাস্টিকের বড় কৌটায় জীবিত সংরক্ষণ করেন। এ সময় সাপটিকে একনজর দেখতে ভিড় জমান ওই এলাকার উৎসুক জনতা। তবে সাপটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্যরা। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও আতঙ্কিত হয়ে সাপটিকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন নুর হাওলাদার। পরে আহত অবস্থায় প্লাস্টিকের বড় কৌটায় জীবিত সংরক্ষণ করেন তিনি।  জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব সাপ দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে রাসেলস ভাইপার সবচেয়ে বিষাক্ত। এ সাপের কামড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে বিষ ছড়িয়ে অঙ্গহানি, ক্রমাগত রক্তপাত, রক্ত জমাট, স্নায়ু বৈকল্য, চোখ ভারী হয়ে যাওয়া, পক্ষাঘাত ও কিডনির ক্ষতিসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়। স্থানীয় কৃষক নুর হাওলাদার বলেন, ‘সাপটি আমার জালে আটকা পড়ার বিষয়টি আমার স্ত্রী প্রথমে দেখেন। পরে আমাকে জানালে আমি এটি উদ্ধারের চেষ্টা করি। এ সময় আমার স্ত্রীর কথায় সাপটির ওপর লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করি। তবে এটি এখনও জীবিত অবস্থায় আছে। এটি আমি একটি প্লাস্টিকের কৌটায় সংরক্ষণ করেছি। তবে বন বিভাগ বা কেউ সুস্থ করে এটিকে বনে অবমুক্ত করে দিতে পারলে তাদের দিয়ে দেবো।’ নয়াকাটা গ্রামের শাহিন চৌকিদার বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো রাসেলস ভাইপার সাপ দেখলাম। এর আগে ইউটিউব এবং ফেসবুকে এ সাপের ছবি দেখেছি। এটি একটি বিষাক্ত সাপ।’ তারিকাটা গ্রামের ইউসুফ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে শুনে এখানে দেখতে আসলাম। সাপটি দেখতে সুন্দর হলেও এটি তীব্র বিষধর সাপ। আমার মতো এখানে শত শত মানুষ সাপটিকে একনজর দেখতে এসেছে। তবে সাপটিকে মারা ঠিক হয়নি। এটা অনেকটা আহত, বাঁচানো যায় কি না সন্দেহ রয়েছে। সাপটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বনে অবমুক্তের অনুরোধ জানাচ্ছি।’ অ্যানিমেল লাভারস অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্য বায়জিদ মুন্সী বলেন, ‘আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল যাচ্ছে। সাপটি উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে বন বিভাগকে হস্তান্তর করবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে সাপ দেখে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের খবর দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। সর্পদংশনের শিকার হলে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। এ ছাড়া সাপ ধরার রেসকিউ টিমের সদস্যদের খবর দিলেও হবে। সাপ আসলে আমাদের জীব বৈচিত্র্যের জন্য অনেক উপকারী বন্ধু। যা খাদ্যশৃঙ্খলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’ এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ড. শংকর চন্দ্র অধিকারী বলেন, ‘রাসেলস ভাইপার সাপ থেকে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কাউকে যদি সাপ কামড় দেয় তবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। সরকারি হাসপাতালে এর চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।’
কলাপাড়ায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কলাপাড়ায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ জুন) রাতে চম্পাপুর ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের নিজবাড়ি থেকে কলেজছাত্রী শামীমা আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত শামীমা ধানখালী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও চম্পাপুরের রুহুল আমিন শেখের মেয়ে। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শামীমা আক্তারের বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। হুইলচেয়ারে চলাফেরা করায় মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তিন মাস আগে একই ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে শামীমার বিয়ে দেন। এটা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেনি শামীমা। এ কারণে সে মানসিক সমস্যায় প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তো। শুক্রবার শামীমাকে ঘরে রেখে তার মা হাসিনা বেগম বাড়ি থেকে একটু দূরে স্বামীর দোকানে যান। এর একটু পরই আশেপাশের লোকজনের ডাক চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে শামীমা ওড়না দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে।  এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে নামিয়ে কলেজ বাজারে এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শামীমার মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কেন, কী কারণে শামীমা মারা গেছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’