• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
এক পাঙাশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৬০০ টাকায়
৬ হাজার টাকায় বিক্রি হলো এক ইলিশ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।  শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে জামাল হোসেনের জালে এ মাছটি ধরা পড়ে। কুয়াকাটা মাছ বাজারে রাসেল ফিসে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে নিলামের মাধ্যমে ফিস ভ্যালীর পক্ষে মো. হাসান ১ লাখ টাকা মণ দরে মাছটি ক্রয় করেছেন।  স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, এত বড় ইলিশ সচরাচর দেখা যায় না। বেশ ভালো দামে মাছটি বিক্রি হয়েছে৷ ২৫০০ টাকা কেজি দরে ৫ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন হাসান নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী। পরে তিনি অনলাইনের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এ সময় মাছটি এক নজর দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করেন।  জেলে জামাল হোসেন বলেন, এ বছর এই প্রথম আমার জালে এত বড় মাছ ধরা পড়েছে। বড় মাছের চাহিদা বেশি, দামও ভালো। সাগরে এমনিতেও এখন বেশি মাছ মিলছে না। তবে বড় মাছ পাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি।  আড়ৎ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, এত বড় মাছ এই বাজারে খুব কম পাওয়া যায়। তাই নিলামে প্রতি মণ ১ লাখ টাকা দরে বিক্রি হয় মাছটি।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কিছু জায়গা থেকে এমন সুখবর আসছে। এ সাইজের মাছ মূলত গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। সমুদ্রের মোহনায় পলি বেশি হওয়ার কারণে গভীরতা কমে যাচ্ছে। তাই সমুদ্র মোহনা খনন এবং জালের প্রশস্ততা বাড়ালে এ মাছ বেশি ধরা পড়বে।  আরটিভি/এমকে
আমনের বাম্পার ফলন, সোনালি ধানে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন
জেলের জালে ধরা পড়লো ১৪ কেজির পাঙাশ
কলাপাড়ায় দুটি বিষধর পদ্ম গোখরা উদ্ধার
কুয়াকাটায় তীর্থযাত্রীদের ঢল
কলাপাড়ায় ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করেছে এনিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর সদস্যরা।  বুধবার (১৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার পূর্ব মধুখালী গ্রামের কৃষক চান মিয়ার বাড়ি থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সাপটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাপ উদ্ধারের সময় এনিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালীর সদস্য ইউসুফ রনি ও আদনান রাকিব উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালোর মধ্যে হলুদ ডোরা এ সাপটি ওই কৃষকের জালে আটকা পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে সাপটি মারার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাপটি সংরক্ষিত বনে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সদস্যরা। কৃষক চাঁন মিয়া জানান, আমার বাড়িতে জাল দিয়ে রেখেছিলাম, যাতে কোন বিষাক্ত কিছু প্রবেশ করতে না পারে। রাতে ওই জালে সাপ আটকা পরে। আমরা স্থানীয়রা সাপটি মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা সদস্যরা এসে সাপটি উদ্ধার করে। এনিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালীর সদস্য আদনান রাকিব বলেন, শঙ্খিনী সাপ মূলত শান্ত ও লাজুক স্বভাবের। সাধারণত এসব সাপ মানুষ এড়িয়ে চলে। এমনকি বিরক্ত করলে শরীর পেঁচিয়ে মাথা শরীরের নিচে লুকিয়ে রাখে। বলা যায় মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ নয় মোটেও। তবে শিকারে বেশ দ্রুত। অন্য বিষাক্ত সাপ খেয়ে সাবাড় করে।  তিনি আরও বলেন, সাপটি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রাকৃতিক পরিবেশে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। আরটিভি/এএএ   
১৪ কেজির পোয়া মাছ সাড়ে ১০ হাজারে বিক্রি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ইলিয়াস মাঝি নামের এক জেলের জালে ১৪ কেজি ওজনের একটি সোনালি পোয়া মাছ ধরা পড়েছে।  মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে অন্যান্য মাছের সঙ্গে তার জালে এ মাছটি ধরা পড়ে।  বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে কুয়াকাটার আরিয়ান ফিসে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে ডাকের মাধ্যমে ৭৫০ টাকা কেজি দরে সাড়ে ১০ হাজার টাকায় নিলামে আল-আমিন নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী মাছটি কিনে নেন। ব্যবসায়ী কাদের পহলান জানান, এ মাছের সচরাচর দেখা মেলে না। এটি সোনালি পোয়া নামেও পরিচিত। এ মাছটি নিলামে সাড়ে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মাছটি পাওয়া জেলে ইলিয়াস মাঝি কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার বাসিন্দা। তিনি মূলত ছোট্ট ট্রলার নিয়ে লাক্কা কোড়াল মাছ শিকার করে থাকেন। তার কোড়ালের জালে মাছ পাওয়ার পর। জেলে মো. ইলিয়াস মাঝি বলেন, অবরোধ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আমরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে লাক্কা মাছের পাশাপাশি এই মাছটি আমি পাই। এত বড় মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। মাছটি পেয়ে আমি খুবই খুশি। মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আল-আমিন বলেন, পোয়া মাছটি ভাল দামে বিক্রির জন্য ডাকের মাধ্যমে কিনেছি। আশা করি, এখানেই মাছটি বিক্রি হবে। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, স্থানীয়ভাবে মাছটি লম্বু পোয়া বা সোনালি পোয়া নামে পরিচিত। এটি সাধারণত ৪ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। আরটিভি/এএএ/এসএ  
এক ইলিশ বিক্রি হলো ৬ হাজার ৩০০ টাকায়
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ ৬ হাজার ৩২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে মুনসুর আলীর জালে এ মাছটি ধরা পড়ে। কুয়াকাটা মাছ বাজারের ঘরামী ফিসে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে নিলামের মাধ্যমে ফিস ভ্যালীর পক্ষে মো. হাসান ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মন দরে ক্রয় করেন। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেন বলেন, এত বড় ইলিশ সচরাচর দেখা যায় না। অবরোধের পরে এই প্রথম এতো বড় ইলিশের দেখা মিলছে। ৬ হাজার ৩২৫ টাকায় মাছটি কিনে নেন হাসান নামে এক মৎস্য ব্যবসায়ী। এ সময় মাছটি একনজর দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করে। জেলে মুনসুর বলেন, ২২ দিনের অবরোধ শেষে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে গিয়ে জাল ফেলি। এ সময় বড় মাছটি আমাদের জালে ধরা পড়ে। বড় মাছের চাহিদা বেশি, দামও ভালো। সাগরে এমনিতেও এখন বেশি মাছ মিলছে না। তবে বড় মাছ পাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। আড়ত ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, এত বড় মাছ এই বাজারে খুব কম পাওয়া যায়। তাই নিলামে ১ লাখ দশ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয় মাছটি। এতে মাছটির মূল্য হয়েছে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এটি আসলেই ভালো খবর। এ সাইজের মাছ মূলত গভীর সমুদ্রে থাকে, সমুদ্রের মোহনায় পলি পড়ার কারণে গভীরতা কমে যাচ্ছে, তাই সমুদ্র মোহনা খনন এবং জালের প্রশস্ততা বাড়ালে এ মাছ বেশি ধরা পড়বে। আরটিভি/এএএ/এসএ  
পুকুরে পাওয়া গেল ১০ কেজির কোরাল, যত টাকায় বিক্রি 
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পুকুরে ধরা পড়লে ১০ কেজির একটি কোরাল মাছ।  শনিবার (২ নভেম্বর) মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের ধূলাসার গ্রামের বাসিন্দা সাইমুন ইসলামের পুকুরে মাছটি ধরা পড়েছে। এ সময় মাছটিকে একনজর দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়, মাছটি দেখে অনেকেই কোরাল চাষে উদ্বুদ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দা কাদের পহলান বলেন, পুকুরে এতো বড় কোরাল এর আগে দেখিনি।  মাছটি দেখে স্থানীয় চাঁন মিয়া বলেন, আমিও পুকুরে কোরাল চাষ করব। কোরাল চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। সাইমুন বলেন, মাছটি বিক্রয়ের জন্য স্থানীয় কুয়াকাটা মাছ বাজারে নিয়ে গেলে আশানুরূপ দাম না পাওয়ায়, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি। এরপর পার্শ্ববর্তী উপজেলা আমতলীর বাসিন্দা ইয়াকুব ঘরামী নামের এক ব্যক্তি এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে ১২ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নিয়ে যান। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কোরাল মাছ পর্যাপ্ত খাবার পেলে বছরে সাড়ে ৩ কেজি থেকে ৪ কেজি হতে পারে। এ মাছটি পুকুরে ৩ থেকে ৪ বছর মিনিমাম আছে, পর্যাপ্ত খাবার পেয়েছে। ফলে মাছের গ্রোথ ভালো রয়েছে। আমাদের উপকূলের চাষিরা সঠিক পরিমাণ খাবার ও পরিমাণ মতো উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে কোরাল চাষ করলে তারাও সফলতা পাবেন। আরটিভি/এএএ/এসএ
ইলিশের সন্ধানে সাগরযাত্রায় ব্যস্ত উপকূলের জেলেরা
কেউ ট্রলার মেরামত করছেন, কেউ ট্রলারে রং করছেন, কেউ ট্রলার ধোয়ামোছা করছেন, কেউবা আবার জাল বুনছেন, কেউ কেউ ট্রলারে জালসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তুলছেন। এভাবেই সাগরযাত্রায় প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। এখন ইলিশের সন্ধানে সাগর যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন উপকূলের মৎস্যজীবীরা। জানা গেছে, আগামী তিন নভেম্বর মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই শেষ সময়ে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। জেলেসহ মৎস্য সংশ্লিষ্টদের আশা এবার তাদের জালে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে সরকারি প্রণোদনার চাল প্রকৃত জেলেরা পায়নি বলে দাবি তাদের। এ ছাড়া মৌসুমজুড়ে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় ২২ দিনে কর্মহীন অনেক জেলে হয়ে পড়েছেন ধারদেনায় জর্জরিত। ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ সময় সামুদ্রিক মাছ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল। ২২ দিনের অবরোধ সফল করতে তৎপর ছিলো মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে অনেক জেলেকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তাই সাগরে গিয়ে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ বলে দাবি মৎস্য সংশ্লিষ্টদের। কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার জেলে মমিন উদ্দিন বলেন, অবরোধ মেনে আমরা এই ২২ দিন কর্মহীন সময় পার করেছি। এই নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের মাত্র ২৫ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। পরিবারের ৫ জন্য সদস্য এই চাল দিয়ে কিছুই হয়নি। তাই এই ২২ দিনে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো দেনায় পড়েছি। সরকারের কাছে প্রণোদনার চাল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার  উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার জেলে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছেন। আলীপুর, মহিপুর ও কুয়াকাটা অঞ্চলের জেলেরা তাদের ট্রলার ও জাল মেরামতের পাশাপাশি ইঞ্জিনের কাজে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আলীপুরের জেলে একলাস গাজী বলেন, সরকারি প্রণোদনার তালিকায় প্রকৃত অনেক জেলের নাম নেই। যারা অন্য পেশায় জড়িত দেখেছি তারা সরকারি চাল পেয়েছে। তাই প্রণোদনার তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। অপর এক জেলে আলী হোসেন বলেন, আগামীকাল রাতে আমরা গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। তাই ট্রলারে জাল ও বরফসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তুলছি। গতকাল আমাদের ট্রলারের রং করার কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানা গেছে, কলাপাড়ার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৭ জন জেলে রয়েছেন। অবরোধ চলাকালে প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে সরকারি প্রনোদনার চাল দেওয়া হয়েছে। অবরোধ শতভাগ সফল করতে সাগর ও নদীতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছেন। উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মন্নান মাঝি বলেন, দেশের জেলেরা অবরোধ পালন করেছেন। প্রশাসন ভারতীয় জেলেদের আটক করেছেন। আশা করছি অবরোধ শেষে জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মাছ ধরা পড়বে। সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছ পেলে পেছনের ধার দেনা কাটিয়ে উঠতে পারবো। আমরা সাগরে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার শেষের দিকে গভীর সমুদ্র থেকে নদীর মোহনায় এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। তাই ২০০৬ সাল থেকে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন অবরোধ দিয়ে আসছে সরকার। এ সময় সব ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এবার প্রশাসনের তৎপরতা বেশি থাকায় উপকূলজুড়ে মাছ ধরা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এদিকে অবরোধের সময় বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে মাছ শিকারের দায়ে ভারতীয় জেলেদের আইনের আওতায় এনেছেন। এর জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলে ও মৎস্যজীবীরা। মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফজলু গাজী বলেন, যেহেতু অবরোধের আগে মাছ ধরা পড়েনি, তাই আমরা আশা করছি অবরোধ শেষে বড় সাইজের পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলবে। কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, উপকূলের জেলেরা নিজেরাই অনেকটা সচেতন হয়েছেন। আমরা এ পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভারতীয় জেলেদের জরিমানা আদায় এবং জালসহ তাদের ট্রলার জব্দ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা দিন-রাত মা ইলিশ রক্ষায় কাজ করেছি। আশা করছি, আমরা এ বছর শতভাগ সফল হয়েছি। কারণ, হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, গত পূর্ণিমা ও অমাবস্যার জোতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে সব ডিমওয়ালা মা মাছ দ্রুত ডিম ছেড়ে দেয়। আরটিভি/এএএ/এসএ
কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ভিড়, গতি ফিরছে ব্যবসা বাণিজ্যে 
সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। স্থবির হয়ে পড়া সকল কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে পর্যটন নির্ভর সকল ব্যবসায়ীদের। শীতের শুরুতেই পর্যটকের ভিড়ে ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরতে শুরু করছে।  জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং শ্যামাপূজার ছুটিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে আশেপাশের ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়। সমুদ্রের বুকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছে কেউ বা আবার দলবেঁধে সাতার কাটছে। আনন্দ উপভোগের দৃশ্য স্মৃতিপটে ধারণের জন্য কেউবা আবার ছবি তুলছে। অন্যদিকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় ব্যস্ততা দেখা গেছে কুয়াকাটার সব রেস্তোরাঁসহ পর্যটন-নির্ভর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। হোটেল মোটেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের আবাসিক হোটেলে বুকিং ভালো আছে। পর্যটকদের উপস্থিতিতে স্বস্তি ফিরছে। তাদের আশা এখন  থেকে এমন পর্যটকদের আনাগোনা থাকলে তাদের সংকট কাটিয়ে উঠবে খুব শীঘ্রই। সৈকত লাগোয়া চা বিক্রেতা মো. সোবাহান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে চোখে পড়ার মত পর্যটক কুয়াকাটায় আসছে। বেচা বিক্রি বাড়তে শুরু করছে।  ক্যামেরাম্যান আলমাছ বলেন, গত সপ্তাহ থেকে মোটামুটি পর্যটক আসতে শুরু হয়েছে। আজ ভালোই পর্যটক বাড়ছে। আমরা আমাদের সংকট কাটাতে পারব।  আচার বিক্রেতা মো. ছগির বলেন, পর্যটকরা এখন বেশি ক্রয় করে না। শুধুই ঘুরে ফিরে চলে যায়। তবে আগের চাইতে বিক্রি বাড়ছে। সৈকত লাগোয়া খাবার হোটেলর মালিক মো. সেলিম মিয়া বলেন, বর্ষার সময়ে বেচা কিনা খুবই খারাপ ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে ভালোই বিক্রি করতে পারছি। আজ আরও বাড়ছে। এখন আমাদের দুশ্চিন্তা কাটবে।  কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, বাড়তে শুরু করছে পর্যটক। আশা করছি এখন  থেকে আর পর্যটক খরায় পড়তে হবে না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছে, তার সঙ্গে পর্যটকের আগমন ঘটেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পুলিশ সুপার একে আজাদ বলেন, দেশের চলমান অস্থিরতা কেটে যাওয়ায় পর্যটক বাড়ছে কুয়াকাটায়। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আরটিভি/এএএ