• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
logo
পুকুরে পাওয়া গেল ১০ কেজির কোরাল, যত টাকায় বিক্রি 
ইলিশের সন্ধানে সাগরযাত্রায় ব্যস্ত উপকূলের জেলেরা
কেউ ট্রলার মেরামত করছেন, কেউ ট্রলারে রং করছেন, কেউ ট্রলার ধোয়ামোছা করছেন, কেউবা আবার জাল বুনছেন, কেউ কেউ ট্রলারে জালসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তুলছেন। এভাবেই সাগরযাত্রায় প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। এখন ইলিশের সন্ধানে সাগর যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন উপকূলের মৎস্যজীবীরা। জানা গেছে, আগামী তিন নভেম্বর মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই শেষ সময়ে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। জেলেসহ মৎস্য সংশ্লিষ্টদের আশা এবার তাদের জালে ধরা পড়বে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে সরকারি প্রণোদনার চাল প্রকৃত জেলেরা পায়নি বলে দাবি তাদের। এ ছাড়া মৌসুমজুড়ে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা না পড়ায় ২২ দিনে কর্মহীন অনেক জেলে হয়ে পড়েছেন ধারদেনায় জর্জরিত। ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এ সময় সামুদ্রিক মাছ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল। ২২ দিনের অবরোধ সফল করতে তৎপর ছিলো মৎস্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে অনেক জেলেকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তাই সাগরে গিয়ে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ বলে দাবি মৎস্য সংশ্লিষ্টদের। কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার জেলে মমিন উদ্দিন বলেন, অবরোধ মেনে আমরা এই ২২ দিন কর্মহীন সময় পার করেছি। এই নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের মাত্র ২৫ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। পরিবারের ৫ জন্য সদস্য এই চাল দিয়ে কিছুই হয়নি। তাই এই ২২ দিনে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো দেনায় পড়েছি। সরকারের কাছে প্রণোদনার চাল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার  উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার জেলে তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছেন। আলীপুর, মহিপুর ও কুয়াকাটা অঞ্চলের জেলেরা তাদের ট্রলার ও জাল মেরামতের পাশাপাশি ইঞ্জিনের কাজে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আলীপুরের জেলে একলাস গাজী বলেন, সরকারি প্রণোদনার তালিকায় প্রকৃত অনেক জেলের নাম নেই। যারা অন্য পেশায় জড়িত দেখেছি তারা সরকারি চাল পেয়েছে। তাই প্রণোদনার তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। অপর এক জেলে আলী হোসেন বলেন, আগামীকাল রাতে আমরা গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। তাই ট্রলারে জাল ও বরফসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তুলছি। গতকাল আমাদের ট্রলারের রং করার কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানা গেছে, কলাপাড়ার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৭ জন জেলে রয়েছেন। অবরোধ চলাকালে প্রত্যেককে ২৫ কেজি করে সরকারি প্রনোদনার চাল দেওয়া হয়েছে। অবরোধ শতভাগ সফল করতে সাগর ও নদীতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছেন। উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মন্নান মাঝি বলেন, দেশের জেলেরা অবরোধ পালন করেছেন। প্রশাসন ভারতীয় জেলেদের আটক করেছেন। আশা করছি অবরোধ শেষে জালে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মাছ ধরা পড়বে। সাগরে কাঙ্ক্ষিত মাছ পেলে পেছনের ধার দেনা কাটিয়ে উঠতে পারবো। আমরা সাগরে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রতি বছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার শেষের দিকে গভীর সমুদ্র থেকে নদীর মোহনায় এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। তাই ২০০৬ সাল থেকে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন অবরোধ দিয়ে আসছে সরকার। এ সময় সব ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এবার প্রশাসনের তৎপরতা বেশি থাকায় উপকূলজুড়ে মাছ ধরা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এদিকে অবরোধের সময় বাংলাদেশের জলসীমানায় ঢুকে মাছ শিকারের দায়ে ভারতীয় জেলেদের আইনের আওতায় এনেছেন। এর জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলে ও মৎস্যজীবীরা। মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ফজলু গাজী বলেন, যেহেতু অবরোধের আগে মাছ ধরা পড়েনি, তাই আমরা আশা করছি অবরোধ শেষে বড় সাইজের পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলবে। কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, উপকূলের জেলেরা নিজেরাই অনেকটা সচেতন হয়েছেন। আমরা এ পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভারতীয় জেলেদের জরিমানা আদায় এবং জালসহ তাদের ট্রলার জব্দ করেছি। তিনি আরও বলেন, আমরা দিন-রাত মা ইলিশ রক্ষায় কাজ করেছি। আশা করছি, আমরা এ বছর শতভাগ সফল হয়েছি। কারণ, হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, গত পূর্ণিমা ও অমাবস্যার জোতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে সব ডিমওয়ালা মা মাছ দ্রুত ডিম ছেড়ে দেয়। আরটিভি/এএএ/এসএ
কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের ভিড়, গতি ফিরছে ব্যবসা বাণিজ্যে 
অটোভ্যান-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৪
আ.লীগের তৈরি আইনেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ: ছাত্রদল সভাপতি
জোয়ারের স্রোতে ভাঙন, সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছে কোটি টাকার গাছ
বরিশাল বিভাগের ডাকাত বাহিনীর প্রধান জুয়েল গ্রেপ্তার 
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হোটেল মালিকের বাসা ডাকাতি মামলার প্রধান আসামি মো. জুয়েল মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। শনিবার (১৯ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল মৃধা বরিশাল বিভাগের ডাকাত বাহিনীর প্রধান। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে মোট ২০টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল মৃধা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মো. ইউনুস মিয়ার ছেলে। মহিপুর থানার ওসি তদন্ত মো. নোমান হোসেন জানান, গত ৪ আগস্ট কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল মালিক মো. রনি মিয়ার বাসায় ডাকাতি করে স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে থানায় ডাকাতি মামলা করেন রনি মিয়া। পরবর্তীতে পুলিশী তদন্তে জুয়েল মৃধাকে সনাক্ত করার পর তাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরটিভি/এএএ
সম্প্রীতির অপূর্ব মেলবন্ধন, পাশাপাশি মসজিদ-মন্দির
পথ একটাই। মাঝে ৩ ফিটের একটা ছোট্ট ইটের দেয়াল। এই দেয়াল জমির সীমানা নির্ধারণ করলেও মনের দেয়ালে রেখা টানেননি। একই পথ দিয়ে মুসলমানরা মসজিদে যায় সেজদায় আর সনাতনীরা মন্দিরে যায় পূজা অর্চনায়। সময় করে চলে ধর্মীয় আচার-আচরণ। সময়মতো আজান ও নামাজ, নিয়ম করে পূজা অর্চনা। একপাশে ধূপকাঠি অন্য পাশে আতরের সুঘ্রাণ। এক পাশে কোরআনের সুমধুর অমিয় বানী অন্য পাশে গীতা পাঠ। এক পাশে জিকিরের ধ্বনি অন্য পাশে উলুধ্বনি। এমনভাবেই যুগ যুগ ধরে সম্প্রীতির আলো ছড়াচ্ছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার সমুদ্রের তীর ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা প্রতিষ্ঠিত মসজিদ ও মন্দির। স্থানীয়দের তথ্যমতে, সৈকত লাগোয়া শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯৬ সালে আর তার সাথের ‘সাগর সৈকত জাম মসজিদ’ প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৯৭ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হয়নি কেউই। বরং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আজ পর্যন্ত চলে আসছে। এমনিতে কুয়াকাটা সনাতনী ধর্মের কাছে তীর্থ স্থান হওয়ায় এখানে মতুয়া মিশনের মহা মিলন, রাসপূর্ণিমায় হাজারও হিন্দু সম্প্রদায়ের তীর্থদের উপস্থিতিতে কেউ কোনদিন বিরক্তের ছাপ দেখেনি। সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হলো। এ পূজা আয়োজন করার আগে পূজা কমিটি, মসজিদ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেছে। এমনটাই নিশ্চিত করেছে মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেই ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করি। এতে আমাদের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। কখনো কেউ আজানের সময় তবলা বাজায়নি। এ বিষয়ে শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের উপাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন বলেন, মসজিদ কমিটি কখনো কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেয়। আমরা একে অপরের সঙ্গে আলাপ করেই ধর্মীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাই। কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটক মো. সাইদুর রহমান বলেন, এক পথের শেষ মাথায় দুই ধর্মের ২টা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দেখে আমার কাছে ভালো লাগছে। সাম্প্রদায়িক মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। এমন সম্প্রীতির নজির হাতেগোনা। স্থানীয় বাসিন্দা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কুয়াকাটা শাখার আমির আলহাজ মাওলানা মাইনুল ইসলাম বলেন, ধর্ম নিয়ে কখনো বাড়াবাড়ি হয়নি। যে যার মতো ধর্মীয় কালচার পালন করে আসছে। আমরা তাদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিই। তারাও আমাদের দাওয়াত দেয়। আমরা সুখে-দুঃখে পাশাপাশি থাকি। শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কাজল বরণ দাশ বলেন, যুগ যুগ ধরে এই সম্প্রীতির উদাহরণ চলে আসছে। আগামীতেও থাকবে এমন সৌহার্দ্যতা। কুয়াকাটা পৌর সভার সাবেক মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এখানে মানুষের বসবাস। সবাই মিলে মিশেই থাকি। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক নয়, এখানে পাশাপাশি বৌদ্ধদের প্রার্থনা করার প্যাগোডাও আছে।  আরটিভি/এএএ/এসএ  
কুয়াকাটার মাছ বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের ভিড়
কুয়াকাটায় কম দামে ইলিশ কিনতে মৎস্য পল্লীতে ভিড় করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহিপুর বন্দরের আড়তগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক সরগরম দেখা গেছে। তবে অনেকে চড়া মূল্যে মাছ না কিনে খালি হাতে ফিরে গেছেন। জানা গেছে, মধ্যরাত থেকে সামুদ্রিক মাছ আহরণের ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে গেছে। তাই শনিবার সন্ধ্যা থেকেই উপজেলার মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহিপুর বন্দরের আড়তগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক সরগরম ছিল।  বিশেষ করে কম দামে ইলিশ মাছ কিনতে খুচরা ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে মাছ কম থাকায় চড়া দামে ইলিশ না কিনে অনেকেই খালি হাতে ফিরে গেছেন। কেউ কেউ ভেলা, লইট্টা, পোয়া মাছ কিনে বাড়ি ফিরেছেন। অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো।  তবে মহিপুর বাসস্ট্যান্ড ও আলীপুর থ্রিপয়েন্ট এলাকায় কিছু ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতারা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। উত্তম ঘোষ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘মাছ কিনতে এসেছিলাম। মাছের চেয়ে ক্রেতা বেশি থাকায় মাছের দাম অনেক চড়া। তাই ফিরে যাচ্ছি।’ মাছ বিক্রেতা বেলাল হাওলাদার বলেন, ‘শেষ মূহুর্তে মাছ কিনতে অনেক মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। কিন্তু সমুদ্র থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলো তেমন মাছের দেখা পায়নি। ক্রেতা বেশি থাকায় মাছের দাম বেশি।’ মাছ কিনতে আসা মো. সাইদুল ইসলাম, ‘বাজারে বড় সাইজের ইলিশ নেই। ছোটো সাইজের ইলিশ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই ভেলা মাছ কিনে চলে আসছি।’ আড়ৎদার ব্যবসায়ী আ. রহিম খান বলেন, ‘অবরোধের শেষে মুহূর্তে ট্রলারগুলো খালি হাতে ঘাটে এসেছে। যার কারণে সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না।’ কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞার এই সময় সঠিকভাবে পালনের লক্ষ্যে সব ট্রলার ইতোমধ্যেই ঘাটে ফিরেছে। অবরোধ সফল করতে আমাদের অভিযান চলবে।’ আরটিভি/এমকে
কুয়াকাটায় আবাসন সংকট, ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা
পর্যটকের ঢল নেমেছে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়। শারদীয় দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটিতে লাখো পর্যটকের পদচারণায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে এ সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা। তবে অনেকেই হোটেলে রুম না পেয়ে লাগেজ আর ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন বালিয়াড়িতে। অনেক ভ্রমণপিপাসু বলছেন, রুম না পেয়ে কুয়াকাটা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বালিয়াড়িতে ভিড় করেছে পর্যটক। বালিয়াড়ির সামনে নীল জলরাশিতেও মানুষের ভিড়। সবাই মেতেছেন বাধভাঙা আনন্দ-উল্লাসে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব পূজা এবং সাপ্তাহিক টানা চারদিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকের ঢল নেমেছে। হোটেলে রুম ভাড়া না পেয়ে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে অনেক সৈকতের বেঞ্চে অবস্থান করছেন। অনেকে সাগর তীরেই থাকছেন। কেউ কেউ সড়কে পায়চারী করে সময় পার করছেন। খুলনা থেকে আগত পর্যটক মোহাম্মদ হাসান বলেন, সকালে বাস থেকে নামার পর হোটেল খোঁজাখুঁজি করলেও রুম পাইনি। তবে একটি কটেজে রুম পেয়েছি সেটার ভাড়া অনেক বেশি চায়। রুমের অবস্থাও ভালো না। রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক মারুফ হোসেন বলেন, সকালে কুয়াকাটা পৌঁছানোর পর অনেক হোটেলে গিয়েছি। কিন্তু কোথাও রুম পায়নি। শেষমেশ বালিয়াড়িতে লাগেজ ও ব্যাগ নিয়ে বসে আছি। যদি কোনো রুম পাই তাহলে আজকে থেকে যাব, না হয় রাতের গাড়িতে রাজশাহী ফিরে যাব। ব্যবসায়ী ও পর্যটকের দেয়া তথ্য বলছে, ৪দিনের ছুটি মানেই কুয়াকাটায় পর্যটকের চাপ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ২ শতাধিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট এখন পর্যটকে ঠাঁসা। অনেকেই রুম না পেয়ে লাগেজ বা ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন সৈকতের বালিয়াড়িতে। তারা বলছেন, রুম না পেয়ে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।  কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (কুটুম) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, হঠাৎ করে এখানে অনেক পর্যটক বেড়েছে। বিষয়টি আনন্দের। তবে কিছু পর্যটক হোটেলের রুম না পেয়ে বাসা বাড়ি ও খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলেছি। তারা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। আবাসিক হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, দুর্গাপূজার ছুটিতে কুয়াকাটায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি পর্যটক এসেছেন। আমাদের কাছে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে পাঠিয়েছি। অনেক পর্যটক বাসা বাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করে ফিরে গেছেন এমনটা শোনা যাচ্ছে। কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ বলেন, কুয়াকাটায় ছোট বড় সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টির মতো আবাসিক হোটেল রয়েছে। দুর্গা উৎসবের টানা ছুটিতে রুম সংকট হওয়ায় কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় বাসা বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন পর্যটকরা।  আবাসন সংকট দূর করার জন্য বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক আ. খালেক বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের ৫টি টিম কাজ করছে। যদি কোনো পর্যটক রুম না পায়, আমাদের কাছে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি। আরটিভি/এমকে
জেলের জালে ৬৪ কেজি ওজনের পাখি মাছ
চট্টগ্রামের বাশখালী এলাকার এফবি রিফাত-১ ট্রলারের আজগর আলী মাঝির জালে ধরা পড়েছে ৬৪ কেজি ওজনের ১টি পাখি মাছ।  বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে মাছটি পটুয়াখালীর আলীপুর বিএফডিসি মার্কেটের খান ফিসে বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়। এ সময় মাছটি দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। জানা গেছে, উপকূলে এসব মাছের চাহিদা না থাকায় নিলামের মাধ্যমে সোহেল নামের এক মাছ ব্যবসায়ী ৭ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। মৎস্য ব্যবসায়ী রহিম খানের মালিকানাধীন খান ফিসে নিলাম ডাকা হয়। আজগর আলী বলেন, এই প্রজাতির মাছ এখন কম ধরা পড়ে। আগে আরও বেশি ধরা পড়ত এই মাছ। আমাদের এই অঞ্চলে এর চাহিদা বেশি না থাকলেও রাজধানীসহ দেশের বাহিরে এর চাহিদা বেশি। কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, পাখি মাছ গভীর সমুদ্র থাকে। সমুদ্রের আবহাওয়া খারাপ থাকায় মাছগুলো উপকূলে আসে না। যার কারণে কম ধরা পড়ছে। তবে আগের চেয়ে বঙ্গোপসাগরে এসব মাছ বেড়েছে। আশা করছি আরও বড় সাইজের মাছ জেলেরা শিকার করতে পারবে। আরটিভি/এএএ/এসএ
কুয়াকাটায় ৪৬ কেজি ওজনের পাখি মাছ, বিক্রি ৯ হাজার টাকায়
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা মৎস মার্কেটে বিশাল একটি পাখি মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন পাথরঘাটার জেলে সোহেল রানা। ৪৬ কেজি ওজনের এ মাছটি তার জালে ধরা পড়েছে।  বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে কুয়াকাটা আড়তে নিয়ে আসলে এ সময় মাছটি দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।  জানা গেছে, উপকূলে এসব মাছের চাহিদা না থাকায় নিলামের মাধ্যমে মোঃ হাসান নামের এক মাছ ব্যবসায়ী ২০০ টাকা কেজি দরে মাছটি  ৯ হাজার ২শ’ টাকায় কিনে নেন। জেলে সোহেল বলেন, ‘এই প্রজাতির মাছ এখন কম ধরা পড়ছে। মাছগুলো বেশ শক্তিশালী আমার কাছে মনে হয়। আগে আরও বেশি ধরা পড়তো এ মাছ। সকালে কুয়াকাটা বাজারে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করেছি।’ কলাপাড়া উপজেকলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস জেলেরা এটিকে (পাখি মাছ) বলে থাকে। এ মাছগুলো গভীর সমুদ্র থাকে। ঘন ঘন সমুদ্রের আবহাওয়া খারাপ থাকায় মাছগুলো উপকূলে আসে না। যার কারণে কম ধরা পড়ছে। তবে আগের চেয়ে বঙ্গোপসাগরে এসব মাছ বেড়েছে। আশা করছি, আরও বড় বড় সাইজের মাছ জেলেরা শিকার করতে পারবেন।’ আরটিভি/এমকে