• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
হতাহতের ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নয়: হাসনাত
জেলের জালে ১৫ কেজির মেদ মাছ, ১৪ হাজারে বিক্রি
পটুয়াখালী কুয়াকাটার কলাপাড়া এলাকায় এবার বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের এক মেদ মাছ। মাছটি কুয়াকাটা মাছ বাজারে ডাকের মাধ্যমে সাড়ে ১৪ হাজারে বিক্রি করা হয়। মাছটি ধরা পড়ে কলাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের জেলে খলিলের জালে।  শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা মাছ বাজারের খান ফিসে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন জেলে খলিল।  পরবর্তীতে পাইকারি ক্রেতা ফিস ভ্যালীর (ডিএমডি) ব্যবসায়ী মো. হাসান মাছটি ৯০০ টাকা কেজি ধরে ১৪ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেন। মাছটি ক্রয় করা ব্যবসায়ী ফিস ভ্যালীর মো. হাসান বলেন, ‘মেদ মাছগুলো বাজারে বর্তমানে তেমন একটা আসে না। সেজন্য মাছটি ক্রয় করেছি কারণ এই মাছের ভালো চাহিদা রয়েছে মার্কেটে। মাছটি বিক্রির জন্য ঢাকা পাঠানো হবে। যদি পারি একসাথে বিক্রি করে দেব না হলে কেটে কেজি হিসেবে বিক্রি করব। আশা করি প্রত্যাশিত দামে বিক্রি করতে পারব।’ মাছটি পাওয়া জেলে খলিল মাঝি বলেন, ‘সামুদ্রিক বাইলা মাছ ধরার উদ্দেশ্য শনিবার রাতে গঙ্গামতি সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জাল ফেললে বয়া নামক স্থানে এ মাছটি ধরা পড়ে।’  এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার অপু সাহা বলেন, ‘বছরে দুবার সামুদ্রিক নিষেধাজ্ঞা পালনের সুফল পাচ্ছেন জেলেরা। তাদের জালে এমন বড় মাছ ধরা পড়ছে। আমরা যদি সামুদ্রিক নিয়ম কারণ মেনে সমুদ্রে মাছ শিকার করি তাহলে সামনের দিকে আমাদের জেলেরা আরো ভালো মাছ পাবেন। তাই জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সমুদ্রের শতভাগ নিয়মকানুন মেনে মাছ শিকার করা উচিত।’ আরটিভি/এমকে 
মাদকবিরোধী অভিযান: ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের মৃত্যু
কুয়াকাটায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ 
পটুয়াখালীতে ছাত্রদল নেতার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
বরফ তোলাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৬
ঘরে পড়েছিল স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ
পটুয়াখালীতে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে স্বামী ও স্ত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে কালিকাপুরের বহালগাছিয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুস সালাম। নিহতরা হলেন, আশ্রাবালী (৭০) ও স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৬০)।  জানা যায়, আশ্রাবালী কলাপাড়ার খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। হোসনেয়ারা ছিলেন গৃহিণী। স্থানীয়রা জানান, আশ্রাবালীর বড় ছেলে হিমু চাকুরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। গত তিনদিন ধরে মা-বাবার মোবাইলফোনে কল দিয়ে না পেয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে প্রতিবেশীরা খোঁজ নিতে গেলে ঘরে তাদের দুজনের অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।   এ বিষয়ে এসপি আবদুস সালাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহের প্রাথমিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ২ থেকে ৩দিন আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মর্গের প্রতিবেদন দেখে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তার সঠিক কারণ জেনে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
পটুয়াখালীতে ইজিবাইকের মোটরে গলার ওড়না পেঁচিয়ে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোহনা আক্তার (১৮)। বুধবার (১২ জুন) বেলা সোয়া ১১টায় পটুয়াখালী শহরের টাউন কালিকাপুর মডেল মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  মোহনা ওই ইজিবাইকের যাত্রী ছিলেন। আগামী ৩০ জুন মোহনা আক্তারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই ইজিবাইকের মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে নিভে গেল জীবন প্রদীপ। নিহত তরুণী মোহনা শহরের শিমুল পাগলা এলাকার ব্যবসায়ী মো. রাসেল মুন্সির তিন মেয়ের মধ্যে বড় ছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী সদর থানার এসআই মোহাম্মদ হিরণ। এ দিকে নিহত মোহনার বান্ধবী চাদনী আক্তার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, তারা ৩ বান্ধবী মুসলিম পাড়া থেকে প্রাইভেট পড়ে শহরের চৌরাস্তায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে মোহনার ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার শামীমা নাসরিন পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের ডাক্তার শামীমা নাসরিন বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। গলায় ওড়নার ফাঁস ও ঘাড়ের স্পাইনাল কডে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এসআই মোহাম্মদ হিরণ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। সুরতহাল রিপোর্টে ওড়না প্যাঁচানো গলায় দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পটুয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঈন খান চানু বলেন, নিহত তরুণী আমার ওয়ার্ডের শিমুলবাগ বাসিন্দা মো. রাসেল মুন্সির মেয়ে। মোহনার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সৈকত 
ঈদের দ্বিতীয় দিনে হাজার হাজার পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত। আগত পর্যটকরা সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট-বড় ঢেউয়ে সাঁতার কেটে আনন্দে মেতেছেন। অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে মেতেছেন। অনেকে আবার ঘোড়া চড়ে, ওটারবাইক কিংবা মোটরবাইকে চড়ে সৈকতের বিভিন্ন পর্যটনস্পট ঘুরে দেখছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।  আগত পর্যটকদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে সকল পর্যটন স্পটগুলোতে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতের জিরো পয়েন্ট, শুঁটকি পল্লী, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন মহিলা মার্কেট, রাখাইন পল্লী, জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন, সৈকতের ঝাউবাগানসহ পর্যটন স্পটগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। ঘুরতে আসা পর্যটক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় ঘুরতে আসলাম। সকাল থেকে পুরো সৈকত মুখর। অনেক লোক এসেছে, বেশ ভালো লাগছে। তবে প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। আবাসিক হোটেল সি ভিউ এর ম্যানেজার সোলায়মান ফরাজী বলেন, আজকে পর্যটকের সংখ্যা অনেক। শনিবার থেকে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এবারের ঈদের ছুটিতে আমাদের শতভাগ রুম বুকিং হয়েছে। আশা করছি, সামনের পুরো সপ্তাহজুড়ে ভালো পর্যটক পাবো। কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (কুটুম) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ঈদের ছুটি উপলক্ষে আজকে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক এসেছেন। প্রচন্ড গরমেও পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর গোটা সৈকত। ছাতাবেঞ্চ ব্যবসায়ী নাসির খলিফা বলেন, আজকে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শনিবার পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক হাসান মারুফ বলেন, আজকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। আমরা বুকিং করে না এসে বিপদে পরে গেছি। হোটেলে রুম পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, প্রায় হোটেলের ৮০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও পর্যটকরা ফোনে রুম বুকিং দিচ্ছেন।  কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি পর্যটন স্পটে সাদাপোশাকে পুলিশ সার্বক্ষণিক ডিউটিতে আছে। এখানে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয় সে ব্যাপারে আমরা সর্বদা সতর্ক রয়েছি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পর্যটকদের সেবায় পৌরসভা প্রস্তুত আছে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর থেকে কুয়াকাটায় পর্যটক বেড়েছে। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা মহাসড়ক ফোর লেন বাস্তবায়িত হলে আরও পর্যটক বাড়বে।  কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আজকে কুয়াকাটা পর্যটকে মুখর। কাল-পরশু কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানা, মহিপুর থানা, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ, ফায়ারসার্ভিস, মেডিকেল টিম প্রস্তুত আছে। 
পটুয়াখালী পৌর নির্বাচনে পুনরায় জয় পেলেন মহিউদ্দিন 
পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাচনে বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে ১১ হাজার ৪২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে পুনরায় মেয়র পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন তিনি। শনিবার (৯ মার্চ) রাতে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে আজ সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়।  পটুয়াখালী পৌরসভার এ নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।  বর্তমান মেয়র জগ মার্কা প্রতীক নিয়ে ২০ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৭৬ ভোট। অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে মো. এনায়েত হোসেন (নারিকেল গাছ প্রতীক) ২৩৭ ভোট, আবুল কালাম আজাদ (রেল গাড়ি) ৪৪০ ও মো. নাসির উদ্দিন খান (কম্পিউটার প্রতীক) ২০৮ ভোট পেয়েছেন। 
ভোট কিনতে গিয়ে গণপিটুনি খেলেন মেয়র
পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এবং তার কর্মী-সমর্থকরা শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতে গিয়ে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণধোলাই খেয়েছেন। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল জোরদার করেছে র‍্যাব ও পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জানা গেছে, পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার সময় ভোটারদের হামলার শিকার হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা। ঘটনার সময় মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয় ভোটারদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশকয়েকজন আহত হয়েছেন।  পুরাতন বাজার এলাকায় একাধিক ভোটার বলেন, বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্তত শতাধিক লোক পুরাতন বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় হিন্দু ভোটারদের টাকা দিয়ে জগ প্রতীকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করে। এতে সাধারণ ভোটার রাজি না হলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা গিয়ে মহিউদ্দিনের কর্মী-সমর্থকদের অনৈতিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এতে মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়দের উপর হামলা চালায়। মুহূর্তেই এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে প্রতিহত করে। সিসিটিভি ফুটেজে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে। এ ঘটনায় দুই মেয়র প্রার্থী ডা. শফিকুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন আহমেদ একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫, কাউন্সিলর পদে ৪১ এবং তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫ জনসহ ৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার মোট ভোটার ৫০ হাজার ৬৯৯ জন।
মেয়রপ্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ, ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে মেয়রপ্রার্থী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো তার ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন। শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় পুরাতন বাজার এলাকাসহ গোটা পৌর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল জোরদার করেছে র‍্যাব, পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার সময় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা। ঘটনার সময় মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয়দের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। পুরাতন বাজার এলাকা একাধিক ভোটার জানান, মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্তত শতাধিক লোক পুরাতন বাজার এলাকায় প্রবেশ করে হিন্দু ভোটারদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর সেসময় জগ প্রতীকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করেন তারা। এতে সাধারণ ভোটার রাজি না হলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিনের নেতাকর্মীরা। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে। মুহূর্তেই পুরো এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে মেয়রপ্রার্থী মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকদের এলাকা থেকে বের করে দেয়। সিসিটিভি ফুটেজে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।  ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরবর্তীতে সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গণমাধ্যমের কাছে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মো. জসিম। অপরদিকে এ ঘটনায় ২ মেয়রপ্রার্থী ডা. শফিকুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন আহমেদ একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।