• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
ঘরে পড়েছিল স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ
ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
পটুয়াখালীতে ইজিবাইকের মোটরে গলার ওড়না পেঁচিয়ে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোহনা আক্তার (১৮)। বুধবার (১২ জুন) বেলা সোয়া ১১টায় পটুয়াখালী শহরের টাউন কালিকাপুর মডেল মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  মোহনা ওই ইজিবাইকের যাত্রী ছিলেন। আগামী ৩০ জুন মোহনা আক্তারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই ইজিবাইকের মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে নিভে গেল জীবন প্রদীপ। নিহত তরুণী মোহনা শহরের শিমুল পাগলা এলাকার ব্যবসায়ী মো. রাসেল মুন্সির তিন মেয়ের মধ্যে বড় ছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী সদর থানার এসআই মোহাম্মদ হিরণ। এ দিকে নিহত মোহনার বান্ধবী চাদনী আক্তার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, তারা ৩ বান্ধবী মুসলিম পাড়া থেকে প্রাইভেট পড়ে শহরের চৌরাস্তায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে মোহনার ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার শামীমা নাসরিন পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগের ডাক্তার শামীমা নাসরিন বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। গলায় ওড়নার ফাঁস ও ঘাড়ের স্পাইনাল কডে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এসআই মোহাম্মদ হিরণ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। সুরতহাল রিপোর্টে ওড়না প্যাঁচানো গলায় দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পটুয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঈন খান চানু বলেন, নিহত তরুণী আমার ওয়ার্ডের শিমুলবাগ বাসিন্দা মো. রাসেল মুন্সির মেয়ে। মোহনার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
পর্যটকের পদচারণায় মুখর কুয়াকাটা সৈকত 
পটুয়াখালী পৌর নির্বাচনে পুনরায় জয় পেলেন মহিউদ্দিন 
ভোট কিনতে গিয়ে গণপিটুনি খেলেন মেয়র
মেয়রপ্রার্থীর বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ, ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
রাত পোহালেই পটুয়াখালী পৌরসভার ভোটগ্রহণ
রাত পোহালেই ৯ মার্চ পটুয়াখালী পৌরসভার ভোটগ্রহণ। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম এবং থাকছে ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, ৩ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ৪টি ভ্রাম্যমাণ টিম। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে থাকবে পর্যপ্ত পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য।  জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে ২৪টি ভোটকেন্দ্রের প্রতি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী হচ্ছেন ডা. মো. শফিকুল ইসলাম (মোবাইল প্রতীক), মহিউদ্দিন আহমেদ (জগ প্রতীক), মো. এনায়েত হোসেন (নারিকেল গাছ প্রতীক), আবুল কালাম আজাদ (রেল গাড়ী) ও মো. নাসির উদ্দিন খান (কম্পিউটার প্রতীক)।  এবারের পৌর নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৯৪৭ এবং নারী ভোটার ২৬ হাজার ৭৫০ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার আছেন দুজন। বিগত ২০১৯ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে ৫ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার বেশি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪৫ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৮২২ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৩২২ জন।
পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন : জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ডা. শফিক
পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে পুরো পৌর শহরে বইছে ভোটের হাওয়া। হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাট-বাজার এবং চায়ের দোকানগুলোতে বসছে নির্বাচনী আড্ডা। সেখানে প্রতিনিয়ত চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা এবং ভোটের হিসাব-নিকাশ।   এ দিকে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা কাক ডাকা ভোর থেকে রাত অবধি ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি এবং চাচ্ছেন ভোট ও দোয়া। কেউ কেউ আবার ভোটারদের মন পেতে এবং আকৃষ্ট করতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।  তবে এ পৌর নির্বাচনে মোট পাঁচজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাবেক মেয়র ডা. শফিকুল ইসলামের প্রচার-প্রচারণায় বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হবে বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক মেয়র ডা. শফিকুল ইসলামের মধ্যেই।  সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জনপ্রিয়তা বাড়ছে সাবেক মেয়র ডা. শফিকুল ইসলামের। পরিবর্তনের হাওয়ায় এবার পৌরবাসীও ডা. শফিককে মেয়র হিসেবে চাচ্ছেন।  পৌরবাসীর কাছে ডা. শফিক ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। বিগত ২ দশক ধরে এ শহরের গরিব-অসহায় এবং দুস্থ-ছিন্নমূল মানুষজনকে বিনা টাকায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি এ পৌরসভার মানুষের কাছে নিজের ক্লিন ইমেজ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। যাদের ওষুধ ক্রয় করার সামর্থ্য ও সক্ষমতা ছিল না তাদেরকে ওষুধও কিনে দিয়েছেন তিনি। এ কারণে পৌর শহরবাসীর কাছে ডা. শফিক একজন ‘মানবতার ডাক্তার’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। তাই এবারের পৌর নির্বাচনে মানবতার ডা. শফিককে মেয়র হিসেবে দেখতে চান পৌরবাসী।         জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪১ জন ও ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  এদের মধ্যে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী হলেন বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ (জগ প্রতীক), সাবেক মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলাম (মোবাইল প্রতীক), মো. এনায়েত হোসেন (নারিকেল গাছ প্রতীক), আবুল কালাম আজাদ (রেল গাড়ি) ও মো. নাসির উদ্দিন খান (কম্পিউটার প্রতীক)। এবারের পৌর নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৯৪৭ এবং নারী ভোটার ২৬ হাজার ৭৫০ জন। এ ছাড়া হিজড়া ভোটার আছেন দুজন। বিগত ২০১৯ সালের নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে ৫ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার বেশি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪৫ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৮২২ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৩২২ জন।  পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের স্বনির্ভর রোড এলাকার ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম (৫০) বলেন, ‘মোরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সামান্য আয়-রোজকার করে পরিবার-পরিজন নিয়ে নদীর পাড়ে বসবাস করতাম। কিন্তু আমাদেরকে নদীর পাড় থেকে উচ্ছেদ করে দেয় এবং ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। অথচ শফিক ডাক্তার যখন মেয়র ছিলেন তখন আমাদের কোনো ঘরবাড়ি ভেঙে ফেলেননি এবং কাউকে উচ্ছেদও করেননি। বরং আমরা তার (ডা. শফিক) কাছ থেকে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা পেয়েছি। তাই মোরা শফিক ডাক্তারকেই ভোট দিমু।’      পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের শিশুপার্ক এলাকার মোসা. নাজমা আক্তার (৪৫) বলেন, ‘গেলো ৫ বছরে যা পাইছি হ্যাতে কইজ্যা ফুডা হইয়্যা গ্যাছে। মাথায় চাউলের বস্তা দিয়া আবার নামাইয়া লইয়া গ্যাছেন। হেই কথা মোরা ভুইল্যা যাই নাই।’  শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সাইদুর রহমান গাজী (৫৭) বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে কিছু সংখ্যক মানুষ টাকার মালিক হয়েছেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোনো উন্নয়ন হয়নি। হয়নি পৌর শহরের কোনো উন্নয়ন। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সড়কে ফোর লেন করে বাহবা নিতে চাচ্ছেন বর্তমান মেয়র। অথচ পুরো পৌরবাসী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।’  পৌর নির্বাচন প্রসঙ্গে মেয়র প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিন খান (কম্পিউটার প্রতীক) বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ৫০ বছর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছি এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছি। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে পৌর কর, পানির বিল কমিয়ে দেওয়া হবে এবং পৌর শহরের মধ্যে নদী পারাপারের খেয়া ভাড়া ১০ টাকার স্থলে ৫ টাকা করা হবে। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য চিকিৎসা সেবা ফ্রি এবং পঞ্চাশোর্ধ রিকশা, অটোবাইক ও ভ্যানচালকেদের শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। ওইসব শ্রমিকদের সপ্তাহে একদিনের খাওয়ার ব্যবস্থাসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য কাজ করবো।’   সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম (মোবাইল প্রতীক) বলেন, ‘আমি আট বছর মেয়র ছিলাম, তখন কোনো ব্যবসায়ীকে হয়রানি করিনি। আমি যদি আবার মেয়র নির্বাচিত হতে পারি তাহলে শহরের ব্যবসায়ীরা সবাই নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারবেন।’  তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন মেয়র ছিলাম তথন এ পৌরসভায় কম-বেশি বরাদ্দ পেয়েছি। সেই বরাদ্দকৃত অর্থেই এখন কাজগুলো হচ্ছে। এখানে বর্তমান মেয়রের কোনো কৃতিত্ব নেই। আমি সেবক হয়ে পৌরবাসীর পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি এবং জীবনে যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিনই সেবক হয়েই আপদে-বিপদে পৌরবাসীর পাশে থাকবো।’  বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ (জগ প্রতীক) বলেন, ‘আমি বিগত পাঁচ বছর পৌর শহরের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। কতটুকু সফল হয়েছি তার বিচারের ভার পৌরবাসীর ওপর। যদি ভালো কাজ করে থাকি পৌরবাসী আমাকে আবার নির্বাচিত করবেন। তবে পৌরবাসী যাকেই মেয়র নির্বাচিত করবেন আমি তাকেই স্বাগত জানাবো এবং পৌর শহর উন্নয়নে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।’ 
পটুয়াখালীতে ৪ টন সরকারি পাঠ্যবইসহ ট্রাক জব্দ
পটুয়াখালীর মহিপুরে ৪ টন সরকারি পাঠ্যবইসহ একটি ট্রাক জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা-সংলগ্ন সড়ক থেকে এসব বই জব্দ করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ। জব্দকৃত বইয়ের বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোয়াজ্জেমপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আবু বক্কর সিদ্দিক রাতের আঁধারে এসব পাঠ্যবই ঝিনাইদহ এলাকায় নিয়ে বিক্রি করতে চেয়েছিল। পরে ট্রাকে করে বইগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।  কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ট্রাকসহ বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।