• ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বান্দরবান সীমান্তে ৮১ রোহিঙ্গা আটক
পর্যটক টানতে বান্দরবানে ব্যবসায়ীদের ছাড়ের ঘোষণা
প্রায় একমাস পর বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আনন্দিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। মৌসুমকে আরও চাঙ্গা করে তুলতে বিভিন্ন খাতে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ এ ঘোষণা দেন। ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক মো. নাছিরুল আলমের সভাপতিত্বে জেলার হোটেল-রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মাস্টার, উপদেষ্টা মফিজুল ইসলাম মামুন, ন্যাচারাল পার্কের মালিক অধ্যাপক মো. ওসমান গণি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা জানান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আলোর মুখ দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে আবাসিক হোটেলে ৩৫ শতাংশ, রিসোর্টে ২৫ শতাংশ, রেস্টুরেন্টে ১০ শতাংশ ও রিজার্ভ ট্যুরিস্ট পরিবহনগুলোতে ২০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড় ৭ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। বান্দরবান পার্বত্য জেলায় হোটেল রিসোর্ট আছে প্রায় ৯৪টি।  এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়িতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও নিরাপত্তার কারণে রুমা-থানচি ও রোয়াংছড়ি ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আরটিভি/এমএ-টি
শিগগিরই বান্দরবানে মডেল মসজিদ নির্মাণ হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ২০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা 
পাহাড়ে সন্ত্রাসী আস্তানা, অস্ত্র-ড্রোনসহ প্রযুক্তি সরঞ্জাম উদ্ধার
বান্দরবানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় শিক্ষার্থীরা, ট্রাফিকের দায়িত্বে সাধারণ মানুষ
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা 
দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বান্দরবান সদরের ১শ’ শয্যার হাসপাতাল। দিনদিন রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি চিকিৎসা সেবার মান। নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ রোগীরা। তবে জনবল সংকটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিদিন বান্দরবান সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত রোগী সেবা নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন বান্দরবান সদর হাসপাতালে। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। জেলা সদরের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন শত শত দরিদ্র রোগী সেবা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক সংকট, অকেজো যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।  সোমবার (১৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে হাসপাতালের টয়লেট থেকে শুরু করে রোগীদের থাকার ওয়ার্ড পর্যন্ত ভরে গেছে ময়লা আবর্জনায়। এর ফলে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক রুম। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাফির মতো জরুরি সেবা। শুধু তাই নয়, ময়লা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরাও। এদিকে রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আসা ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগী চিংম্রাসাং বলেন, ‘আমি দুদিন ধরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি। কিন্তু আসার পর থেকে হাসপাতালে পানি নেই। বাথরুমে যেতে পারতেছি না, গোসল করতে পারতেছি না।’  চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘দাঁত ব্যথার কারণে সকাল থেকে সরকারি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু ডাক্তার পাচ্ছি না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য একজন নার্স আমাকে তিনটি ওষুধ লিখে দিয়েছেন। একটি ওষুধ হাসপাতাল থেকে পেয়েছি, বাকি দুটি বাহির থেকে নিতে বলেছেন।’  ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক রোগী কুলছুমা আক্তার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু এখানে যে পরিবেশ, আরও অসুস্থ হয়ে যাই। একটা রোগ নিয়ে এসে তিনটা রোগ নিয়ে বাড়ি যেতে হয়।’ অপরদিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে জনগণ হাসপাতালমুখী হচ্ছে। যার কারণে দিনদিন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু আমার জনবল বাড়েনি। উল্টো ৫০ শয্যা হাসপাতালের সমান জনবল দিয়ে ১শ’ শয্যার হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যাতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারি।’  তিনি আরও বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে গিয়ে কিছুটা ত্রুটি হতে পারে। চিকিৎসা সেবার মান আরও বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা।’ উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ৫০ শয্যার হাসপাতাল থেকে ১শ’ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হয় বান্দরবান সদর হাসপাতাল। তবে ১শ’ শয্যার হাসপাতাল হলেও ৫০ শয্যার কম জনবল ও চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম।
বৌদ্ধ বিহারে মিললো চিরকুটসহ ধর্মগুরুর ঝুলন্ত মরদেহ
বান্দরবানের চিরকুট লিখে আর্যগুহা ধুতাংঙ্গ বৌদ্ধ বিহারের ধর্মগুরু ড. এফ দীপঙ্কর (৫৩) মহাথেরো এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের গোদারপার এলাকার আর্যগুহা ধুতাংঙ্গ বৌদ্ধ বিহার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ভিক্ষু আর্যগুহা ধুতাংঙ্গ বৌদ্ধ বিহারের ধর্মগুরু ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ফরাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা নান্টু বড়ুয়ার ছেলে বলে জানা যায়।  এদিকে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে ধর্মীয় বিভিন্ন কার্যাদি শেষে বিহারের নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায় দীপঙ্কর মহাথের। শনিবার দুপুরে বিহারের অন্যান্য ভিক্ষুরা ভান্তেকে খাবার দিতে গেলে বিহারের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভান্তের লাশ উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ভান্তকে দেখতে বিহারে শত শত ভক্ত জড়ো হয়। ভান্তের এমন মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন তার অনুসারীরা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।  এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার এসআই (তদন্ত) মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৌদ্ধ বিহারের এক ভান্তের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
বান্দরবানে কেএনএফের আরও ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফের আরও ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে আসামিদের কঠোর পুলিশি পাহারায় রুমা সদর থেকে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন।   গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাম সাং লিয়ান বম (২৫), লালহিম সাং বম (৩৭), লালচন সাং বম (৪৮), লাল পিয়ান সাং বম (৩৬), লাল সিয়াম থাং বম (৩৮)। আসামিরা সবাই রুমা উপজেলা সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লাইরুনপি পাড়ার বাসিন্দা। এর আগে বৃহস্পতিবার রুমা সদরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রিয়েল পালিত। তিনি বলেন, ‘কেএনএফের আরও ৫ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় হামলা ও ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুট এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বান্দরবানের রুমা, থানচি আর রোয়াংছড়িতে চলমান যৌথবাহিনীর অভিযানে এই পর্যন্ত কেএনএফের ১১৬ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বান্দরবানে বেনজীরের ২৫ একর জমি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে
জমি দখলসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। আদালতের নির্দেশে এবার তাদের নামে বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের ২৫ একর জমির রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও তার নেতৃত্বাধীন একটি টিম বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের জমির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নে এসব জমির অবস্থান। এ সময় বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিভিন্ন সম্পদ পরিদর্শন শেষে ২৫ একর জমিতে আদালতের আদেশ ছাড়া এই সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যাবে না বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাইনবোর্ড স্থাপন করে দেয়। জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আজ থেকে এই জমির রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হককে আহ্বায়ক করে একটি ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এখন থেকে এই বিষয়ে সার্বিক তদারকি করার পাশাপাশি সকল আয়-ব্যয়ের হিসেবে দুদকের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপপরিচালক এম এম শাহনেয়াজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
বান্দরবানে পাহাড় ধস, রুমার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
দুদিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড় থেকে মাটি ধসে সড়কের ওপর পড়ায় বান্দরবানের সঙ্গে রুমার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।   সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে রুমা-বান্দরবান সড়কের দলিয়ান পাড়া এবং খুমী পাড়ায় মাটি ধসে সড়কের ওপর জমে থাকায় এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বান্দরবানের রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।  এ দিকে সড়কটি সচল করতে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের বান্দরবান জেলা ও রুমা উপজেলার দুটি ইউনিট একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘দুদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে বান্দরবান-রুমা সড়কের দুটি স্থানে, আর এর ফলে রুমার সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ রয়েছে। তবে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনীর ২৬ ইসিবির সদস্য এবং ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা কাজ করছেন। শিগগিরই সড়কটি আবার সচল করা সম্ভব হবে।’
কেএনএফের আরও ৩০ সদস্যকে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর
দ্বিতীয় দফায় বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৩০ জন সদস্যকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।  শনিবার (২৯ জুন) সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা কারাগারের জেলার মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ। তিনি বলেন, বান্দরবান জেলা কারাগারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় গ্রেপ্তার কেএনএফ সদস্যদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১১ জুন ১৬ নারীসহ ৩১ জন কেএনএফ সদস্যকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমা সোনালী ব্যাংকে ও পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, হামলা ও টাকা লুটের ঘটনার পরে আসামিদের ধরতে বান্দরবানে শুরু হয় যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান। এ অভিযানে কেএনএফের সর্বমোট ১১০ জন সদস্য ও সহযোগীকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে।