• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১
logo
বড়দিনের আগের রাতে লামায় আগুনে ১৭ বসতঘর পুড়ে ছাই
বান্দরবান-রুমার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
বেইলি সেতু ভেঙে পড়ায় বান্দরবান জেলা সদরের সঙ্গে রুমা উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় দুপাশে আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী গাড়ি। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে বান্দরবান-ওয়াইজংশন-রুমা সড়কের কুক্ষংঝিরি এলাকায় একটি বেইলি সেতু ভেঙে পড়ে। এরপর জেলা সদরের সঙ্গে রুমা উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।  বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, একটি বেইলি ব্রিজের পাটাতন খুলে যাওয়ায় রুমার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের খবর পেয়েছি। দ্রুত সেটি মেরামত করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। আরটিভি/এএএ   
রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএর ৩ সদস্য নিহত
বান্দরবানে ১৫ বছর পর নৌকাবাইচ
বান্দরবান সীমান্তে ৮১ রোহিঙ্গা আটক
পর্যটক টানতে বান্দরবানে ব্যবসায়ীদের ছাড়ের ঘোষণা
শিগগিরই বান্দরবানে মডেল মসজিদ নির্মাণ হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, শিগগিরই বান্দরবানে মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হবে। রোববার (২০ অক্টোবর) জেলা সদরের স্টেডিয়াম এলাকা, নিউগুলশান এলাকা, মেঘলা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জন্য প্রস্তাবিত জমিগুলো পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে সকালে বান্দরবান সার্কিট হাউসে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমানসহ বান্দরবানের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এএএ/এআর
বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ২০ শতাংশ ছাড় ঘোষণা 
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আরও সাশ্রয়ী ভ্রমণের লক্ষ্যে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বরের পর্যন্ত ২ মাস ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপ মালিক সমবায় সমিতির নেতারা এই ঘোষণা দেন। সমবায় সমিতিটির সভাপতি মো. নাছিরুল আলম জানান, বান্দরবানের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপগুলো নিয়মিত চলাচল করার পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিটি চালক একজন দক্ষ গাইড হিসেবে কাজ করেন। আমরা আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বরের পর্যন্ত ২ মাস ২০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা করছি। তিনি জানান, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে বান্দরবান সবচেয়ে বেশি সম্প্রীতির জেলা হিসেবে পরিচিত। এই জেলার পাহাড়ি ও বাঙালি সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করে। এই সম্প্রীতির সহাবস্থান দেখার পাশাপাশি বান্দরবানে নতুন নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠছে এবং সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। সংবাদ সম্মেলনে মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপ মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন চৌধুরী, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এফআই
পাহাড়ে সন্ত্রাসী আস্তানা, অস্ত্র-ড্রোনসহ প্রযুক্তি সরঞ্জাম উদ্ধার
বান্দরবানের দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়ায় সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেই আস্তানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ, ড্রোন ও সিগন্যাল জ্যামারসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবানের রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া এলাকা-সংলগ্ন গহিন জঙ্গলে একটি আস্তানা স্থাপন করে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হকের নেতৃত্বে বান্দরবানের রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া গহিন জঙ্গলে একটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে আরও বলা হয়, উক্ত অভিযানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে ২টি অটোমেটিক কারবাইন অ্যাসল্ট রাইফেল, ১টি সেমি অটোমেটিক অ্যাসল্ট রাইফেল, ৩টি এসবিবিএল, ২১ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিগন্যাল জ্যামার, ১টি অডিও/ভিডিও রেকর্ডার, ১টি ভিডিও ক্যামেরা, ১টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গোয়েন্দা বোতাম ক্যামেরা, ১টি কি-ডিভাইস হিডেন ভিডিও রেকর্ডার, ১টি দূরবীণ, ২টি ওয়াকিটকি, ১টি ল্যাপটপ, ২টি পাওয়ারফুল লাইট, ১টি সোলার সিস্টেম, ১টি আকাশ টিভি রিসিভার ও ১টি আমব্রেলা, ২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ২টি বাটন মোবাইল ফোন, দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, বাংলা মদ, ১টি হেলমেট, রান্না করার প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রসদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া অভিযানস্থলে অবজারভেশন পোস্ট, পরিখা, অস্থায়ী অস্ত্রাগার, বিশ্রামাগার, কুক হাউজ ইত্যাদির সন্ধান পাওয়া যায়। যার সবকিছু সমূলে ধ্বংস করা হয়েছে। আরটিভি/আইএম
বান্দরবানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় শিক্ষার্থীরা, ট্রাফিকের দায়িত্বে সাধারণ মানুষ
নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বান্দরবানে পৌরসভা এলাকায় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান কার্যক্রম শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।  বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে বিডি ক্লিন বান্দরবানের আয়োজনে এবং যুব ও ছাত্র সমাজের ব্যাবস্থাপনায় এই পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা বান্দরবান পৌরসভা এলাকার ট্রাফিক মোড় থেকে কার্যক্রমে শুরু করে প্রেসক্লাব চত্তর, সোনালী ব্যাংক এলাকা, জেলা প্রশাসক কার্যালয় এবং বিভিন্ন সড়কে পড়ে থাকা অসংখ্য ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করার পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে সড়কে ময়লা না ফেলে নিদিষ্টস্থানে ময়লা ফেলার অনুরোধ করেন। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই বান্দরবানে পুলিশের বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে সকল পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জেলায় আইনশৃংঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙে পড়ে,আর এমন পরিস্থিতিতে পৌর এলাকার প্রধান চৌরাস্তার মোড় মাহবুবুর রহমান সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বান্দরবান জেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবকেরা।  এ সময় স্বেচ্ছাসেবকেরা সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করে এবং যেখানে সেখানে পাকিং না করে নিদিষ্টস্থানে যানবাহন পাকিং করতে চালকদের নির্দেশনা দেয়। এ বিষয়ে বিডি ক্লিন বান্দরবানের অতিরিক্ত সমন্বয়ক আবু বক্কর ছিদ্দিক, বিডি ক্লিন বান্দরবানের সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম খোকন, সদস্য শাহাদত হোসেন 
ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা 
দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বান্দরবান সদরের ১শ’ শয্যার হাসপাতাল। দিনদিন রোগীর সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি চিকিৎসা সেবার মান। নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ রোগীরা। তবে জনবল সংকটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিদিন বান্দরবান সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত রোগী সেবা নেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন বান্দরবান সদর হাসপাতালে। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। জেলা সদরের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল হওয়ায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিন শত শত দরিদ্র রোগী সেবা নিতে আসেন এ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক সংকট, অকেজো যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা।  সোমবার (১৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষের নানা অব্যবস্থাপনার কারণে হাসপাতালের টয়লেট থেকে শুরু করে রোগীদের থাকার ওয়ার্ড পর্যন্ত ভরে গেছে ময়লা আবর্জনায়। এর ফলে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক রুম। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাফির মতো জরুরি সেবা। শুধু তাই নয়, ময়লা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরাও। এদিকে রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আসা ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত রোগী চিংম্রাসাং বলেন, ‘আমি দুদিন ধরে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি। কিন্তু আসার পর থেকে হাসপাতালে পানি নেই। বাথরুমে যেতে পারতেছি না, গোসল করতে পারতেছি না।’  চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘দাঁত ব্যথার কারণে সকাল থেকে সরকারি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু ডাক্তার পাচ্ছি না। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য একজন নার্স আমাকে তিনটি ওষুধ লিখে দিয়েছেন। একটি ওষুধ হাসপাতাল থেকে পেয়েছি, বাকি দুটি বাহির থেকে নিতে বলেছেন।’  ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেক রোগী কুলছুমা আক্তার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, তাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু এখানে যে পরিবেশ, আরও অসুস্থ হয়ে যাই। একটা রোগ নিয়ে এসে তিনটা রোগ নিয়ে বাড়ি যেতে হয়।’ অপরদিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে অব্যবস্থাপনার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে জনগণ হাসপাতালমুখী হচ্ছে। যার কারণে দিনদিন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু আমার জনবল বাড়েনি। উল্টো ৫০ শয্যা হাসপাতালের সমান জনবল দিয়ে ১শ’ শয্যার হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যাতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারি।’  তিনি আরও বলেন, ‘জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে গিয়ে কিছুটা ত্রুটি হতে পারে। চিকিৎসা সেবার মান আরও বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা।’ উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ৫০ শয্যার হাসপাতাল থেকে ১শ’ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত হয় বান্দরবান সদর হাসপাতাল। তবে ১শ’ শয্যার হাসপাতাল হলেও ৫০ শয্যার কম জনবল ও চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম।
বৌদ্ধ বিহারে মিললো চিরকুটসহ ধর্মগুরুর ঝুলন্ত মরদেহ
বান্দরবানের চিরকুট লিখে আর্যগুহা ধুতাংঙ্গ বৌদ্ধ বিহারের ধর্মগুরু ড. এফ দীপঙ্কর (৫৩) মহাথেরো এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের গোদারপার এলাকার আর্যগুহা ধুতাংঙ্গ বৌদ্ধ বিহার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ভিক্ষু আর্যগুহা ধুতাংঙ্গ বৌদ্ধ বিহারের ধর্মগুরু ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ফরাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা নান্টু বড়ুয়ার ছেলে বলে জানা যায়।  এদিকে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে ধর্মীয় বিভিন্ন কার্যাদি শেষে বিহারের নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায় দীপঙ্কর মহাথের। শনিবার দুপুরে বিহারের অন্যান্য ভিক্ষুরা ভান্তেকে খাবার দিতে গেলে বিহারের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভান্তের লাশ উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ভান্তকে দেখতে বিহারে শত শত ভক্ত জড়ো হয়। ভান্তের এমন মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন তার অনুসারীরা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।  এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার এসআই (তদন্ত) মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৌদ্ধ বিহারের এক ভান্তের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছি। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।