• ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
logo
বান্দরবান-রুমার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএর ৩ সদস্য নিহত
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআর জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার গহীন জঙ্গলে সেনাবাহিনী কেএনএ-এর গোপন আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। অভিযান এখানো চলমান রয়েছে। আরটিভি/এএএ/এআর  
পাহাড়ে সন্ত্রাসী আস্তানা, অস্ত্র-ড্রোনসহ প্রযুক্তি সরঞ্জাম উদ্ধার
বান্দরবানে পাহাড় ধস, রুমার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
বান্দরবানে বিশেষ সেনা অভিযান, কেএনএফ সদস্য নিহত
বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে বম জনগোষ্ঠীর মানববন্ধন
রুমা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার
বান্দরবানের রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হ‌য়ে‌ছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিকের যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে বহিষ্কার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়। উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে উপজেলার বিভিন্ন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী‌তে তথ্য প্রচার, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অপকর্মের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি, ৫২ জন দুদিনের রিমান্ডে
বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটসহ ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে কুকি-চিন সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫২ জনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পুলিশ ৫৭ জন আসামির পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোসাইন ৫২ জনকে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও বিশ্বজিত সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুটি মামলায় গ্রেপ্তার ৫৭ জন আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করে। এদের মধ্যে ৫২ জনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী মহতুল হোসাইন যত্ন জানান, উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। একজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেএনএফের প্রধান নাথানের স্ত্রীসহ দু’জনকে বদলি
কুকি চিন ন্যাশনালফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আলোচনায় উঠে আসে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হলেন নাথান বমের নাম। তার স্ত্রী হলেন সদ্য বদলি হওয়া লাল সম কিম বম। তিনি দীর্ঘদিন যাবত রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর বাইরেও কয়েকজনকে তাৎক্ষনিক বদলি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. মাহাবুবুর রহমান লাল সম কিমের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  তিনি বলেন, নার্সিং ও মিড ওয়াইফারী অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) পরিচালক ও প্রশাসন এর উপসচিব মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর স্বাক্ষরিত বদলির আদেশের নির্দেশনায় আমরা কনফার্ম করেছি। রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স লাল সং কিম বম কে লালমনির হাটে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও দিপালী বারৈ কে লালমনিরহাটে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির আদেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, লাল সম কিম বম সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত কুকি চিন ন্যাশনালফ্রন্ট কেএনএফ দলের প্রধান নাথান বম এর স্ত্রী।
বান্দরবানে কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বৈঠক
বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হয়েছে আজ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টায় রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেএনএফের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ও পুনর্বাসন করতে আলোচনা হয়। এ সময় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, মনিরুল ইসলাম মনু, উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা, সি অং খুশী, সিং ইয়ং ম্রোসহ ১৩ সদস্য এবং কেএনএফের মুখপাত্র লাল জং ময় বমের নেতৃত্বে কেএনএফের ৮ সদস্য বৈঠকে অংশ নেয়। কেএনএফের অন্য সদস্যরা হলেন- কেএনএফের সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার, কেএনএফ’স রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর পিস ডায়ালগ-এর সাধারণ সম্পাদক মি. লালজংময় সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, উপদেষ্টা লালএংলিয়ন, এক্সেকিউটিভ মেম্বার পাস্টর ভানলিয়ান, গ্রাহাম বম, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রুয়াললিন বম, সাংপাহ খুমি, আজৌ লুসাই।  বৈঠক শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, কেএনএফের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তারা যথেষ্ট আন্তরিক, তারা বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করেছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবে বৈঠক আরও হবে। একদিনে তো আর সব সমাধান হবে না। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে আস্তে আস্তে সমাধানের পথ খুঁজে পাবো। তবে আমাদের আজকের আলোচনা সফল হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৫ নভেম্বর রুমার মুনলাই পাড়ায় কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠন করেন বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
বান্দরবানে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, বাইকচালক নিহত
বান্দরবানে ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক বাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জেলার রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুমা-বগালেক সড়কের মুনলাই পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী আরও একজন আহত হন। জানা যায়, নিহত বাইক চালকের নাম মো. সালেহ (৪৫)। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া এলাকার মিয়া হোসেনের ছেলে। আহত আজাদ (৩৯) একই এলাকার মৃত হাজী আবদুল মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুমা-বগালেক সড়কের মুনলাই পাড়া এলাকায় একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক মারা যান। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আরও একজন আহত হন। এ দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক জানান, নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বগালেকগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত থেকে আসা মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোটরসাইকেলে বগালেক-কেওক্রাডং ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের বগালেক ও কেওক্রাডংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পর্যটকদের যেতে নিরুৎসাহিত করেছে রুমা উপজেলা প্রশাসন।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তবে কোনো পর্যটক মোটারসাইকেল নিয়ে গেলে সেটি প্রশাসনের জিম্মায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রুমা-কেউকেরাডং সড়কে উন্নয়ন ও সম্প্রতি পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যানকে অপহরণের ঘটনায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতি হয়েছে। তাই পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে শুধুমাত্র মোটরসাইকেলে যাতায়াতে পর্যটকদের সাময়িকভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় যেতে দেওয়া হবে। এছাড়া রুমা-কেউকেরাডং সড়কের বাসলং পাড়া, হারমুন পাড়া, দার্জিলিং পাড়া এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের অবস্থান দেখা যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কষ্টসাধ্য। তাই পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোটরসাইকেলে ওই স্পটগুলোতে যাতায়াতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।