• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশের দানব ছিলেন শেখ হাসিনা: ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল 
ইসলামি বক্তা তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়ায় গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর মাহফিল থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় আখাউড়া থানায় মামলায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে, ভিডিও চিত্র ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নিলাখাদ গ্রামের সোনা মওয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০) ও একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন (২১)। পুলিশের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, শুক্রবার বিকেলে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। বিনা অনুমতিতে ও বিনা নোটিশে চলতে থাকা এ মাহফিলে বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী স্টেজে বসে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাঁয়তারা করছিল। খবর পেয়ে মোগড়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত বিট অফিসার এসআই আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা পৌনে চারটার দিকে সেখানে যায়। পরে পুলিশ দেখা মাত্র তাহেরী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তিনি বলতে থাকেন যে, ‘আমার সকল মাহফিলে পুলিশ বাঁধা দেয়, এই যে এখন আবার পুলিশ এসেছে, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, আমরা সুন্নি জনতা কাউকে আর ছাড় দেব না।’ এরপরই লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে এসআই বাবুল আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। আরটিভি/এমএ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার ‘জিরো ফাইভ’ কর্মসূচি ঘোষণা
বিয়ের দাওয়াত শেষে ফেরার পথে প্রাণ গেল হাসানের  
পুলিশের মাথা ফাটাল তাহেরী ভক্তরা
ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চ: ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধু হওয়ার আহ্বান 
বিএনপির ৩ সংগঠনের লং মার্চ আখাউড়া পৌঁছেছে
বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লং মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছে। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাসহ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি করছে বিএনপির তিন সংগঠন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে লং মার্চের বহর স্থলবন্দর মাঠে আসে। সমাবেশে তিন সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার কথা আছে। কর্মসূচি ঘিরে স্থলবন্দর এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আখাউড়া স্থলবন্দরে গ্রাম পুলিশ, থানা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে সংগঠন তিনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে এবং হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছেছেন। বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিজিবির সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া রিজার্ভেও রাখা হয়েছে বিজিবি সদস্যদের একটি দল। এর আগে, সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লং মার্চ শুরু হয়। লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ভৈরবে লং মার্চের গাড়িবহর প্রবেশ হওয়ার সময় সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়িবহরকে স্বাগত জানান। এ সময় নানা রকম স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা দেখা যায়। আরটিভি/এএএ/এস 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন গাড়ির সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ডাম্প ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একজন বৃদ্ধা ও ১১ মাস বয়সী এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।  বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বীরপাশা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার দাঁতমন্ডল গ্রামের মৃত লতু মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা (৭৫), একই উপজেলার হরিপুর গ্রামের লোকমান মিয়ার ছেলে পাভেল মিয়া (৩০) ও হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার রামপুরের মানিক মিয়ার মেয়ে রাইছা।  বিষয়টি নিশ্চিত করে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারগুব তৌহিদ জানান, কুমিল্লাগামী একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক হতে আসা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা সিলেটগামী একটি পিকআপের  ধাক্কা লাগে দুর্ঘটনা কবলিত ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে। এতে তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।  দুর্ঘটনা কবলিত ড্রাম ট্রাক, পিকআপ এবং মাইক্রোবাসটিকে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
‘দেশের বাইরে আমাদের প্রভুত্ব নেই, বন্ধু আছে’
ঢাকা-আগরতলা লং মার্চ থেকে ভারতকে বন্ধুত্বের বার্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লং মার্চ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা জানান তিনি। ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির ৩ সংগঠনের আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘লং মার্চ সফলে আমরা এখানে এসেছি। আমরা কোথায় কী করবো সেটা দেখতে এসেছি। আলোচনা করে সমাবেশের স্থান নির্ধারণ করা হবে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের দল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রশ্নে আপসহীন। বিএনপি চেয়ারপারসন আগেই বলেছেন দেশের বাইরে আমাদের প্রভুত্ব নেই, বন্ধু আছে। লং মার্চ থেকে আমরা ভারতকে এ বার্তা দিতে চাই।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ। আরটিভি/এমকে
ভারতের সঙ্গে আওয়ামী সরকারের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে: সেলিম ভূঁইয়া
বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে ভারতের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সকল চুক্তি বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। কারণ দেশের মানুষ ভারতের প্রভুত্ব মেনে নেবে না। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে সদর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভালো না থাকে সেজন্য ভারত বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এসব চলতে থাকলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওপর দিয়ে করিডোর নিয়ে করা সড়ক দিয়ে ভারতীয় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে ভারত বাংলাদেশকে শোষণ করেছে। তারা এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষকে বিকৃত ভুল ইতিহাস শিক্ষা দিয়েছে। আর এই স্বাধীনতার সুফল বয়ে আনতে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলারা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থেকে নানা ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে কুপরামর্শ দিয়ে সংস্কারের নামে নির্বাচনে বিলম্ব করে দেশকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু বিএনপি এই ষড়যন্ত্র হতে দেবে না। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। যার মাধ্যমেই গড়ে উঠবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মো. শামীম, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান, সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ। সম্মেলনে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। আরটিভি/এমএ-টি
মা-বাবাকে মারধর, ছেলে-নাতি গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় উলচাপাড়ায় জায়গা-সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধা মা-বাবাকে মারধরের কারণে ছেলে ও নাতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উলচাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আক্তার মিয়া (৪২) এবং তার ছেলে সাব্বির (২২)। হাসপাতাল ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ বছর যাবত মকবুল হোসেন ও রোকেয়া বেগমকে জায়গা-সম্পত্তির জন্য প্রায়ই মারধোর করতো। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতো। গতকালকে একই কারণে আক্তার, তার স্ত্রী রাবিয়া ও ছেলে সব্বির মা-বাবাকে মারতে মারতে দুই হাত ভেঙে ফেলে এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়৷ তারা গুরুত্বর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন জানান, সোমবার সকালে মকবুল হোসেন ও রোকেয়া বেগমকে তার নিজ ছেলে আক্তার, নাতী সাব্বির ও পুত্রবধূ রাবিয়া বেগম বেধড়ক মারধোর করে দুজনের হাত ভেঙে ফেলে। পরে হাসপাতালে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বৃদ্ধা মা-বাবাকে দেখে আসি।রাতেই সাড়াশি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পিতা-পুত্রকে গ্রেপ্তার করি। ওসি আরও জানান, তারা পিতা-পুত্র ও পুতের বউ দীর্ঘদিন যাবত বাবা-মাকে জায়গা-সম্পত্তি লিখে দিতে অন্যায়-অত্যাচার করতো। এই বিষয়টি দুঃখময় ছিল। তাদের বিরুদ্ধে পিতা-মাতাকে মারধোরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আরটিভি/এএএ/এস
ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ মনে করে না: মাহমুদুর রহমান
বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে বসবাস করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারণ হিন্দুত্ববাদী ভারত কোনোদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ মনে করে না। মহান জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশ প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের হেজিমনিরও পরাজয় শুরু হয়েছে। আর এটা মেনে নিতে না পেরে ভারত ৫ আগস্টের পর থেকে নানা ষড়যন্ত্র করছে।  সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে ঐতিহাসিক শহীদ বাবরি মসজিদ দিবস উপলক্ষে আয়োজতি প্রতিবাদী কনফারেন্সে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা করছে। অথচ এ দেশের সংখ্যালঘুরা অনেক নিরাপদে আছে। এ দেশের আলেম থেকে শুরু করে সংখ্যাগরিষ্ঠরা সবসময় তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। উল্টোদিকে ভারতের সাধুরা মুসলিমদের হত্যার দাবি করে। এই হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য। বাংলাদেশে অবস্থিত হিন্দুরাও এদেশেরই নাগরিক এবং তাদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে মুসলমানদের প্রকৃত কর্তব্য। তাই বাংলাদশের হিন্দুদের দিকে না তাকিয়ে ভারতে মুসলিমদের দিকে মোদিকে বেশি নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, ভারতে প্রতিনিয়ত মুসলিম নির্যাতনসহ মসজিদ ধ্বংস করা হচ্ছে। যারা নিজের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা বলার। তিনি ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব মুসলিমদের নির্যাতন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। এ দেশের তৌহিদি জনতা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে ভারতীয় হেজিমনিকে উৎখাত করেছে। তারা আর কোনোদিন ভারতীয় হেজিমনি বা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে এদেশে প্রত্যাবর্তন করতে দেবেনা। কারণ ছাত্র-জনতা জানে কিভাবে স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়।  সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় বিষয়ে বিভাজন থাকতে পারে কিন্তু দেশের স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে পারবেনা। যদি ফাটল থাকে তাহলে ফ্যাসিবাদ আবারও প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করবে।  যুব ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব সাজিদুর রহমান। জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন হেফাজতে ইসলামে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আতাউল্লাহ ইসলাম। আরটিভি/এমকে-টি